Dhaka শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের একটা ইতিহাস তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না : ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের একটা ইতিহাস তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এটা বললে তাদের গা জ্বালা করে। নির্বাচন তো আমরা চাই, আমরা তো বিশ্বাস করি, নির্বাচন ছাড়া পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই। এটা বিশ্বাস করে যারা তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান রচিত ‘নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও কিছু কথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ৯০’র সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা।।

তিনি বলেন, নির্বাচন যদি দলীয় সরকারের অধীনে হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। যদি সেটা আবার আওয়ামী লীগের অধীনে হয়। তা তো কখনোই সুষ্ঠু হবে না।

বিএনপি মহাসচিব আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, হাজারো নেতাকর্মী প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় ঘুরছে। এক দেড় মাসের মধ্যে হয়তো আমাকেও জেলে যেতে হতে পারে। কারণ যারা সরকারকে বলছে, তুমি চলে যাও, ছেড়ে দাও ক্ষমতা। সরকার তাদের সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতিদিন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হয়, এটি কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না।

দেশের বুদ্ধিজীবী ও সম্পাদকদের কোর্টের বারান্দায় গিয়ে দেখার আহ্বান করে মির্জা ফখরুল বলেন, গিয়ে দেখুন, কীভাবে নেতাকর্মীরা হাজিরা দেয়, কত সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা যাচ্ছে। বলেন তো গণতন্ত্র আছে! এমন বিচার ব্যবস্থা, যদি হাইকোর্টে জামিন দেয়, সেটা আবার নিম্ন আদালতে আটকে দেয়।

তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় একটি সেল তৈরি করেছে, সেখানে অতিদ্রুত রায় দিয়ে সাজা দেওয়া যায়। যারা দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে তাদের সবাইকে এক কাতারে শামিল হয়ে আদালতে যেতে হচ্ছে।

তিনি আশঙ্কা করে বলেন, আমার ধরণা, এক দেড় মাসের মধ্যেই আমানের মতো আমাকেও কারাগারে যেতে হতে পারে। কারণ যারা সরকারকে বলছে, তুমি চলে যাও, ছেড়ে দাও ক্ষমতা। সরকার তাদের সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

দেশ একটি যুগসন্ধিক্ষণে উপনীত হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এই জাতি টিকবে কি টিকবে না এটাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেন, ড. ইউনুসকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রতিহিংসার কারণে তাকে মামলা দেওয়া হয়েছে। ড. ইউনুস নয়, দেশের জনগণের ওপর ভর করেছে বিএনপি আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশের জনগণই সরকার তৈরি করবে, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন আমরা চাই, বিশ্বাস করি নির্বাচন ছাড়া পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই। এটা বিশ্বাস করে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাচনটা যদি দলীয় সরকারের অধীনে হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা দেখেছি, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। যদি সেটা আবার আওয়ামী লীগের অধীনে হয়। তা কখনোই সুষ্ঠু হবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজ দুর্ভাগ্য আমাদের, ৭১ ও ৯০ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতার জন্য জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আজ সেই গণতন্ত্রের কথাই বলতে হচ্ছে। দেখতে হচ্ছে দেশ থেকে গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে বিলীন করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো, এভাবে অসংখ্য মানুষকে আমরা মুক্ত করবো। আজকে আসার সময় যখন নামছি কোর্ট থেকে, তখন দেখি পায়ে বেড়ি দেওয়া, হাতে দড়ি বেঁধে আমাদের ইসহাক সরকারের ভাই ইয়াকুবকে কোর্টে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে জড়িয়ে ধরলাম সেখানে। সে আমাকে বললো, ‘আমি ভয় পাই না স্যার। আপনারা এদের (অন্য নেতাদের) মুক্ত করেন। তাহলেই আমি সবচেয়ে খুশি হবো।’ তো এই হচ্ছে মানুষ।’

আজকে এত অত্যাচার এত নির্যাতনের পরেও তারা কিন্তু তাদের জায়গা ছেড়ে যায় নাই। তাই আজকে আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, আজকে আপনারা সবাই মিলে একবার অন্তত নেমে পড়ুন। দেখবেন, এরা (সরকার) পালাবার পথ পাবে না।’

তিনি বলেন, আমানউল্লাহ আমান যে বই লিখেছে, এই বই একটা কালের সাক্ষী। একটা সময়কার বয়ান, যে সময়ে সব প্রতিকূলতাকে লড়াই করে, উপেক্ষা করে তারা একটা জয়লাভ করেছিল, যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল। আসুন, আজকে আমরা সেভাবে এগিয়ে যাই।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।

আবহাওয়া

খানাখন্দে মরণফাঁদ, যেন নরকের রাস্তা

আওয়ামী লীগের একটা ইতিহাস তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৪:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের একটা ইতিহাস তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এটা বললে তাদের গা জ্বালা করে। নির্বাচন তো আমরা চাই, আমরা তো বিশ্বাস করি, নির্বাচন ছাড়া পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই। এটা বিশ্বাস করে যারা তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান রচিত ‘নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও কিছু কথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ৯০’র সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা।।

তিনি বলেন, নির্বাচন যদি দলীয় সরকারের অধীনে হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। যদি সেটা আবার আওয়ামী লীগের অধীনে হয়। তা তো কখনোই সুষ্ঠু হবে না।

বিএনপি মহাসচিব আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, হাজারো নেতাকর্মী প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় ঘুরছে। এক দেড় মাসের মধ্যে হয়তো আমাকেও জেলে যেতে হতে পারে। কারণ যারা সরকারকে বলছে, তুমি চলে যাও, ছেড়ে দাও ক্ষমতা। সরকার তাদের সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতিদিন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হয়, এটি কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না।

দেশের বুদ্ধিজীবী ও সম্পাদকদের কোর্টের বারান্দায় গিয়ে দেখার আহ্বান করে মির্জা ফখরুল বলেন, গিয়ে দেখুন, কীভাবে নেতাকর্মীরা হাজিরা দেয়, কত সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা যাচ্ছে। বলেন তো গণতন্ত্র আছে! এমন বিচার ব্যবস্থা, যদি হাইকোর্টে জামিন দেয়, সেটা আবার নিম্ন আদালতে আটকে দেয়।

তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় একটি সেল তৈরি করেছে, সেখানে অতিদ্রুত রায় দিয়ে সাজা দেওয়া যায়। যারা দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে তাদের সবাইকে এক কাতারে শামিল হয়ে আদালতে যেতে হচ্ছে।

তিনি আশঙ্কা করে বলেন, আমার ধরণা, এক দেড় মাসের মধ্যেই আমানের মতো আমাকেও কারাগারে যেতে হতে পারে। কারণ যারা সরকারকে বলছে, তুমি চলে যাও, ছেড়ে দাও ক্ষমতা। সরকার তাদের সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

দেশ একটি যুগসন্ধিক্ষণে উপনীত হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এই জাতি টিকবে কি টিকবে না এটাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেন, ড. ইউনুসকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রতিহিংসার কারণে তাকে মামলা দেওয়া হয়েছে। ড. ইউনুস নয়, দেশের জনগণের ওপর ভর করেছে বিএনপি আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশের জনগণই সরকার তৈরি করবে, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন আমরা চাই, বিশ্বাস করি নির্বাচন ছাড়া পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই। এটা বিশ্বাস করে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাচনটা যদি দলীয় সরকারের অধীনে হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা দেখেছি, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। যদি সেটা আবার আওয়ামী লীগের অধীনে হয়। তা কখনোই সুষ্ঠু হবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজ দুর্ভাগ্য আমাদের, ৭১ ও ৯০ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতার জন্য জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আজ সেই গণতন্ত্রের কথাই বলতে হচ্ছে। দেখতে হচ্ছে দেশ থেকে গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে বিলীন করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো, এভাবে অসংখ্য মানুষকে আমরা মুক্ত করবো। আজকে আসার সময় যখন নামছি কোর্ট থেকে, তখন দেখি পায়ে বেড়ি দেওয়া, হাতে দড়ি বেঁধে আমাদের ইসহাক সরকারের ভাই ইয়াকুবকে কোর্টে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে জড়িয়ে ধরলাম সেখানে। সে আমাকে বললো, ‘আমি ভয় পাই না স্যার। আপনারা এদের (অন্য নেতাদের) মুক্ত করেন। তাহলেই আমি সবচেয়ে খুশি হবো।’ তো এই হচ্ছে মানুষ।’

আজকে এত অত্যাচার এত নির্যাতনের পরেও তারা কিন্তু তাদের জায়গা ছেড়ে যায় নাই। তাই আজকে আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, আজকে আপনারা সবাই মিলে একবার অন্তত নেমে পড়ুন। দেখবেন, এরা (সরকার) পালাবার পথ পাবে না।’

তিনি বলেন, আমানউল্লাহ আমান যে বই লিখেছে, এই বই একটা কালের সাক্ষী। একটা সময়কার বয়ান, যে সময়ে সব প্রতিকূলতাকে লড়াই করে, উপেক্ষা করে তারা একটা জয়লাভ করেছিল, যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল। আসুন, আজকে আমরা সেভাবে এগিয়ে যাই।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।