Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের চিন্তা করা উচিত, স্যাংশন আবারো আসতে পারে : রেজা কিবরিয়া

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র একবার স্যাংশন আরোপ করেছে। সেটা তোলার চেষ্টা করেও সরকার সফল হয়নি। আওয়ামী লীগের চিন্তা করা উচিত, স্যাংশন আবারো আসতে পারে। এখন তাদের সতর্ক হওয়া উচিত।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

রেজা কিবরিয়া বলেন, এখনো আমরা বাইরের দেশের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স, বিদেশি সাহায্য এগুলো এখনো তাদের কাছ থেকে আসছে। আমাদের ব্রিজ, রাস্তা এখনো তাদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয়। সুতরাং তাদের ওপর এখনো আমাদের নির্ভরতা আছে। তাই তারা কী বলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। বিরোধীদের দমন-পীড়ন বন্ধ করতে বলছে।

তিনি বলেন, টাকা চুরি করেছে ঠিকই, কিন্তু এই টাকা তারা ভোগ করতে পারবে না। সরকারের পতন হলে এই টাকা ফেরত আনা হবে। পাচার করা টাকার ব্যাপারে সেসব দেশই এখন অনুসন্ধান করছে। আমার বাবা হত্যার ১৮ বছর পরও বিচার পাইনি। তারেক-জোবাইদার যে রায়, তা জনগণ মানে না। শেখ হাসিনার জজরা এই যে রায় দেয়, সেটা আমরা মানি না।

ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের লড়াই করে এবং করছে। দুইবার আমাদের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ বহু দলীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার যে কৃতিত্ব সেটা দেওয়া উচিত জিয়াউর রহমানকে। ৭৫ সালে উনি সব রাজনৈতিক দলকে ফেরত আনলেন। এই কৃতিত্ব উনাকে দিতে কেন এতো কার্পণ্য করে আমি বুঝি না। দ্বিতীয়বার ১৯৯০ তে উনার বিধবা স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে কষ্ট করেছিলেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্যে এটার একটা স্বীকৃতি দিতে হবে। এই দুইজনকেই স্বীকৃতি দিতে হবে। আওয়ামী লীগ দুইবার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে আর বিএনপি দুইবার গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই সিম্পল ইতিহাস মনে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, যেভাবে এই জালিম সরকারের অধীনে অত্যাচার হচ্ছে, দুই হাজার আলেম ওলামাদের জেলে আটকে রেখেছে সরকার। জামায়াতে ইসলামীর প্রধানকে জেলে রেখেছে। ওদের কোনো মামলা আমরা বিশ্বাস করি না। ওদের কোনো মামলার রায়ের ওপর আমাদের ভরসা নেই। ওরা কাকে বিচার করে, কাকে অপরাধী বলে, কাকে নিরপরাধী বলে আমি বিশ্বাস করি না। জনগণ এই রায় মানে না। এই সরকার পতনের পর আমরা এইসব রায়কে উঠিয়ে নতুন ব্যবস্থা নেব। যারা আসল অপরাধী তাদের ধরা হবে।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান, জোবায়দা রহমানসহ বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে নামা আমার দল গণঅধিকার পরিষদ ও ৩৭ দলের কর্মীদের নামে আওয়ামী লীগ যে মামলা দিয়েছে সেগুলো টিকবে না। তারা যত খুশি মামলা দিক। তারা ভাবছে এই মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন আটকাতে পারবে। এই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের আটকাতে পারবে না। আমরা সুদৃঢ়ভাবে সঠিক পথে আছি সেটা আমরা বুঝতে পারছি। এই জালিম সরকারকে হঠানো ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। তাই আমাদের এটা করতে হবে, বাঁচার জন্য করতে হবে। আওয়ামী একটা সেতু পার হয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে, সেটা হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তারা সেই সেতুটা পার হয়ে ওপারে গিয়ে ক্ষমতা নিয়ে সেই সেতু উড়িয়ে দিয়েছে। যাতে আর কেউ ব্যবহার না করতে পারে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

আওয়ামী লীগের চিন্তা করা উচিত, স্যাংশন আবারো আসতে পারে : রেজা কিবরিয়া

প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র একবার স্যাংশন আরোপ করেছে। সেটা তোলার চেষ্টা করেও সরকার সফল হয়নি। আওয়ামী লীগের চিন্তা করা উচিত, স্যাংশন আবারো আসতে পারে। এখন তাদের সতর্ক হওয়া উচিত।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

রেজা কিবরিয়া বলেন, এখনো আমরা বাইরের দেশের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স, বিদেশি সাহায্য এগুলো এখনো তাদের কাছ থেকে আসছে। আমাদের ব্রিজ, রাস্তা এখনো তাদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয়। সুতরাং তাদের ওপর এখনো আমাদের নির্ভরতা আছে। তাই তারা কী বলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। বিরোধীদের দমন-পীড়ন বন্ধ করতে বলছে।

তিনি বলেন, টাকা চুরি করেছে ঠিকই, কিন্তু এই টাকা তারা ভোগ করতে পারবে না। সরকারের পতন হলে এই টাকা ফেরত আনা হবে। পাচার করা টাকার ব্যাপারে সেসব দেশই এখন অনুসন্ধান করছে। আমার বাবা হত্যার ১৮ বছর পরও বিচার পাইনি। তারেক-জোবাইদার যে রায়, তা জনগণ মানে না। শেখ হাসিনার জজরা এই যে রায় দেয়, সেটা আমরা মানি না।

ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের লড়াই করে এবং করছে। দুইবার আমাদের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ বহু দলীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার যে কৃতিত্ব সেটা দেওয়া উচিত জিয়াউর রহমানকে। ৭৫ সালে উনি সব রাজনৈতিক দলকে ফেরত আনলেন। এই কৃতিত্ব উনাকে দিতে কেন এতো কার্পণ্য করে আমি বুঝি না। দ্বিতীয়বার ১৯৯০ তে উনার বিধবা স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে কষ্ট করেছিলেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্যে এটার একটা স্বীকৃতি দিতে হবে। এই দুইজনকেই স্বীকৃতি দিতে হবে। আওয়ামী লীগ দুইবার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে আর বিএনপি দুইবার গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই সিম্পল ইতিহাস মনে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, যেভাবে এই জালিম সরকারের অধীনে অত্যাচার হচ্ছে, দুই হাজার আলেম ওলামাদের জেলে আটকে রেখেছে সরকার। জামায়াতে ইসলামীর প্রধানকে জেলে রেখেছে। ওদের কোনো মামলা আমরা বিশ্বাস করি না। ওদের কোনো মামলার রায়ের ওপর আমাদের ভরসা নেই। ওরা কাকে বিচার করে, কাকে অপরাধী বলে, কাকে নিরপরাধী বলে আমি বিশ্বাস করি না। জনগণ এই রায় মানে না। এই সরকার পতনের পর আমরা এইসব রায়কে উঠিয়ে নতুন ব্যবস্থা নেব। যারা আসল অপরাধী তাদের ধরা হবে।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান, জোবায়দা রহমানসহ বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে নামা আমার দল গণঅধিকার পরিষদ ও ৩৭ দলের কর্মীদের নামে আওয়ামী লীগ যে মামলা দিয়েছে সেগুলো টিকবে না। তারা যত খুশি মামলা দিক। তারা ভাবছে এই মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন আটকাতে পারবে। এই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের আটকাতে পারবে না। আমরা সুদৃঢ়ভাবে সঠিক পথে আছি সেটা আমরা বুঝতে পারছি। এই জালিম সরকারকে হঠানো ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। তাই আমাদের এটা করতে হবে, বাঁচার জন্য করতে হবে। আওয়ামী একটা সেতু পার হয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে, সেটা হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তারা সেই সেতুটা পার হয়ে ওপারে গিয়ে ক্ষমতা নিয়ে সেই সেতু উড়িয়ে দিয়েছে। যাতে আর কেউ ব্যবহার না করতে পারে।