নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর আরামবাগ মোড়ে পিকআপের ওপর সমাবেশের মঞ্চ তৈরি শুরু করছেন জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা। এর পর সেখানেই তারা মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করে দেন। যদিও ১২টার দিকে পুলিশ আরামবাগেই তাদের সমাবেশ করার মৌখিক অনুমতি দেয়।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে আরামবাগ মোড়ে অবস্থান নেন জামায়াতের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার লিটন কুমার সাহা তিনি বলেন, এখানে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা রয়েছেন। তারা এখানেই সমাবেশ করতে চাচ্ছেন।
অনুমতি দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওভাবেই অনুমতি দিতে পারি না। তবে তারা এখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবেন।
সমাবেশের মৌখিক অনুমতি পাওয়ার খবরের পর রাজধানীর মতিঝিলের পেট্রোল পাম্পের পাশের ব্যারিকেড ভেঙে আরামবাগে প্রবেশ করে জামায়াত নেতাকর্মী।
এদিন আরামবাগ মোড়ের ব্যারিকেড গুঁটিয়ে দেন জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। মতিঝিলে ফুটবল ফেডারেশন গলি হয়ে দলে দলে সমাবেশস্থলে যোগ দেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকালে মতিঝিলে ফুটবল ফেডারেশনের গলিতে অবস্থান নিয়েছিলেন জামায়াতের হাজারো নেতাকর্মী। এছাড়া অনুমতি না মেলায় সকাল থেকেই তারা মতিঝিলের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়েছিলেন। পরে হঠাৎ করেই ফুটবল ফেডারেশনের গলি হয়ে সোনালী ব্যাংকের টয়েনবি সার্কুলার রোড শাখা মুখের ব্যারিকেড ভেঙে নারায়ে তাকবির স্লোগানে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
এর আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এসএম মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে আট সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে পুলিশ। আরামবাগ মোড়ের আল হেলাল পুলিশ বক্সের মধ্যে এ আলোচনায় বসেন তারা। বৈঠকে জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেয় পুলিশ।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে জামায়াত নেতাকর্মীরা শাপলা চত্বরে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ তাদের নটরডেম কলেজ ফুটওভার ব্রিজের সামনে আটকে দেয়।
এদিকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মতিঝিল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কঠোর অবস্থান দেখা গেছে। রাজধানীর টিকাটুলি মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, শাপলা চত্বর, নটরডেম কলেজের গলি, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনের গলিসহ পুরো এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আনসার ব্যাটালিয়ন, র্যাব, পুলিশ।