Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে প্রকাশ্যে পুতিনের কথিত প্রেমিকার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘদিনের কথিত প্রেমিকা হিসেবে পরিচিত আলিনা কাবায়েভাকে অবশেষে প্রকাশ্যে দেখা গেছে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই জল্পনা চলছিল যে, আলিনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, আলিনার খোঁজ পাওয়া গেছে।

এর আগে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে, পুতিনের সিক্রেট ফরেস্ট প্যালেসে গৃহবন্দী হয়ে আছেন আলিনা। তাকে সবশেষ দেখা যায় গত ২২ অক্টোবর। এর পর থেকে তার হদিস মিলছিল না। তবে শেষমেশ আলিনা কাবায়েভাকে দেশটির সোচি শহরে তার জিমন্যাস্টিক একাডেমিতে দেখা গেছে। টানা ৪০ দিন পর তাকে দেখা গেল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে আলিনাকে বিয়ের আংটি পড়া অবস্থায়, কিন্তু তার মুখে হাসি ছিল না, তিনি ছিলেন গম্ভীর। সেই সময়ে জল্পনা ওঠে যে, পুতিনের সঙ্গে তার গোপনে বিয়ে হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়, আলিনাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, তার অনুপস্থিতির কারণ ছিল তার প্লাস্টিক সার্জারি।

রিপোর্টে বলা হয়, পুতিনের এই কথিত প্রেমিকা থালা-বাসন ভাঙেন এবং ছুরি ছুড়ে ফেলেন। সেইসঙ্গে তিনি নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোকে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য আহ্বান জানান। গত ১৫ বছর ধরে পুতিন ও আলিনার সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু স্বীকার করেননি।

রুশ নেতা সবসময়েই নিজেকে কঠোর গোপনীয়তার ঘেরাটোপে রাখেন। ব্যক্তিজীবন নিয়ে করা প্রশ্নগুলো সাধারণত একেবারেই উড়িয়ে দেন তিনি।

২০০৮ সালে মস্কোভস্কি করেসপন্ডেন্ট পত্রিকা খবর দেয়, ভ্লাদিমির পুতিন তার স্ত্রী লুদমিলাকে তালাক দিয়ে কাবায়েভাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছেন। এর কিছুদিন পরই রুশ কর্তৃপক্ষ পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়।

আলিনা কাবায়েভার জন্ম ১৯৮৩ সালে। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি রিদমিক জিমনাস্টিক্স শুরু করেন। অবসরে যাওয়ার আগে অলিম্পিক্স পদক ছাড়াও আলিনা ১৮টি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ পদক ও ২৫টি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ পদক জেতেন।

রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সরকারি দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির হয়ে ২০০৭-২০১৪ মেয়াদে আসন গ্রহণের মাধ্যমে আলিনা রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ২০১৪ সালে ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের প্রধান হন। এই প্রতিষ্ঠানটির হাতে রাশিয়ার প্রায় সবগুলো প্রধান রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর বেশিরভাগ মালিকানা রয়েছে।

পুতিন ও আলিনার ২০০১ সালে তোলা একটি ছবি পাওয়া যায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে পুতিন তার হাতে শীর্ষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা অর্ডার অব ফ্রেন্ডশিপ তুলে দিচ্ছেন। গুজব আছে, তাদের দুজনের সন্তান রয়েছে। তবে সন্তানের সংখ্যা এক এক খবরে এক এক রকম উল্লেখ রয়েছে।

একটি সুইস পত্রিকার খবর অনুযায়ী, কাভায়েভা ২০১৫ সালে লেক লুগানোর একটি বিশেষ ক্লিনিকে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। একই স্থানে ২০১৯ সালে তার আরেকটি ছেলে হয়। কিন্তু দ্য সানডে টাইমস এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর মোতাবেক, মস্কোতে ২০১৯ সালে যমজ ছেলে জন্ম দেন কাভায়েভা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

১০ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় না গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব : নাহিদ ইসলাম

অবশেষে প্রকাশ্যে পুতিনের কথিত প্রেমিকার!

প্রকাশের সময় : ০২:৩০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘদিনের কথিত প্রেমিকা হিসেবে পরিচিত আলিনা কাবায়েভাকে অবশেষে প্রকাশ্যে দেখা গেছে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই জল্পনা চলছিল যে, আলিনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, আলিনার খোঁজ পাওয়া গেছে।

এর আগে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে, পুতিনের সিক্রেট ফরেস্ট প্যালেসে গৃহবন্দী হয়ে আছেন আলিনা। তাকে সবশেষ দেখা যায় গত ২২ অক্টোবর। এর পর থেকে তার হদিস মিলছিল না। তবে শেষমেশ আলিনা কাবায়েভাকে দেশটির সোচি শহরে তার জিমন্যাস্টিক একাডেমিতে দেখা গেছে। টানা ৪০ দিন পর তাকে দেখা গেল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে আলিনাকে বিয়ের আংটি পড়া অবস্থায়, কিন্তু তার মুখে হাসি ছিল না, তিনি ছিলেন গম্ভীর। সেই সময়ে জল্পনা ওঠে যে, পুতিনের সঙ্গে তার গোপনে বিয়ে হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়, আলিনাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, তার অনুপস্থিতির কারণ ছিল তার প্লাস্টিক সার্জারি।

রিপোর্টে বলা হয়, পুতিনের এই কথিত প্রেমিকা থালা-বাসন ভাঙেন এবং ছুরি ছুড়ে ফেলেন। সেইসঙ্গে তিনি নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোকে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য আহ্বান জানান। গত ১৫ বছর ধরে পুতিন ও আলিনার সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু স্বীকার করেননি।

রুশ নেতা সবসময়েই নিজেকে কঠোর গোপনীয়তার ঘেরাটোপে রাখেন। ব্যক্তিজীবন নিয়ে করা প্রশ্নগুলো সাধারণত একেবারেই উড়িয়ে দেন তিনি।

২০০৮ সালে মস্কোভস্কি করেসপন্ডেন্ট পত্রিকা খবর দেয়, ভ্লাদিমির পুতিন তার স্ত্রী লুদমিলাকে তালাক দিয়ে কাবায়েভাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছেন। এর কিছুদিন পরই রুশ কর্তৃপক্ষ পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়।

আলিনা কাবায়েভার জন্ম ১৯৮৩ সালে। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি রিদমিক জিমনাস্টিক্স শুরু করেন। অবসরে যাওয়ার আগে অলিম্পিক্স পদক ছাড়াও আলিনা ১৮টি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ পদক ও ২৫টি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ পদক জেতেন।

রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সরকারি দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির হয়ে ২০০৭-২০১৪ মেয়াদে আসন গ্রহণের মাধ্যমে আলিনা রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ২০১৪ সালে ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের প্রধান হন। এই প্রতিষ্ঠানটির হাতে রাশিয়ার প্রায় সবগুলো প্রধান রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর বেশিরভাগ মালিকানা রয়েছে।

পুতিন ও আলিনার ২০০১ সালে তোলা একটি ছবি পাওয়া যায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে পুতিন তার হাতে শীর্ষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা অর্ডার অব ফ্রেন্ডশিপ তুলে দিচ্ছেন। গুজব আছে, তাদের দুজনের সন্তান রয়েছে। তবে সন্তানের সংখ্যা এক এক খবরে এক এক রকম উল্লেখ রয়েছে।

একটি সুইস পত্রিকার খবর অনুযায়ী, কাভায়েভা ২০১৫ সালে লেক লুগানোর একটি বিশেষ ক্লিনিকে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। একই স্থানে ২০১৯ সালে তার আরেকটি ছেলে হয়। কিন্তু দ্য সানডে টাইমস এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর মোতাবেক, মস্কোতে ২০১৯ সালে যমজ ছেলে জন্ম দেন কাভায়েভা।