Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শিশু হত্যা বন্ধে আহ্বান ট্রুডোর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শিশু হত্যা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেছেন, বিশ্ব দেখছে কীভাবে নারী, শিশু ও নবজাতকদের হত্যা করা হচ্ছে। এটি বন্ধ করতেই হবে। এই বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এই বেসামরিক মৃত্যুর জন্য ইসরায়েল নয়, হামাস দায়ী।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনায় সরব হলেন ট্রুডো। যদিও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিল কানাডা।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের মতো কানাডাও এখন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আমি ইসরায়েল সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর জন্য অনুরোধ করছি। সারা বিশ্ব টিভিতে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সব কিছু দেখছে। আমরা ডাক্তার, পরিবারের সদস্য, বেঁচে যাওয়া মানুষসহ বাচ্চাদের যারা তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে তাদের কথা শুনছি।

পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সারা বিশ্বই নারী, অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে ও শিশুদের হত্যার এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করছে। এটা বন্ধ করতে হবে।

ট্রুডো আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে হামাসকে। একইসঙ্গে আটককৃত সকল বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। সংঘাত শুরুর পর গাজা থেকে প্রায় ৩৫০ কানাডিয়ান নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত সপ্তাহে হামাসের হাতে আটক সকল বন্দিকে মুক্তি এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা সরবরাহের সুযোগ দিতে চলমান সংঘাতে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সেই সঙ্গে ইসরায়েল সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ হাজার। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।

যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এত কড়া বার্তা দিল কানাডা।

প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল ইচ্ছা করে বেসামরিকদের হত্যা করছে না, বরং হামাস ইচ্ছা করে ইসরায়েলি বেসামরিকদের হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ইসরায়েল সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বেসামরিকদের যেন ক্ষতি না হয়, আর হামাস সব চেষ্টা করছে বেসামরিকদের সামনে আনতে।

নেতানিয়াহু দাবি করেন, বেসামরিকদের জন্য মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠা করা হলে, হামাস তাদের বন্দুক ঠেকিয়ে যেতে বারণ করে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শিশু হত্যা বন্ধে আহ্বান ট্রুডোর

প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শিশু হত্যা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেছেন, বিশ্ব দেখছে কীভাবে নারী, শিশু ও নবজাতকদের হত্যা করা হচ্ছে। এটি বন্ধ করতেই হবে। এই বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এই বেসামরিক মৃত্যুর জন্য ইসরায়েল নয়, হামাস দায়ী।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনায় সরব হলেন ট্রুডো। যদিও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিল কানাডা।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের মতো কানাডাও এখন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আমি ইসরায়েল সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর জন্য অনুরোধ করছি। সারা বিশ্ব টিভিতে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সব কিছু দেখছে। আমরা ডাক্তার, পরিবারের সদস্য, বেঁচে যাওয়া মানুষসহ বাচ্চাদের যারা তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে তাদের কথা শুনছি।

পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সারা বিশ্বই নারী, অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে ও শিশুদের হত্যার এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করছে। এটা বন্ধ করতে হবে।

ট্রুডো আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে হামাসকে। একইসঙ্গে আটককৃত সকল বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। সংঘাত শুরুর পর গাজা থেকে প্রায় ৩৫০ কানাডিয়ান নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত সপ্তাহে হামাসের হাতে আটক সকল বন্দিকে মুক্তি এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা সরবরাহের সুযোগ দিতে চলমান সংঘাতে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সেই সঙ্গে ইসরায়েল সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ হাজার। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।

যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এত কড়া বার্তা দিল কানাডা।

প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল ইচ্ছা করে বেসামরিকদের হত্যা করছে না, বরং হামাস ইচ্ছা করে ইসরায়েলি বেসামরিকদের হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ইসরায়েল সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বেসামরিকদের যেন ক্ষতি না হয়, আর হামাস সব চেষ্টা করছে বেসামরিকদের সামনে আনতে।

নেতানিয়াহু দাবি করেন, বেসামরিকদের জন্য মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠা করা হলে, হামাস তাদের বন্দুক ঠেকিয়ে যেতে বারণ করে।