নিজস্ব প্রতিবেদক :
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটি আলোচনা সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আজ হোক কাল হোক। বাঙালি সংগ্রামী জাতি, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণ আবার তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে। এই সংগ্রামে বিএনপি নেতৃত্ব দেবে ।
বিএনপি হতাশাগ্রস্ত দল নয় মন্তব্য করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, বিএনপি একটি জনপ্রিয় দল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিগত নির্বাচন হলে, বিএনপি ক্ষমতায় থাকত। জনগণ ভোটকেন্দ্র গেলে আওয়ামী লীগ নেতাদের কথা বলার জায়গা থাকত না। বিএনপির ওপর যেই পরিমাণ নিপীড়ন হয়েছে, তা আর কোনো দলের ওপর হয়নি।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে ইতোমধ্য বিতর্কিত করা হয়েছে। মনের মাধুরি মিশিয়ে কবিদের কবিতার মতো ইতিহাসও রচিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৮০ থেকে এক লাখ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হলেও এখন আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ও সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান শাসক গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য দায়ী। ২৫ মার্চের পর শুরু হয়েছিল সশস্ত্র সংগ্রাম। এটি খুব কঠিন। লাখ লাখ মানুষ তার জীবন ও রক্ত দিয়ে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। এই অংশটি সম্পর্কে শাসক দল নীরব। কারণ সেখানে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। জেড ফোর্সের অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান অসীম সাহসী ছিলেন। তবে এখনকার শিশুদের মনে এই ধারণা দেয়া হচ্ছে, তিনি ছিলেন একজন পাকিস্তানের অ্যাজেন্ট। অথচ আমি এখনো জীবিত আছি। আমি মেজর জিয়াউর রহমানের অধীনে রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছি।’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা যদি প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ না হতেন। তবে আজও দেশ পাকিস্তান থাকতো। কারণ পাকিস্তানের বর্বর বাহিনীর অস্ত্রের সামনে দাঁড়ানোর মতো নিরস্ত্র বাঙালির কাছে কোনো হাতিয়ার ছিল না। আমরা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হই।
একটি রাজনৈতিক দলের কৃতিত্বকে বড় করে দেখানোর জন্য দেশের সাধারণ মানুষদের অন্ধকারের রাখা হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অবশ্যই রাজনৈতিক দলের কৃতিত্ব আছে স্বীকার করি। কিন্তু সবচেয়ে কঠিন পর্যায় যেখানে জীবন দিতে হয়, সেখানেই এগিয়ে এসেছে বাঙালি সৈনিকরা। মুক্তিযুদ্ধে ছিল সাধারণ মানুষের যুদ্ধ, এটি কোনো রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ ছিল না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কী অবস্থা বিরাজমান তা সবাই জানে!
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম কে ও সদস্য সচিব বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
এছাড়া সদস্য রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, চট্টগ্রাম বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, রাজশাহী বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রংপুর বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, ময়মনসিংহ বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কুমিল্লা বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, খুলনা বিভাগ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বরিশাল বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ফরিদপুর বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সিলেট বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।