করোনা সংক্রমণরোধে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর সেগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে রাঙ্গামাটি জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো। তার মধ্যে রয়েছে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রের একটি রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি। খুলছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, কিশোরগঞ্জের হাকালুকি হাওর এলাকাসহ দেশের সবগুলো পর্যটন কেন্দ্র।
ইতোমধ্যে খুলে দেয়া হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্র।
সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, দীর্ঘদিন পর পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুললে আবার কোলাহাল বাড়বে পর্যটকদের। সেই সাথে জীবন জীবিকার সংস্থান বাড়বে। আর্থিকভাবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা কিছুটা হলেও পুষিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিন্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব (জিতু)।
আরও পড়ুন : সুনামগঞ্জের হাওরে হবে ১৩ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে
ইউএনও জানান, পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক রিজোর্ট মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগত পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলেরও অনুরোধ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সাজেকে অবস্থিত অবকাশ রিজোর্টের সত্ত্বাধিকারী লাল মিং ময়া জানান, দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দিলেও সাজেক পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ছিল। সাজেক খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। দীর্ঘদিন করোনা মহামারির কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে কটেজ-রিজোর্ট মালিকরা। খুলে দেওয়ার ফলে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে, সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ জানান, প্রশাসনের সঙ্গে পর্যটন নিষেধাজ্ঞা তোলার ব্যাপারে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কটেজ-রিজোর্ট চালাতে হবে।
তিনি জানান, বিগত পাঁচ মাস ধরেই সাজেকে পর্যটক আসা বন্ধ থাকার কারণে এই খাতের সঙ্গে নির্ভরশীলরাও বেকায়দায় পড়েছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে কর্মচারি ছাঁটাইও করেছেন। এখন আবার সাজেক খুলেছে। শতাধিক কটেজ-রিজোর্টসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে যানবাহন চালকরাও এখন কাজে ফিরতে পারবেন।