Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়াকে সহজেই হারালো উড়ন্ত আর্জেন্টিনা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • ২০৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কাতারের ফুটবল মহাযজ্ঞের পর ঘরের মাঠে দুটো প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা। দুটোতেই ছিল জয়। কিন্তু দেশের বাইরে গিয়ে বড় কোনও প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তো আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। লিওনেল মেসিরা এবার সেই পরীক্ষাতেই বসেছিল। চীনের মাটিতে সেই পরীক্ষায় দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বুঝিয়ে দিলো- এই আর্জেন্টিনা কেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

লিওনেল মেসিকে রেখে শক্তিশালী একাদশ সাজিয়েছিলেন স্ক্যালোনি। তার সঙ্গে মিডফিল্ডে ছিলেন সদ্য লিভারপুলে যোগ দেওয়া ম্যাক অ্যালিস্টার। তারা খেলতে নেমেছিল ৪-৩-৩ ছকে। বিপরীতে ৪-১-৪-১ ছকে খেলতে নামে সকারুরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) চীনের বেইজিং ওয়ারকার্স স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে দলকে মেসি এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোলটি করেন হেরমান পেসেলা।

শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় ২ মিনিটেই। নিজেদের অর্থে অস্ট্রেলিয়ার লেকি বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি পেয়ে যান ফার্নান্দেস। এই মিডফিল্ডারের পাস নেওয়ার জন্য জায়গা মতো অবস্থান নেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তার পর বাঁকানো শটে দর্শনীয় গোলে স্কোর ১-০ করেছেন মেসি। ৫ মিনিটে আরেকটি সুযোগ এসেছিল। কিন্তু শট বারের ওপর দিয়ে নেন ম্যাক অ্যালিস্টার।

১৬ মিনিটে গোল মুখে শট নেওয়ার সুযোগ ছিল ম্যাক অ্যালিস্টারের। কিন্তু গনজালেসের দেওয়া ভলি নেওয়ার আগেই সেটি বিপদমুক্ত করেছেন রোওয়েলস।

মিচেল ডিউক ও জর্ডান বোসের মিলিত চেষ্টায় সমতা ফেরানোর সুর্বণ সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। ২৮ মিনিটে বোসের থেকে পাওয়া ভলিতে শট নিয়েছিলেন ডিউক। এমি মার্তিনেজ শুরুতে সেটি সেভ করেছিলেন। কিন্তু বল ঠিকমতো গ্লাভসে জমাতে পারেননি। ভাগ্য ভালো আলগা বলটি তার পর পোস্টে আঘাত করেছিল। ততক্ষণে ডাইভ দিয়ে বল আয়ত্ত্বে নেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।

৩৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতেন মেসি। ডি পলের দেওয়া পাস টেনে নিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলপোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

বিরতির পর খেলতে নেমে আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে আর্জেন্টিনা। ৪৯তম মিনিটে সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ক্রস বাড়ান মেসি। সেটি অবশ্য ঠেকিয়ে দিলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক। দি মারিয়ার ফিরতি শট অবশ্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।

৫৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়ছিলেন মেসি। এ সময় অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার বাড়িয়ে দেওয়া বলে হেড নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটি ধরে ফেলেন অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাথিউ রিয়ান।

৬৮ মিনিটে পেজেল্লার হেডে আসে দ্বিতীয় গোল। অবশ্য এই গোলে অবদান ছিল মেসি-দে পলের রসায়নের। শর্ট কর্নারের পর দুজনের বল আদান প্রদানের মাধ্যমে দে পল ভাসানো ক্রস করেছিলেন। আনমার্কড পেজেল্লা সুযোগ পেয়ে হেড করে তা জালে পাঠাতে ভুল করেননি। তাতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

এরপর ৭১ মিনিটে লিওনেল মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোলের সুযোগ পেয়ছিলেন জুলিয়ান আলভারেজও। কিন্তু তার নেওয়া শট ধরে ফেলেন রিয়ান। শেষদিকে আরও কয়েকটি আক্রমণ চালায় আর্জেন্টিনা। তবে আর গোলে পরিণত করতে পারেনি।

ম্যাচের ৫৬ শতাংশ বলের দখল ছিল আর্জেন্টিনার কাছে। অন্যদিকে ৪৪ শতাংশ ছিল অস্ট্রেলিয়ার দখলে। মেসি-ডি মারিয়ারা গোল পোস্টের দিকে শট নিয়েছিলেন ১১টি। তার মধ্যে ৫টিই ছিল গোলমুখে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া মাত্র একবার গোল মুখে শট নিতে পেরেছিল।

১৯ জুন চলমান এশিয়া সফরের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। প্রতিপক্ষ ইন্দোনেশিয়া।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অস্ট্রেলিয়াকে সহজেই হারালো উড়ন্ত আর্জেন্টিনা

প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কাতারের ফুটবল মহাযজ্ঞের পর ঘরের মাঠে দুটো প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা। দুটোতেই ছিল জয়। কিন্তু দেশের বাইরে গিয়ে বড় কোনও প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তো আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। লিওনেল মেসিরা এবার সেই পরীক্ষাতেই বসেছিল। চীনের মাটিতে সেই পরীক্ষায় দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বুঝিয়ে দিলো- এই আর্জেন্টিনা কেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

লিওনেল মেসিকে রেখে শক্তিশালী একাদশ সাজিয়েছিলেন স্ক্যালোনি। তার সঙ্গে মিডফিল্ডে ছিলেন সদ্য লিভারপুলে যোগ দেওয়া ম্যাক অ্যালিস্টার। তারা খেলতে নেমেছিল ৪-৩-৩ ছকে। বিপরীতে ৪-১-৪-১ ছকে খেলতে নামে সকারুরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) চীনের বেইজিং ওয়ারকার্স স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে দলকে মেসি এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোলটি করেন হেরমান পেসেলা।

শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় ২ মিনিটেই। নিজেদের অর্থে অস্ট্রেলিয়ার লেকি বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি পেয়ে যান ফার্নান্দেস। এই মিডফিল্ডারের পাস নেওয়ার জন্য জায়গা মতো অবস্থান নেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তার পর বাঁকানো শটে দর্শনীয় গোলে স্কোর ১-০ করেছেন মেসি। ৫ মিনিটে আরেকটি সুযোগ এসেছিল। কিন্তু শট বারের ওপর দিয়ে নেন ম্যাক অ্যালিস্টার।

১৬ মিনিটে গোল মুখে শট নেওয়ার সুযোগ ছিল ম্যাক অ্যালিস্টারের। কিন্তু গনজালেসের দেওয়া ভলি নেওয়ার আগেই সেটি বিপদমুক্ত করেছেন রোওয়েলস।

মিচেল ডিউক ও জর্ডান বোসের মিলিত চেষ্টায় সমতা ফেরানোর সুর্বণ সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। ২৮ মিনিটে বোসের থেকে পাওয়া ভলিতে শট নিয়েছিলেন ডিউক। এমি মার্তিনেজ শুরুতে সেটি সেভ করেছিলেন। কিন্তু বল ঠিকমতো গ্লাভসে জমাতে পারেননি। ভাগ্য ভালো আলগা বলটি তার পর পোস্টে আঘাত করেছিল। ততক্ষণে ডাইভ দিয়ে বল আয়ত্ত্বে নেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।

৩৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতেন মেসি। ডি পলের দেওয়া পাস টেনে নিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলপোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

বিরতির পর খেলতে নেমে আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে আর্জেন্টিনা। ৪৯তম মিনিটে সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ক্রস বাড়ান মেসি। সেটি অবশ্য ঠেকিয়ে দিলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক। দি মারিয়ার ফিরতি শট অবশ্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।

৫৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়ছিলেন মেসি। এ সময় অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার বাড়িয়ে দেওয়া বলে হেড নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটি ধরে ফেলেন অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাথিউ রিয়ান।

৬৮ মিনিটে পেজেল্লার হেডে আসে দ্বিতীয় গোল। অবশ্য এই গোলে অবদান ছিল মেসি-দে পলের রসায়নের। শর্ট কর্নারের পর দুজনের বল আদান প্রদানের মাধ্যমে দে পল ভাসানো ক্রস করেছিলেন। আনমার্কড পেজেল্লা সুযোগ পেয়ে হেড করে তা জালে পাঠাতে ভুল করেননি। তাতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

এরপর ৭১ মিনিটে লিওনেল মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোলের সুযোগ পেয়ছিলেন জুলিয়ান আলভারেজও। কিন্তু তার নেওয়া শট ধরে ফেলেন রিয়ান। শেষদিকে আরও কয়েকটি আক্রমণ চালায় আর্জেন্টিনা। তবে আর গোলে পরিণত করতে পারেনি।

ম্যাচের ৫৬ শতাংশ বলের দখল ছিল আর্জেন্টিনার কাছে। অন্যদিকে ৪৪ শতাংশ ছিল অস্ট্রেলিয়ার দখলে। মেসি-ডি মারিয়ারা গোল পোস্টের দিকে শট নিয়েছিলেন ১১টি। তার মধ্যে ৫টিই ছিল গোলমুখে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া মাত্র একবার গোল মুখে শট নিতে পেরেছিল।

১৯ জুন চলমান এশিয়া সফরের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। প্রতিপক্ষ ইন্দোনেশিয়া।