Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অর্থপাচার মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর চলবে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিতের অভিযোগ এনে গ্রামীণ টেলিকম ও এর প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১০টি মামলা করেন তারই অধীনস্ত শ্রমিকরা। সম্প্রতি ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা ৪৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করে আবারও আলোচনায় আসেন ড. ইউনূস। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে করা হয় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন। এর পরই প্রশ্ন ওঠে, মামলার রফা-দফার প্রক্রিয়া নিয়ে।

তবে মামলার গ্যারাকল থেকে শিগগিরই মুক্তি মিলছে না নোবেল জয়ী ইউনূসের। গত ১৪ জুলাই ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতি অনুসন্ধানের আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। ২০১০ সাল থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে নিট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনে অনিয়ম হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে, পুরো বিষয়টির বিস্তারিত অনুসন্ধান প্রয়োজন। কারণ শ্রমিকদের নির্দিষ্ট শেয়ার দেয়ার কথা থাকলেও বঞ্চিত করেছেন ড. ইউনূস।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও দেয়নি। এখানেও দেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মতে, গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ও গ্রামীণ টেলিকমসহ বাদী বিবাদী আইনজীবীদের যোগসাজশে ১১০টি মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। এই সমঝোতার চুক্তি, আর্থিক অনিয়ম ও লেনদেনের বিষয়টির অনুসন্ধান প্রয়োজন।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন আইএলওতে অর্থপাচারের অভিযোগ দিয়েছেন খোদ শ্রমিকরা। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীরা, অর্থপাচারের যে অভিযোগ এনেছেন তা অনুসন্ধান করে আইনি ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৭ জুলাই অভিযোগ গ্রহণ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখন চলছে যাচাই বাছাই। যদি অভিযোগ গ্রহণ করা হয় তবে এর প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করবে দুদক।

একটি সূত্র বলছে, প্রয়োজনে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ড. ইউনূসকে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অর্থপাচার মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব

প্রকাশের সময় : ০১:৫৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর চলবে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিতের অভিযোগ এনে গ্রামীণ টেলিকম ও এর প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১০টি মামলা করেন তারই অধীনস্ত শ্রমিকরা। সম্প্রতি ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা ৪৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করে আবারও আলোচনায় আসেন ড. ইউনূস। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে করা হয় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন। এর পরই প্রশ্ন ওঠে, মামলার রফা-দফার প্রক্রিয়া নিয়ে।

তবে মামলার গ্যারাকল থেকে শিগগিরই মুক্তি মিলছে না নোবেল জয়ী ইউনূসের। গত ১৪ জুলাই ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতি অনুসন্ধানের আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। ২০১০ সাল থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে নিট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনে অনিয়ম হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে, পুরো বিষয়টির বিস্তারিত অনুসন্ধান প্রয়োজন। কারণ শ্রমিকদের নির্দিষ্ট শেয়ার দেয়ার কথা থাকলেও বঞ্চিত করেছেন ড. ইউনূস।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও দেয়নি। এখানেও দেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মতে, গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ও গ্রামীণ টেলিকমসহ বাদী বিবাদী আইনজীবীদের যোগসাজশে ১১০টি মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। এই সমঝোতার চুক্তি, আর্থিক অনিয়ম ও লেনদেনের বিষয়টির অনুসন্ধান প্রয়োজন।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন আইএলওতে অর্থপাচারের অভিযোগ দিয়েছেন খোদ শ্রমিকরা। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীরা, অর্থপাচারের যে অভিযোগ এনেছেন তা অনুসন্ধান করে আইনি ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৭ জুলাই অভিযোগ গ্রহণ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখন চলছে যাচাই বাছাই। যদি অভিযোগ গ্রহণ করা হয় তবে এর প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করবে দুদক।

একটি সূত্র বলছে, প্রয়োজনে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ড. ইউনূসকে।