Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিষেকে সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার ইবাদুল্লার মৃত্যু

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে স্রেফ চারটি টেস্ট খেলেই রেকর্ডের পাতায় নাম তোলা খালিদ ইবাদুল্লা আর নেই। পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া প্রথম ক্রিকেটার ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট এবং ক্রিকেটপোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফো খবরে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়। ইবাদুল্লাহ শুক্রবার মৃত্যুবরণ করেছেন লেখা হলেও কোথায় মৃত্যুবরণ করেছেন, এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

জানা যায়, পাকিস্তানের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে চারটি টেস্ট খেলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ম্যানেজারও।

১৯৬৪ সালের অক্টোবরে পাকিস্তান–অস্ট্রেলিয়ার করাচি টেস্টে অভিষেক হয় ইবাদুল্লাহর। সে ম্যাচে তার সঙ্গে ব্যাটিং ওপেন করেন আরেক অভিষিক্ত আবদুল কাদির। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে তোলা ২৪৯ রান সে সময় পাকিস্তানের হয়ে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রান, ৬০ বছর পর এখনো যা টেস্ট ক্রিকেটে দুই অভিষিক্তের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

অভিষেক টেস্ট ইনিংসে ১৬৬ রানের ইনিংস খেলা ইবাদুল্লাহ পরে আরও তিন ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি। অফ স্পিন বোলিংয়ে চার টেস্টে উইকেট ১টি। নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম স্টাফের তথ্য অনুসারে, ১৯৭৬ সালে ডুনেডিনে থিতু হন ইবাদুল্লাহ। সেখানে একটি প্রাইভেট ক্রিকেট কোচিং ক্লিনিকে দুই দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করেন। তাঁর হাতে ক্রিকেট শেখা কিশোর–তরুণদের অনেকে কিউই ক্রিকেটের বড় নাম হয়ে ওঠেন। এর মধ্যে ছিলেন গ্লেন টার্নার, রাদারফোর্ড, কেয়ার্নস ও ম্যাককালাম।

সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারে ২৫৩ রান করেছেন তিনি। আর উইকেট পেয়েছেন একটি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘ না হলেও প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ ছিল তার।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৪১৭ ম্যাচ খেলা ইবাদুল্লা ৩৭৭ ম্যাচ খেলেছেন ওয়ারউইকশায়ারের হয়েই। সবমিলিয়ে ১৭ হাজার ০৭৮ রান করেছেন এই ব্যাটার।

উইকেট নিয়েছেন ৪৬২টি। ৮২ ফিফটির বিপরীতে সেঞ্চুরি করেছেন ২২ টি। অন্যদিকে ৬৪ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলে ৮২৯ রান করেছেন। সঙ্গে অফ স্পিনে ৮৪ উইকেট নিয়েছেন।

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে আম্পায়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়েছিলেন ইবাদুল্লা। প্রথম শ্রেণির ২০ ম্যাচের বিপরীত ১২ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডে একটি প্রাইভেট কোচিং ক্লিনিকও চালাতেন তিনি। ইবাদুল্লার পুত্র কাসেম ইবাদুল্লাও একজন ক্রিকেটার। গ্লুস্টারশায়ার ও ওটাগোর হয়ে ৩১টি প্রথম শ্রেণির এবং ১৯টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন কাসেম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কেউ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে বরদাশত করা হবে না : প্রেস সচিব

অভিষেকে সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার ইবাদুল্লার মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে স্রেফ চারটি টেস্ট খেলেই রেকর্ডের পাতায় নাম তোলা খালিদ ইবাদুল্লা আর নেই। পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া প্রথম ক্রিকেটার ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট এবং ক্রিকেটপোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফো খবরে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়। ইবাদুল্লাহ শুক্রবার মৃত্যুবরণ করেছেন লেখা হলেও কোথায় মৃত্যুবরণ করেছেন, এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

জানা যায়, পাকিস্তানের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে চারটি টেস্ট খেলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ম্যানেজারও।

১৯৬৪ সালের অক্টোবরে পাকিস্তান–অস্ট্রেলিয়ার করাচি টেস্টে অভিষেক হয় ইবাদুল্লাহর। সে ম্যাচে তার সঙ্গে ব্যাটিং ওপেন করেন আরেক অভিষিক্ত আবদুল কাদির। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে তোলা ২৪৯ রান সে সময় পাকিস্তানের হয়ে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রান, ৬০ বছর পর এখনো যা টেস্ট ক্রিকেটে দুই অভিষিক্তের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

অভিষেক টেস্ট ইনিংসে ১৬৬ রানের ইনিংস খেলা ইবাদুল্লাহ পরে আরও তিন ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি। অফ স্পিন বোলিংয়ে চার টেস্টে উইকেট ১টি। নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম স্টাফের তথ্য অনুসারে, ১৯৭৬ সালে ডুনেডিনে থিতু হন ইবাদুল্লাহ। সেখানে একটি প্রাইভেট ক্রিকেট কোচিং ক্লিনিকে দুই দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করেন। তাঁর হাতে ক্রিকেট শেখা কিশোর–তরুণদের অনেকে কিউই ক্রিকেটের বড় নাম হয়ে ওঠেন। এর মধ্যে ছিলেন গ্লেন টার্নার, রাদারফোর্ড, কেয়ার্নস ও ম্যাককালাম।

সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারে ২৫৩ রান করেছেন তিনি। আর উইকেট পেয়েছেন একটি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘ না হলেও প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ ছিল তার।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৪১৭ ম্যাচ খেলা ইবাদুল্লা ৩৭৭ ম্যাচ খেলেছেন ওয়ারউইকশায়ারের হয়েই। সবমিলিয়ে ১৭ হাজার ০৭৮ রান করেছেন এই ব্যাটার।

উইকেট নিয়েছেন ৪৬২টি। ৮২ ফিফটির বিপরীতে সেঞ্চুরি করেছেন ২২ টি। অন্যদিকে ৬৪ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলে ৮২৯ রান করেছেন। সঙ্গে অফ স্পিনে ৮৪ উইকেট নিয়েছেন।

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে আম্পায়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়েছিলেন ইবাদুল্লা। প্রথম শ্রেণির ২০ ম্যাচের বিপরীত ১২ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডে একটি প্রাইভেট কোচিং ক্লিনিকও চালাতেন তিনি। ইবাদুল্লার পুত্র কাসেম ইবাদুল্লাও একজন ক্রিকেটার। গ্লুস্টারশায়ার ও ওটাগোর হয়ে ৩১টি প্রথম শ্রেণির এবং ১৯টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন কাসেম।