Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবিশ্বাসের দেয়াল শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি ভেঙে দিয়েছেন: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেন, ভারতের সাথে সম্পর্কে কোনো চিড় ধরবে না। সংশয় অবিশ্বাসের দেয়াল শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ভেঙে দিয়েছেন। সরকার অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। ইশতেহার বাস্তবায়ন, রিজার্ভ, জ্বালানির সংকটসহ দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার কথাও জানান তিনি।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনীতি নিয়ে দু-দেশের মধ্যে অভিন্ন মত আছে। তবে অসাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিদমন এসব বিষয়ে উভয় পক্ষই এক। ভারত আমাদের ইলেকট্রিক বাসসহ নানা প্রকল্পে সহায়তা করছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারত প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিরোধী পক্ষ কোনো কোনো দেশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। সেক্ষেত্রে ভারত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার পক্ষে ছিল। নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারত আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে।

গেল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারত আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে। বিএনপি যখন কোনো কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল, তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

বিরোধী দল কারা হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানেতো বিরোধী দল বলতে জাতীয় পার্টিই সামনে আসে। তারা আগেও ছিল। তাদের অনেকে অভিজ্ঞ আছেন।’

দ্রব্যমূলের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেটা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা চ্যালেঞ্জের বলে স্বীকার করেছেন সেতুমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানান, দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকার কাজও শুরু করেছে।

মন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূলের দাম বাড়ছে, এটা বাস্তবতা, অস্বীকার করে লাভ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা নিয়ে একটি চ্যালেঞ্জ আছে। এ নিয়ে এ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা কাজে বসে গেছি।

তিনি আরও বলেন, কঠিন সময় পার করা, চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার সৎ সাহস আমাদের আছে। আমরা পেরেছি, ভবিষ্যতেও পারব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে দায়িত্ব আমরা নিয়েছি, সেটা আমরা পালন করব।

রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাধারণ সম্পাদক বলেন, নতুন সরকারের কাজে যখন বাধা আসবে, তখন সেটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। তারা (বিএনপি) এখানে যদি সহিংসতা বা সহিংস কোনো কর্মসূচি দেয় কিংবা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে সহিংসতা করে, তবে সেটার মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে।

সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না- বিএনপির এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিএনপি এ পর্যন্ত যত স্বপ্ন দেখেছে, সবই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অনেক দিন পর গতকাল আবির্ভূত হলেন। এতদিন পলাতক ছিলেন। তিনি এতদিন কোথায় পালিয়ে ছিলেন, সেই জবাব তো পেলাম না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে আছি। পাঁচ বছরের জন্য আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা কোটি যুবককে পাঁচ বছরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো, বছরে ২০ লাখ করে।’

তিনি বলেন, আমাদের যে চ্যালেঞ্জ তা হলো আমাদের দ্রব্যমূল্যকে নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের ডলার সংকট আছে, রিজার্ভ সংকট আছে, জ্বালানি সংকট আছে। এ সংকটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা। এগুলোকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মধ্যে নিয়ে আসা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গত সোমবার প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে মন্ত্রণালয়গুলোকে কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মন্ত্রণালয় তাদের প্ল্যান-প্রোগ্রাম করছে, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা কাজে বসে গেছি।’

এসময় ড. ইউনূস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সরকার মামলা সরকার করেনি শ্রমিকরা করেছে। চীন ও ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের সমন্বয় বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে অর্থ যার কাছে পাওয়া যাবে, তার কাছে যাওয়া বলে জানান তিনি।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

অবিশ্বাসের দেয়াল শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি ভেঙে দিয়েছেন: কাদের

প্রকাশের সময় : ০১:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেন, ভারতের সাথে সম্পর্কে কোনো চিড় ধরবে না। সংশয় অবিশ্বাসের দেয়াল শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ভেঙে দিয়েছেন। সরকার অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। ইশতেহার বাস্তবায়ন, রিজার্ভ, জ্বালানির সংকটসহ দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার কথাও জানান তিনি।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনীতি নিয়ে দু-দেশের মধ্যে অভিন্ন মত আছে। তবে অসাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিদমন এসব বিষয়ে উভয় পক্ষই এক। ভারত আমাদের ইলেকট্রিক বাসসহ নানা প্রকল্পে সহায়তা করছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারত প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিরোধী পক্ষ কোনো কোনো দেশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। সেক্ষেত্রে ভারত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার পক্ষে ছিল। নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারত আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে।

গেল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারত আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে। বিএনপি যখন কোনো কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল, তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

বিরোধী দল কারা হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানেতো বিরোধী দল বলতে জাতীয় পার্টিই সামনে আসে। তারা আগেও ছিল। তাদের অনেকে অভিজ্ঞ আছেন।’

দ্রব্যমূলের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেটা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা চ্যালেঞ্জের বলে স্বীকার করেছেন সেতুমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানান, দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকার কাজও শুরু করেছে।

মন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূলের দাম বাড়ছে, এটা বাস্তবতা, অস্বীকার করে লাভ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা নিয়ে একটি চ্যালেঞ্জ আছে। এ নিয়ে এ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা কাজে বসে গেছি।

তিনি আরও বলেন, কঠিন সময় পার করা, চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার সৎ সাহস আমাদের আছে। আমরা পেরেছি, ভবিষ্যতেও পারব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে দায়িত্ব আমরা নিয়েছি, সেটা আমরা পালন করব।

রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাধারণ সম্পাদক বলেন, নতুন সরকারের কাজে যখন বাধা আসবে, তখন সেটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। তারা (বিএনপি) এখানে যদি সহিংসতা বা সহিংস কোনো কর্মসূচি দেয় কিংবা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে সহিংসতা করে, তবে সেটার মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে।

সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না- বিএনপির এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিএনপি এ পর্যন্ত যত স্বপ্ন দেখেছে, সবই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অনেক দিন পর গতকাল আবির্ভূত হলেন। এতদিন পলাতক ছিলেন। তিনি এতদিন কোথায় পালিয়ে ছিলেন, সেই জবাব তো পেলাম না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে আছি। পাঁচ বছরের জন্য আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা কোটি যুবককে পাঁচ বছরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো, বছরে ২০ লাখ করে।’

তিনি বলেন, আমাদের যে চ্যালেঞ্জ তা হলো আমাদের দ্রব্যমূল্যকে নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের ডলার সংকট আছে, রিজার্ভ সংকট আছে, জ্বালানি সংকট আছে। এ সংকটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা। এগুলোকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মধ্যে নিয়ে আসা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গত সোমবার প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে মন্ত্রণালয়গুলোকে কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মন্ত্রণালয় তাদের প্ল্যান-প্রোগ্রাম করছে, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা কাজে বসে গেছি।’

এসময় ড. ইউনূস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সরকার মামলা সরকার করেনি শ্রমিকরা করেছে। চীন ও ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের সমন্বয় বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে অর্থ যার কাছে পাওয়া যাবে, তার কাছে যাওয়া বলে জানান তিনি।