নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ১০ দিনের মধ্যে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশের জন্য আদালতের বাধ্যবাধকতা ছিল। তাই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত ছাড়াই ইশরাকের গেজেট প্রকাশ হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না আসায় নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাস্তবায়ন করতেই ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আদালতের আদেশের যেন ব্যত্যয় না ঘটে সেটা (গেজেট প্রকাশ) বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, সেখান থেকে আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের বিষয়ে আজই মতামত পাঠাবে কমিশন।
তিনি বলেন, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া রোহিঙ্গাদের বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। যারা এনআইডির তথ্য পুরোপুরি পরিবর্তন করেছে তাদের বিষয়ে কঠোর হবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি আরো বলেন, আশু বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার সুপারিশ চূড়ান্ত করেছি। এটা এখন পাঠিয়ে দেবো। এখানে তিন ধরনের ক্যাটাগরি ছিল। যেটা আশু বাস্তবায়নযোগ্য কিন্তু রাজনৈতিক কোনো বিতর্ক নাই, সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়ে দিয়েছি। যেগুলো ঐক্যমত্যের বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করিনি। আবার যেগুলো আগে দিয়েছি সেগুলো বলেছি।
তিনি বলেন, কিছু আছে নির্বাচন কমিশন নিজেই বাস্তবায়ন করবে। বিধি সংশ্লিষ্ট যেগুলো, সেগুলো ইসি করতে পারবে। রাজনৈতিক দলগুলো যে বিষয়গুলোতে একমত হবে সেগুলো নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, কেউ বলেছে ব্যালট পেপারে জলছাপের কথা। এর সঙ্গে আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে। তাই এটা আমরা আশু বাস্তবায়নযোগ্য মনে করি না। ১০ থেকে ১২টি সুপারিশ হবে।
যে বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন এবং আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে এই বিষয়গুলো বাদে অন্যগুলো নিয়ে সুপারিশ করেছেন বলে জানান তিনি।