Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপসংস্কৃতির হাত থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে উদ্ধার করেছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশে অপসংস্কৃতির যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২১ বছর পর অপসংস্কৃতির হাত থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে উদ্ধার করেছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বাঙালি, আমাদের ভেতর যে সৃষ্টিশীলতা রয়েছে, তা যেন সকলে ভুলেই গিয়েছিল তখন। একটি দেশের সমাজকে সচেতন করতে পারে চলচ্চিত্র। সিনেমা যেমন আনন্দ দেয়, তেমনি ইতিহাসও ধারণ করে রাখে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় আমাদের অনেক সিনেমাহল ছিল। মানুষের বিনোদনের সুযোগ ছিল। ধীরে ধীরে সেসব বন্ধ হয়ে গেলে সিনেমা মালিকদের সাথে আমরা বসি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারেও আমরা গুরুত্ব দেই। সিনেমাহলগুলোকে উন্নত করার প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় এক হাজার কোটি টাকার একটা পূর্ণ অর্থায়ন তহবিলও গঠন করে বলে জানান তিনি।

বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণের ব্যয় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বলেছেন, টাকার অঙ্ক দিয়ে হিসাব করি না, আমাদের শিল্পীরা যাতে ভালো করে কাজ করতে পারে, সেটাই চাই। আমরা গাজীপুরে ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠা করেছি। এটাও বঙ্গবন্ধু চিন্তা করেছিলেন। এটার প্রথম পর্বের কাজ শেষ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় পর্বের কাজও হচ্ছে। সেখানে সব ধরনের শুটিং যাতে করা যায়, সেই ব্যবস্থা থাকবে। আমরা চাই দেশের অঙ্গন ছাড়িয়ে আমাদের চলচ্চিত্র বিদেশেও সমাদৃত হোক। সেই সঙ্গে শিল্পী-কুশলী সবাইকে আমি এই আহ্বান জানাই, এদিকে আরও মনোযোগ দিন। যেহেতু মানুষের জীবনে সচ্ছলতা এসেছে, তাই তারা বিনোদনের দিকে ঝুঁকছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, একটি দেশের সমাজকে চলচ্চিত্র সচেতন করতে পারে, আনন্দ দিতে পারে, সংস্কার করতে পারে, ইতিহাসকে ধারণ করতে পারে, দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবির শিল্পীদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, নির্মাতা-শিল্পীরা প্রত্যেকেই চমৎকার কাজ করেছেন। বিশেষ করে অভিনয়শিল্পীরা, তারা এত চমৎকার অভিনয় করেছে। সম্পূর্ণ অন্তর দিয়ে কাজ করেছে। এজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আশা করি এটা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বড় অর্জন হয়ে থাকবে।

যদিও খুব একটা অবসর মেলে না। তবু মাঝে মধ্যে ছবি দেখেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তার ভাষ্য, হলে যেহেতু সিনেমা দেখা হয় না, যখন বিমানে চড়ি, তখন কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমা দেখি। কিছু দিন আগে সাউথ আফ্রিকায় যাওয়ার সময় পরপর দুইটা সিনেমা দেখলাম। মাঝে মাঝে অনেকে আমাকে পেনড্রাইভে ছবি পাঠায়, সেগুলাও দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু সরকার চালানোর পাশাপাশি তো অতো সময় পাওয়া যায় না।

বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রযোজক ও পরিচালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি বলেন, চলচ্চিত্র একটি দেশের ইতিহাসকে ধরে রাখতে পারে, জাতি গঠনে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তাই ভালো মানের সিনেমা বানানোর চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, সাধারণের মানুষের মধ্যে স্বচ্ছলতা এসেছে, তারা বিনোদনের দিকে ঝুঁকছে। তাই প্রযোজক ও পরিচালকরা চেষ্টা করবেন ভালো মানের সিনেমা তৈরি করতে। ভালো সিনেমা একটি জাতিকে পরিবর্তন করতে বড় ভূমিকা পালন করে।

যদিও ভালো মানের চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রশিক্ষণের বিকল্প দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী। তাই তিনি চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণে জোর দিয়ে বলেন, চলচ্চিত্র একটি দেশের ইতিহাসকে ধরে রাখতে পারে, জাতি গঠনে ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তাই প্রযোজক-পরিচালকরা চেষ্টা করবেন বিশ্বমানের চলচ্চিত্র বানাতে হবে। কিন্তু এর জন্য প্রশিক্ষণ দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সামনে আরও প্রকল্প নেয়া হবে। ভালো মানের সিনেমা তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা চাই না সিনেমার পাইরেসি হোক, অশ্লীল সিনেমা তৈরি হোক। আমাদের অনেক পুরাতন সিনেমা আছে যেগুলোর ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। আমরা ফিল্ম আর্কাইভ ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। এর মাধ্যমে পুরাতন সিনেমাগুলো পুনরুদ্ধার করে ডিজিটাল পদ্ধিতেতে এখন মানুষকে দেখানোর সুযোগ এসেছে। এগুলো দেখলে মানুষ অনেক তথ্য জানতে পারবে।

চলচ্চিত্র শিল্পীদের উন্নয়নে গাজীপুরের কবিরহাটে ১০৫ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রের শিল্পীরা ভালোভাবে কাজ করতে পারবে সেই পরিবেশ তৈরি করতে চাই। গাজীপুরের কবিরহাটে ১০৫ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপন করেছি। এটি বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ছিল, জায়গাও তিনি ঠিক করে গিয়েছিলেন। আপনারা জানেন প্রথম পর্বের কাজ শেষ, দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে যাতে সব সিনেমার শুটিং করা যায় সেই ব্যবস্থা করব।

আর ঢাকা থেকে গাজীপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প চলমান আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি করেছি। এখন ঢাকা থেকে দ্রুত গাজীপুরে পৌঁছে যাওয়া যাবে। আবার শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফেরা যাবে।

পুরতন চলচ্চিত্র পুনরুদ্ধার করে ডিজিটাল পদ্ধিতেতে রূপান্তর করতে জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই না চলচ্চিত্রের পাইরেসি হোক, অশ্লীল চলচ্চিত্র তৈরি হোক। আমাদের অনেক পুরাতন চলচ্চিত্র আছে যেগুলোর ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। আমরা ফিল্ম আর্কাইভ ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। এর মাধ্যমে পুরতন চলচ্চিত্রগুলো পুনরুদ্ধার করে ডিজিটাল পদ্ধিতেতে এখন মানুষকে দেখানোর সুযোগ এসেছে। এগুলো দেখলে মানুষ অনেক তথ্য জানতে পারবে।

অনুষ্ঠানে যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু ও চিত্রনায়িকা রোজিনাকে। দেশের বাইরে থাকায় খসরুর পুরস্কার নেন অভিনেতা আলমগীর।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

অপসংস্কৃতির হাত থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে উদ্ধার করেছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৯:১৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশে অপসংস্কৃতির যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২১ বছর পর অপসংস্কৃতির হাত থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে উদ্ধার করেছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বাঙালি, আমাদের ভেতর যে সৃষ্টিশীলতা রয়েছে, তা যেন সকলে ভুলেই গিয়েছিল তখন। একটি দেশের সমাজকে সচেতন করতে পারে চলচ্চিত্র। সিনেমা যেমন আনন্দ দেয়, তেমনি ইতিহাসও ধারণ করে রাখে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় আমাদের অনেক সিনেমাহল ছিল। মানুষের বিনোদনের সুযোগ ছিল। ধীরে ধীরে সেসব বন্ধ হয়ে গেলে সিনেমা মালিকদের সাথে আমরা বসি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারেও আমরা গুরুত্ব দেই। সিনেমাহলগুলোকে উন্নত করার প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় এক হাজার কোটি টাকার একটা পূর্ণ অর্থায়ন তহবিলও গঠন করে বলে জানান তিনি।

বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণের ব্যয় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বলেছেন, টাকার অঙ্ক দিয়ে হিসাব করি না, আমাদের শিল্পীরা যাতে ভালো করে কাজ করতে পারে, সেটাই চাই। আমরা গাজীপুরে ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠা করেছি। এটাও বঙ্গবন্ধু চিন্তা করেছিলেন। এটার প্রথম পর্বের কাজ শেষ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় পর্বের কাজও হচ্ছে। সেখানে সব ধরনের শুটিং যাতে করা যায়, সেই ব্যবস্থা থাকবে। আমরা চাই দেশের অঙ্গন ছাড়িয়ে আমাদের চলচ্চিত্র বিদেশেও সমাদৃত হোক। সেই সঙ্গে শিল্পী-কুশলী সবাইকে আমি এই আহ্বান জানাই, এদিকে আরও মনোযোগ দিন। যেহেতু মানুষের জীবনে সচ্ছলতা এসেছে, তাই তারা বিনোদনের দিকে ঝুঁকছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, একটি দেশের সমাজকে চলচ্চিত্র সচেতন করতে পারে, আনন্দ দিতে পারে, সংস্কার করতে পারে, ইতিহাসকে ধারণ করতে পারে, দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবির শিল্পীদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, নির্মাতা-শিল্পীরা প্রত্যেকেই চমৎকার কাজ করেছেন। বিশেষ করে অভিনয়শিল্পীরা, তারা এত চমৎকার অভিনয় করেছে। সম্পূর্ণ অন্তর দিয়ে কাজ করেছে। এজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আশা করি এটা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বড় অর্জন হয়ে থাকবে।

যদিও খুব একটা অবসর মেলে না। তবু মাঝে মধ্যে ছবি দেখেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তার ভাষ্য, হলে যেহেতু সিনেমা দেখা হয় না, যখন বিমানে চড়ি, তখন কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমা দেখি। কিছু দিন আগে সাউথ আফ্রিকায় যাওয়ার সময় পরপর দুইটা সিনেমা দেখলাম। মাঝে মাঝে অনেকে আমাকে পেনড্রাইভে ছবি পাঠায়, সেগুলাও দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু সরকার চালানোর পাশাপাশি তো অতো সময় পাওয়া যায় না।

বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রযোজক ও পরিচালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি বলেন, চলচ্চিত্র একটি দেশের ইতিহাসকে ধরে রাখতে পারে, জাতি গঠনে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তাই ভালো মানের সিনেমা বানানোর চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, সাধারণের মানুষের মধ্যে স্বচ্ছলতা এসেছে, তারা বিনোদনের দিকে ঝুঁকছে। তাই প্রযোজক ও পরিচালকরা চেষ্টা করবেন ভালো মানের সিনেমা তৈরি করতে। ভালো সিনেমা একটি জাতিকে পরিবর্তন করতে বড় ভূমিকা পালন করে।

যদিও ভালো মানের চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রশিক্ষণের বিকল্প দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী। তাই তিনি চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণে জোর দিয়ে বলেন, চলচ্চিত্র একটি দেশের ইতিহাসকে ধরে রাখতে পারে, জাতি গঠনে ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তাই প্রযোজক-পরিচালকরা চেষ্টা করবেন বিশ্বমানের চলচ্চিত্র বানাতে হবে। কিন্তু এর জন্য প্রশিক্ষণ দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সামনে আরও প্রকল্প নেয়া হবে। ভালো মানের সিনেমা তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা চাই না সিনেমার পাইরেসি হোক, অশ্লীল সিনেমা তৈরি হোক। আমাদের অনেক পুরাতন সিনেমা আছে যেগুলোর ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। আমরা ফিল্ম আর্কাইভ ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। এর মাধ্যমে পুরাতন সিনেমাগুলো পুনরুদ্ধার করে ডিজিটাল পদ্ধিতেতে এখন মানুষকে দেখানোর সুযোগ এসেছে। এগুলো দেখলে মানুষ অনেক তথ্য জানতে পারবে।

চলচ্চিত্র শিল্পীদের উন্নয়নে গাজীপুরের কবিরহাটে ১০৫ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রের শিল্পীরা ভালোভাবে কাজ করতে পারবে সেই পরিবেশ তৈরি করতে চাই। গাজীপুরের কবিরহাটে ১০৫ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপন করেছি। এটি বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ছিল, জায়গাও তিনি ঠিক করে গিয়েছিলেন। আপনারা জানেন প্রথম পর্বের কাজ শেষ, দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে যাতে সব সিনেমার শুটিং করা যায় সেই ব্যবস্থা করব।

আর ঢাকা থেকে গাজীপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প চলমান আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি করেছি। এখন ঢাকা থেকে দ্রুত গাজীপুরে পৌঁছে যাওয়া যাবে। আবার শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফেরা যাবে।

পুরতন চলচ্চিত্র পুনরুদ্ধার করে ডিজিটাল পদ্ধিতেতে রূপান্তর করতে জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই না চলচ্চিত্রের পাইরেসি হোক, অশ্লীল চলচ্চিত্র তৈরি হোক। আমাদের অনেক পুরাতন চলচ্চিত্র আছে যেগুলোর ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। আমরা ফিল্ম আর্কাইভ ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। এর মাধ্যমে পুরতন চলচ্চিত্রগুলো পুনরুদ্ধার করে ডিজিটাল পদ্ধিতেতে এখন মানুষকে দেখানোর সুযোগ এসেছে। এগুলো দেখলে মানুষ অনেক তথ্য জানতে পারবে।

অনুষ্ঠানে যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু ও চিত্রনায়িকা রোজিনাকে। দেশের বাইরে থাকায় খসরুর পুরস্কার নেন অভিনেতা আলমগীর।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।