Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের কান্নার দিন আসছে : রেজা কিবরিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের কান্নার দিন আসছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘কারারুদ্ধ বাংলাদেশ: ডামি নির্বাচনের ফাঁদ ও ভোটাধিকার’ শীর্ষক সর্বদলীয় আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রেজা কিবরিয়া বলেছেন, ২০২৪ সালে দেশের অগ্রগতির সূচনা হবে। আওয়ামী লীগের কান্নার দিন আসছে। গ্রামে গ্রামে আওয়ামী লীগের লোকদের পানিতে চুবানো হবে। তখন এরা বলবে- মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা, শীতকালে কেন এ ইলেকশন করতে গেলেন! তবে আমরা জনগণকে বলব, আপনারা বিষাক্ত মানুষদের চুবিয়ে পুকুরের পানি নষ্ট করবেন না। আইনের শাসন ফেরত এলে তাদের বিচার হবে। শুধু জেল না, অনেকের ফাঁসিও হবে।

তিনি বলেন, একটা কথা আছে, যখন তোমার শত্রু কোনো কাজ করতে যাচ্ছে, তাতে বাধা দিও না। যেহেতু ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটার যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেহেতু সেদিন মূলত আওয়ামী লীগের মরণ ঘণ্টা বাজবে।

তিনি বলেন, আজ দেখলাম আওয়ামী লীগ আমেরিকা নিয়ে চিন্তিত। কারণ সবাইকে ঘুষ দেওয়া গেলেও আমেরিকাকে ঘুষ দেওয়া অত সহজ না। আমেরিকা ঘুষ দেওয়া বা চোরদের সম্মান করে না। আওয়ামী লীগ এ দেশের শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস করে বাইরের দেশে সুন্দরভাবে থাকতে চায়। কিন্তু তারা সেটা পারবে না, কারণ সেসব দেশে আইনের শাসন আছে। চুরি করা টাকা দিয়ে ভালোভাবে থাকা যাবে না।

রেজা কিবরিয়া বলেন, সামনের বছর অনেক ভালো যাবে আমাদের। ওনাদের মনে অনেক কষ্ট। জনগণের টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে। তারপরও তারা (আমেরিকা-ইউরোপ) প্রশ্ন করে এর উৎস কী? গরিব মানুষের চুরি করা টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিলেন, কিন্তু লাভ হয়নি। টাকা দিয়ে অনেককে ম্যানেজ করা যায়, আমেরিকাকে ম্যানেজ করা যায় না। চোরদের আমেরিকানরা সম্মান করে না। ওই সব দেশে আইনের শাসন আছে। পাচার করে যে টাকা নিয়ে গেছে তা বাজেয়াপ্ত হবে এবং সামনে যে নতুন সরকার আসবে তারা ফেরত আনবে।

তিনি আরও বলেন, এ দেশটা সম্ভাবনাময় দেশ, এজন্য আমি ফেরত এসেছি। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিনও আমেরিকায় সিটিজেন নিয়েছেন। আমি নিইনি। আমার বাবার হত্যার পর থেকে আমাকে অনেক সুবিধা দিতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ কিন্তু আমি নিইনি। আমি আওয়ামী লীগকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। এরা নিম্নমানের নেতৃত্ব দিয়েছে। আমার দেশের মতো একটা সোনালি দেশকে নিম্নশ্রেণির চোররা দখল করে রেখেছে। ২০২৪ সালে নতুনভাবে শুরু হবে। ভালো নেতৃত্বের কারণে একটা দেশ অনেক দূর যেতে পারে। আমরাও পারবো। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, আর না। আসুন শপথ নিই। রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ফিরিয়ে আনবো।আপনারা দেখেন ৭ তারিখের পর কী ঘটে। জনগণ কিভাবে এদের প্রত্যাখ্যান করে।

গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারি মোহাম্মদ আবু তাহের প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক জেলা জাজ (অব.) শামসুল ইসলাম, ব্রি. জে. (অব) হাবিবুর রহমান, প্রফেসর মাহবুবুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন, আরিফুর রহমান তুহিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ, তারেক রহমান, সহকারি আহ্বায়ক শেখ খাইরুল কবির, কেন্দ্রীয় সদস্য জিয়াউর রহমান, ইমাম হোসেন, মোজাম্মেল মিয়াজী, আরিফ বিল্লাহ, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সাকিব হোসেন, সদস্য সচিব সোহেল মৃধা, ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসীর মাহমুদ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খানাখন্দে ভরা নোয়াখালীর অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক, বাড়ছে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ

আওয়ামী লীগের কান্নার দিন আসছে : রেজা কিবরিয়া

প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের কান্নার দিন আসছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘কারারুদ্ধ বাংলাদেশ: ডামি নির্বাচনের ফাঁদ ও ভোটাধিকার’ শীর্ষক সর্বদলীয় আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রেজা কিবরিয়া বলেছেন, ২০২৪ সালে দেশের অগ্রগতির সূচনা হবে। আওয়ামী লীগের কান্নার দিন আসছে। গ্রামে গ্রামে আওয়ামী লীগের লোকদের পানিতে চুবানো হবে। তখন এরা বলবে- মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা, শীতকালে কেন এ ইলেকশন করতে গেলেন! তবে আমরা জনগণকে বলব, আপনারা বিষাক্ত মানুষদের চুবিয়ে পুকুরের পানি নষ্ট করবেন না। আইনের শাসন ফেরত এলে তাদের বিচার হবে। শুধু জেল না, অনেকের ফাঁসিও হবে।

তিনি বলেন, একটা কথা আছে, যখন তোমার শত্রু কোনো কাজ করতে যাচ্ছে, তাতে বাধা দিও না। যেহেতু ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটার যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেহেতু সেদিন মূলত আওয়ামী লীগের মরণ ঘণ্টা বাজবে।

তিনি বলেন, আজ দেখলাম আওয়ামী লীগ আমেরিকা নিয়ে চিন্তিত। কারণ সবাইকে ঘুষ দেওয়া গেলেও আমেরিকাকে ঘুষ দেওয়া অত সহজ না। আমেরিকা ঘুষ দেওয়া বা চোরদের সম্মান করে না। আওয়ামী লীগ এ দেশের শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস করে বাইরের দেশে সুন্দরভাবে থাকতে চায়। কিন্তু তারা সেটা পারবে না, কারণ সেসব দেশে আইনের শাসন আছে। চুরি করা টাকা দিয়ে ভালোভাবে থাকা যাবে না।

রেজা কিবরিয়া বলেন, সামনের বছর অনেক ভালো যাবে আমাদের। ওনাদের মনে অনেক কষ্ট। জনগণের টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে। তারপরও তারা (আমেরিকা-ইউরোপ) প্রশ্ন করে এর উৎস কী? গরিব মানুষের চুরি করা টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিলেন, কিন্তু লাভ হয়নি। টাকা দিয়ে অনেককে ম্যানেজ করা যায়, আমেরিকাকে ম্যানেজ করা যায় না। চোরদের আমেরিকানরা সম্মান করে না। ওই সব দেশে আইনের শাসন আছে। পাচার করে যে টাকা নিয়ে গেছে তা বাজেয়াপ্ত হবে এবং সামনে যে নতুন সরকার আসবে তারা ফেরত আনবে।

তিনি আরও বলেন, এ দেশটা সম্ভাবনাময় দেশ, এজন্য আমি ফেরত এসেছি। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিনও আমেরিকায় সিটিজেন নিয়েছেন। আমি নিইনি। আমার বাবার হত্যার পর থেকে আমাকে অনেক সুবিধা দিতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ কিন্তু আমি নিইনি। আমি আওয়ামী লীগকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। এরা নিম্নমানের নেতৃত্ব দিয়েছে। আমার দেশের মতো একটা সোনালি দেশকে নিম্নশ্রেণির চোররা দখল করে রেখেছে। ২০২৪ সালে নতুনভাবে শুরু হবে। ভালো নেতৃত্বের কারণে একটা দেশ অনেক দূর যেতে পারে। আমরাও পারবো। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, আর না। আসুন শপথ নিই। রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ফিরিয়ে আনবো।আপনারা দেখেন ৭ তারিখের পর কী ঘটে। জনগণ কিভাবে এদের প্রত্যাখ্যান করে।

গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারি মোহাম্মদ আবু তাহের প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক জেলা জাজ (অব.) শামসুল ইসলাম, ব্রি. জে. (অব) হাবিবুর রহমান, প্রফেসর মাহবুবুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন, আরিফুর রহমান তুহিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ, তারেক রহমান, সহকারি আহ্বায়ক শেখ খাইরুল কবির, কেন্দ্রীয় সদস্য জিয়াউর রহমান, ইমাম হোসেন, মোজাম্মেল মিয়াজী, আরিফ বিল্লাহ, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সাকিব হোসেন, সদস্য সচিব সোহেল মৃধা, ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসীর মাহমুদ প্রমুখ।