নিজস্ব প্রতিবেদক :
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চলমান ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তির টাকা জুনেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক ড. কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডলারের প্রবাহটা বাড়ানো যায়। এখানে অনেক নেগোসিয়েশন আছে। আমরা যেটা আশা করছি এই সমস্যাটি আমরা সমাধান করতে পারব। আমরা কাজ করছি। আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, ‘আপনারা সঠিক পথে আছেন। আপনারা যে কাজ করছেন সমস্যা সমাধানে সেটাতে আমাদের সমর্থন আছে।
জুনে আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির টাকা পাচ্ছি কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুন মাসেই তারা দেবে। সেখানে বাধা তো নেই।
আগামী বাজেটে কোন খাতে আপনার বা সরকারের প্রাধান্য থাকছে? এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনীতিকে অন ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা। একই সঙ্গে নিত্যপণ্য যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে, এগুলো নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রার মান এটাও যেন সীমার মধ্যে থাকে। সর্বোপরি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি প্রতিফলন বা প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবেন আগামী বাজেটে। একই সঙ্গে সরকার যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল, সেটির একটা রিফ্লেকশন দেখতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক অসুবিধা আছে, সেগুলোতো ওভারকাম করতে হবে। আমরা আশা করব, আস্তে আস্তে এই ইয়েগুলো থাকবে না। মানে নির্বাচনী ইশতেহারে মানুষকে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সেটির একটা প্রতিক্রিয়া থাকবে। কিন্তু অনেক বাধা আছে… সেটি অতিক্রম করতে হবে। ইতোমধ্যে অনেকগুলোর কাজ হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন দেশের অর্থনীতি দুর্যোগের মধ্যে পড়েছে, এটা কি আপনি স্বীকার করেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন আমি বুঝলাম না। বিরুদ্ধে বললেই কি সে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল? আসলে তারা তো বিরোধী পক্ষের লোক। কিছুই হয় নাই, সব নষ্ট হয়ে গেছে! এগুলো কী?
সরকারবিরোধী কথা বললেই কি বিরোধী পক্ষ হয়ে যাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, না, তবে তার টোনটা দেখতে হবে, কেউ কিছু বললেই দেশে অর্থনীতি শেষ হয়ে যাবে!
বাজেট দিতে গিয়ে কোন কোন জায়গায় চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করেন জানতে চাইলে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই আছে। যেমন, মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ, রাজস্ব আদায়। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি আগে ছিল, এখন আর নেই। আমরা সঠিক ট্র্যাকে আছি। তবে এখন আমরা ঋণখেলাপিদের ধরব।
আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কী বাড়ানো হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা বাড়ানো হবে, দেখতে পারবেন বলে আশা করছি। এটা তো একটা প্রসেসের মধ্যে আছে। এটা তো বলা যাবে না।
বাজেট ব্যয় সংকোচনমূলক হবে কি না, জানতে চাইলে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সংকোচনমূলক তো ইতোমধ্যে হয়েছে। ওটা পার হয়ে যাচ্ছি আমরা। সংকোচন থেকে আমরা ফেরত আসব। কীভাবে এক্সপানশন করা যায়, সেটাই চেষ্টা করছি। এই বাজেট থেকেই সেটি চেষ্টা করব।