সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাদক তল্লাশির নামে আদিবাসী গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া-তাড়াশ সার্কেল) অমৃত কুমার সূত্রধর ও তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম।
তাড়াশ থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। তবে অভিযোগের পর প্রশাসনিক কারণে সন্তোষ কামারকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর শ্লীলতাহানির বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার তদন্ত করেছেন। তবে স্যার তদন্তে এর কোনো সত্যতা পাননি। পরে গতকাল (শুক্রবার) রাতে প্রশাসনিক কারণে এক আদেশে পুলিশ সুপার ওই এএসআইকে ক্লোজড করেন। এরপর তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত কুমার সূত্রধর ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি ভিডিওতে ওই গৃহবধূ যে অভিযোগ করেছেন তার প্রেক্ষিতে আমি নিজে ওই ঘটনার তদন্ত করেছি। তবে তদন্তে শ্লীলতাহানির কোনো সত্যতা মেলেনি।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে জানতে পেরেছি ওই নারী ভাত পচিয়ে দেশি মদ তৈরি করেন। সেদিনও যখন ওই এএসআই অভিযানে গিয়েছিলেন সেদিনও ওই নারী একটা পাত্রে ২ কেজি চালের ভাত পচাচ্ছিলেন। ওই নারী বলেছিলেন যে, তার এক আত্মীয়ের জন্য তিনি সেটা করছিলেন। পরে তিনি সেই ভাতগুলো ফেলে দেন।
সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তে গৃহবধূর সেই অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। তবে মাদকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযানে গেলে অন্তত একজন উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তার সঙ্গে যেতে হয়। ওই সহকারী উপ-পরিদর্শক যেহেতু তা করেননি সে কারণে তাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও যে ভিডিওতে ওই নারী অভিযোগ করেছেন সেই ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে কেও তাকে পাশ থেকে কথাগুলো শিখিয়ে দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে অভিযুক্ত এএসআই সন্তোষ কুমার মাদক তল্লাশির নামে তাড়াশ উপজেলার দেশিগ্রাম ইউনিয়নের গুড়পিপুল যশাইপাড়া গ্রামের এক আদিবাসী গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার এক ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী ঘটনার বিবরণ দিয়ে এর বিচার দাবি করেন। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।