Dhaka বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করছেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ এ স্লোগানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণা করছেন। এবারে ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ইশতেহার ঘোষণা করছেন।

এর আগে শেখ হাসিনা সোনারগাঁওয়ের বলরুমে প্রবেশের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূত্রপাত হয়।

এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন। দলের সিনিয়র নেতারা, কূটনৈতিক কোরের প্রতিনিধি এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত রয়েছেন।

ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের অর্জন এবং আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নে তাদের কর্মপরিকল্পননা তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের শাসনামলকে ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ’ বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো

১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষিব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।

৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।

৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

৭. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।

৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।

৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।

১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।

১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

ইশতেহারে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়গুলো ইশতেহারে স্থান পেয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা সম্বলিত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘দিন বদলের সনদ’। এরপর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ইশতেহারে স্লোগান ছিলো, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাউফলে কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার

আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করছেন শেখ হাসিনা

প্রকাশের সময় : ১২:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ এ স্লোগানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণা করছেন। এবারে ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ইশতেহার ঘোষণা করছেন।

এর আগে শেখ হাসিনা সোনারগাঁওয়ের বলরুমে প্রবেশের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূত্রপাত হয়।

এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন। দলের সিনিয়র নেতারা, কূটনৈতিক কোরের প্রতিনিধি এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত রয়েছেন।

ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের অর্জন এবং আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নে তাদের কর্মপরিকল্পননা তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের শাসনামলকে ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ’ বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো

১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষিব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।

৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।

৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

৭. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।

৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।

৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।

১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।

১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

ইশতেহারে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়গুলো ইশতেহারে স্থান পেয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা সম্বলিত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘দিন বদলের সনদ’। এরপর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ইশতেহারে স্লোগান ছিলো, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।