Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। বেলা কিছুটা বাড়তেই মেঘে ঢেকে যায় পুরো আকাশ। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। ভ্যাপসা গরম আর তাপদাহের মধ্যে এ বৃষ্টি যেন নগরবাসীর জন্য স্বস্তিরই বার্তা।

বুধবার (১৭ মে) সকাল নয়টার পর থেকে শুরু হয়েছে বাতাস, সঙ্গে বৃষ্টি। এতে অফিস যাত্রায় ভোগান্তি হলেও গরম কমায় মনে রয়েছে স্বস্তি।

বৃষ্টির কারণে প্রস্তুতি ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া লোকজনকে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। ভিজে ভিজে কাউকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে দেখা গেছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে বেশকিছু সড়কে কিছুটা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

স্বস্তির তুমুল বৃষ্টিতে কাজে বের হওয়া এবং অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির কারণে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হয়েছে। বাস স্টপেজগুলোতে শত শত মানুষ ছাতা মাথায় গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছে।

বৃষ্টি চলাকলে রাজধানীর রায়েরবাগ, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রীদের আশেপাশের বিভিন্ন ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। বৃষ্টি থেকে গা বাঁচাতে গুলিস্তানে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে বিপুলসংখ্যক মানুষকে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।

ফার্মগেট মোড়ে ছাতা মাথায় গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী জয়নাল মিয়া। তিনি বলেন, শ্যামলি এলাকায় আমার অফিস। অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাস পাচ্ছি না। যে বাসগুলো আসছে সেগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হয়ে আসায় ওঠা যাচ্ছে না।

মিনহাজ নামের এক ব্যক্তি বলেন, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বৃষ্টি ছিল না। লেগুনা স্ট্যান্ডে আসার পর হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। আমার বাসা আজিমপুর এলাকায়। অফিস ফার্মগেটে। তাই প্রতিদিন লেগুনায় করে নিউ মার্কেট থেকে ফার্মগেট এলাকায় যাই। তবে আজকে বৃষ্টি হওয়াতে অফিসে যেতে দেরি হয়েছে।

আব্দুল আসাদুল ভিআইপি গাড়ির চালক বলেন, শুক্রাবাদ থেকে আড়ং পর্যন্ত আসতে গিয়ে অন্ধকার হয়ে যায়। সংসদ ভবনের সামনে এতো বড় রাস্তা আমার মতো অসংখ্য গাড়ি হেড লাইট জ্বালিয়েছেন। মনে হয়েছে রাতে চলাচল করছি। ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে রাজধানীর অনেক এলাকায় জুম বৃষ্টি শুরু হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতেও অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজধানীতে। ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় রাজধানীতে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। তবে ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর ঢাকা ভিজছে বৃষ্টিতে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, রংপুর বিভাগসহ রাজশাহী, নওগাঁ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশের সময় : ১১:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। বেলা কিছুটা বাড়তেই মেঘে ঢেকে যায় পুরো আকাশ। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। ভ্যাপসা গরম আর তাপদাহের মধ্যে এ বৃষ্টি যেন নগরবাসীর জন্য স্বস্তিরই বার্তা।

বুধবার (১৭ মে) সকাল নয়টার পর থেকে শুরু হয়েছে বাতাস, সঙ্গে বৃষ্টি। এতে অফিস যাত্রায় ভোগান্তি হলেও গরম কমায় মনে রয়েছে স্বস্তি।

বৃষ্টির কারণে প্রস্তুতি ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া লোকজনকে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। ভিজে ভিজে কাউকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে দেখা গেছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে বেশকিছু সড়কে কিছুটা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

স্বস্তির তুমুল বৃষ্টিতে কাজে বের হওয়া এবং অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির কারণে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হয়েছে। বাস স্টপেজগুলোতে শত শত মানুষ ছাতা মাথায় গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছে।

বৃষ্টি চলাকলে রাজধানীর রায়েরবাগ, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রীদের আশেপাশের বিভিন্ন ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। বৃষ্টি থেকে গা বাঁচাতে গুলিস্তানে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে বিপুলসংখ্যক মানুষকে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।

ফার্মগেট মোড়ে ছাতা মাথায় গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী জয়নাল মিয়া। তিনি বলেন, শ্যামলি এলাকায় আমার অফিস। অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাস পাচ্ছি না। যে বাসগুলো আসছে সেগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হয়ে আসায় ওঠা যাচ্ছে না।

মিনহাজ নামের এক ব্যক্তি বলেন, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বৃষ্টি ছিল না। লেগুনা স্ট্যান্ডে আসার পর হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। আমার বাসা আজিমপুর এলাকায়। অফিস ফার্মগেটে। তাই প্রতিদিন লেগুনায় করে নিউ মার্কেট থেকে ফার্মগেট এলাকায় যাই। তবে আজকে বৃষ্টি হওয়াতে অফিসে যেতে দেরি হয়েছে।

আব্দুল আসাদুল ভিআইপি গাড়ির চালক বলেন, শুক্রাবাদ থেকে আড়ং পর্যন্ত আসতে গিয়ে অন্ধকার হয়ে যায়। সংসদ ভবনের সামনে এতো বড় রাস্তা আমার মতো অসংখ্য গাড়ি হেড লাইট জ্বালিয়েছেন। মনে হয়েছে রাতে চলাচল করছি। ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে রাজধানীর অনেক এলাকায় জুম বৃষ্টি শুরু হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতেও অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজধানীতে। ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় রাজধানীতে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। তবে ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর ঢাকা ভিজছে বৃষ্টিতে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, রংপুর বিভাগসহ রাজশাহী, নওগাঁ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।