Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অকারণে মামলা না দেওয়া ও নীতিমালা প্রণয়নসহ ছয় দফা দাবিতে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির দেশব্যাপী ডাকা ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে সাড়ে ৯টার দিকে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা।

এদিন দিবাগত রাত ১২টা থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করার কথা ছিল। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের কারণে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সমিতির নেতারা।

বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা জানান, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন তিন মাসের মধ্যে একটা নীতিমালা করে দেবে। এ কারণে ধর্মঘট আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এই প্রত্যাহারের বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা পুলিশ সদর দপ্তরে মালিক সমিতির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল গিয়েছিলাম আলোচনা করতে। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমাদের গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলে কোনো ধরনের মামলা দেওয়া হবে না, নীতিমালা হওয়ার আগ পর্যন্ত। তিনি আমাদের অনুরোধ করেছেন, যেহেতু এই মুহূর্তে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মহামারির মতো রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে, তাই এই সময়ে যেন আমরা কোনো আন্দোলনে না নামি।

তিনি বলেন, আপাতত কোনো ধর্মঘট নয়। রোগী বহনের কাজে তারা আছে ও থাকবে। তা ছাড়া আমরাও কর্তৃপক্ষের আশ্বাস মেনে নেওয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু মহামারি ও রোগীদের কথা চিন্তা করে ধর্মঘট প্রত্যাহার ঘোষণা করেছি।

এর আগে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে তাদের বিষয়ে নীতিমালা করতে হবে। বিআরটিএ অনেক আগেই এই বিষয়ে কমিটি গঠন করেছে। দ্রুত এটি হয়ে যাবে, সেখানে সব বিষয় উঠে আসবে। রাস্তায় যাতে চালকদের কোনো হয়রানি না করা হয় সে ব্যাপারে পুলিশের মহাপরিদর্শককে জানানো হয়েছে।

দেশের সব সড়ক ও সেতুতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের জন্য টোল না নেওয়াসহ ৬ দফা দাবি আদায়ে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি। আজ ছিল এর প্রথম দিন।

সমিতির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- অ্যাম্বুলেন্স থেকে আয়কর (এটিআই) নেওয়া বন্ধ করতে হবে; অনতিবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে; দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য পার্কিং সুবিধা দিতে হবে; রোগী থাকা অবস্থায় প্রতিটি পাম্পে সিরিয়াল ছাড়া তেল ও গ্যাস নেওযার ব্যবস্থা করে দিতে হবে এবং সড়কে হয়রানি বন্ধ করে নির্বিঘ্নে পথচলা নিশ্চিত করতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট প্রত্যাহার

প্রকাশের সময় : ১০:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অকারণে মামলা না দেওয়া ও নীতিমালা প্রণয়নসহ ছয় দফা দাবিতে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির দেশব্যাপী ডাকা ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে সাড়ে ৯টার দিকে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা।

এদিন দিবাগত রাত ১২টা থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করার কথা ছিল। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের কারণে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সমিতির নেতারা।

বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা জানান, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন তিন মাসের মধ্যে একটা নীতিমালা করে দেবে। এ কারণে ধর্মঘট আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এই প্রত্যাহারের বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা পুলিশ সদর দপ্তরে মালিক সমিতির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল গিয়েছিলাম আলোচনা করতে। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমাদের গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলে কোনো ধরনের মামলা দেওয়া হবে না, নীতিমালা হওয়ার আগ পর্যন্ত। তিনি আমাদের অনুরোধ করেছেন, যেহেতু এই মুহূর্তে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মহামারির মতো রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে, তাই এই সময়ে যেন আমরা কোনো আন্দোলনে না নামি।

তিনি বলেন, আপাতত কোনো ধর্মঘট নয়। রোগী বহনের কাজে তারা আছে ও থাকবে। তা ছাড়া আমরাও কর্তৃপক্ষের আশ্বাস মেনে নেওয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু মহামারি ও রোগীদের কথা চিন্তা করে ধর্মঘট প্রত্যাহার ঘোষণা করেছি।

এর আগে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে তাদের বিষয়ে নীতিমালা করতে হবে। বিআরটিএ অনেক আগেই এই বিষয়ে কমিটি গঠন করেছে। দ্রুত এটি হয়ে যাবে, সেখানে সব বিষয় উঠে আসবে। রাস্তায় যাতে চালকদের কোনো হয়রানি না করা হয় সে ব্যাপারে পুলিশের মহাপরিদর্শককে জানানো হয়েছে।

দেশের সব সড়ক ও সেতুতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের জন্য টোল না নেওয়াসহ ৬ দফা দাবি আদায়ে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি। আজ ছিল এর প্রথম দিন।

সমিতির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- অ্যাম্বুলেন্স থেকে আয়কর (এটিআই) নেওয়া বন্ধ করতে হবে; অনতিবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে; দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য পার্কিং সুবিধা দিতে হবে; রোগী থাকা অবস্থায় প্রতিটি পাম্পে সিরিয়াল ছাড়া তেল ও গ্যাস নেওযার ব্যবস্থা করে দিতে হবে এবং সড়কে হয়রানি বন্ধ করে নির্বিঘ্নে পথচলা নিশ্চিত করতে হবে।