Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিনেত্রী হিমুর প্রেমিক রাফি গ্রেফতার

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত তার পলাতক কথিত প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফিকে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এর সঙ্গে জড়িয়েছে হিমুর কথিত প্রেমিক জিয়াউদ্দিন রাফির নাম। কেউ কেউ বলছেন তার নাম উরফি জিয়া।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, হোমায়রা হিমুর মৃত্যুর পর অভিযোগ পাওয়া যায়, প্রেমিক রাফির সঙ্গে হিমুর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। কয়েকদিন ধরে হিমুর সঙ্গে রাফির ঝগড়া-বিবাদও হয়েছে। হাসপাতালে হিমুকে ফেলে রাফি পালিয়ে যায়। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হোমায়রা হিমুর মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করা হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যান রাফি। হিমুর মরদেহ রেখেই পালিয়ে যান অভিনেত্রীর সেই বন্ধু। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পরই তিনি হিমুর মোবাইল ফোনসহ পালিয়ে যান। বিবাহিত রাফির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হিমুর।

হিমুর কথিত প্রেমিক রাফি সম্পর্কে এখনো তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অভিনেত্রীর সহকর্মীরাও তাকে চেনেন না। কারণ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হিমু কাউকে কিছু বলতেন না।

অভিনেত্রীর কাছের সহকর্মী অভিনেতা প্রাণ রায় জানিয়েছেন, তিনি কখনো প্রেমিক রাফির নাম শোনেননি। তা ছাড়া ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও তাদের সঙ্গে আলোচনা হতো না।

জানা গেছে, ব্যক্তিগত জীবনে রাফি বিবাহিত ছিলেন। অনলাইন প্ল্যাটফরম ভিগো লাইভের সাপোর্টার ছিলেন রাফি। হিমুও এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।

রাফি প্রায়ই হিমুর ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করতেন। মাঝে মাঝে তারা একসঙ্গে থাকতেন। ঘটনার দিন বিকাল ৩টার দিকে হিমুর বাসায় গিয়েছিলেন রাফি। পরে তাদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। তখন হিমুর পালিত ভাই মিহির ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন। হিমু ঘরে একাই ছিলেন। এর পর মিহির বের হয়ে দেখেন হিমু ফ্যানের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ঝুলছে। রাফি ও মিহির তখন হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরার নিজ ফ্ল্যাটে সিলিংফ্যানের হ্যাঙ্গারে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন হোমায়রা হিমু। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

২০০৫ সালে ছোটপর্দায় নাম লেখান হিমু। অল্পদিনেই লাভ করেন জনপ্রিয়তা। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ উল্লেখযোগ্য।

চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হিমু। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এ ছবি তে অরু চরিত্রে দেখা যায় তাকে। হিমুর মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে তার সহকর্মীদের মাঝে। সামাজিক মাধ্যমে সেই শোক প্রকাশ করছেন তারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

অভিনেত্রী হিমুর প্রেমিক রাফি গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ০১:২৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত তার পলাতক কথিত প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফিকে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এর সঙ্গে জড়িয়েছে হিমুর কথিত প্রেমিক জিয়াউদ্দিন রাফির নাম। কেউ কেউ বলছেন তার নাম উরফি জিয়া।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, হোমায়রা হিমুর মৃত্যুর পর অভিযোগ পাওয়া যায়, প্রেমিক রাফির সঙ্গে হিমুর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। কয়েকদিন ধরে হিমুর সঙ্গে রাফির ঝগড়া-বিবাদও হয়েছে। হাসপাতালে হিমুকে ফেলে রাফি পালিয়ে যায়। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হোমায়রা হিমুর মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করা হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যান রাফি। হিমুর মরদেহ রেখেই পালিয়ে যান অভিনেত্রীর সেই বন্ধু। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পরই তিনি হিমুর মোবাইল ফোনসহ পালিয়ে যান। বিবাহিত রাফির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হিমুর।

হিমুর কথিত প্রেমিক রাফি সম্পর্কে এখনো তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অভিনেত্রীর সহকর্মীরাও তাকে চেনেন না। কারণ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হিমু কাউকে কিছু বলতেন না।

অভিনেত্রীর কাছের সহকর্মী অভিনেতা প্রাণ রায় জানিয়েছেন, তিনি কখনো প্রেমিক রাফির নাম শোনেননি। তা ছাড়া ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও তাদের সঙ্গে আলোচনা হতো না।

জানা গেছে, ব্যক্তিগত জীবনে রাফি বিবাহিত ছিলেন। অনলাইন প্ল্যাটফরম ভিগো লাইভের সাপোর্টার ছিলেন রাফি। হিমুও এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।

রাফি প্রায়ই হিমুর ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করতেন। মাঝে মাঝে তারা একসঙ্গে থাকতেন। ঘটনার দিন বিকাল ৩টার দিকে হিমুর বাসায় গিয়েছিলেন রাফি। পরে তাদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। তখন হিমুর পালিত ভাই মিহির ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন। হিমু ঘরে একাই ছিলেন। এর পর মিহির বের হয়ে দেখেন হিমু ফ্যানের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ঝুলছে। রাফি ও মিহির তখন হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরার নিজ ফ্ল্যাটে সিলিংফ্যানের হ্যাঙ্গারে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন হোমায়রা হিমু। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

২০০৫ সালে ছোটপর্দায় নাম লেখান হিমু। অল্পদিনেই লাভ করেন জনপ্রিয়তা। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ উল্লেখযোগ্য।

চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হিমু। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এ ছবি তে অরু চরিত্রে দেখা যায় তাকে। হিমুর মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে তার সহকর্মীদের মাঝে। সামাজিক মাধ্যমে সেই শোক প্রকাশ করছেন তারা।