নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মৌলভীবাজার জেলার অন্যতম হাওর কাউয়াদীঘির পূর্ব পাশে অবস্থিত রাজনগর, বালাগঞ্জ সড়কের ভুরভুরি ছড়া। সেই ছড়ায় অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত বক্সকালভার্ট অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে হাওরপারের বাসিন্দারা।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি রাজনগর উপজেলার আয়োজনে রাজনগর উপজেলার মেদেনীমহল গ্রামের ভুরভুরি ছড়ার নতুন বক্সকালভার্টের উপরে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি রাজনগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে বক্সকালভার্ট অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণের দাবিতে জেলা সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকার যেখানে হাওর-বাঁওড়, নদীনালা ও খালবিলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত ভুরভুরি ছড়ায় অপরিকল্পিত বক্সকালভার্ট আজ হাওরপাড়ের মানুষের জন্য গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবন-যাত্রাকে সম্পুর্ণ আগ্রহ্য করে অতি নিচুতে কালভার্টি নির্মাণের কারণে হাওরাঞ্চলের কৃষক ও জেলেসহ সাধারণ মানুষ আজ নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশেষ করে, বর্ষাকালে কালভার্টের নিচ দিয়ে নৌকা চলাচল করতে পারে না। যার ফলে হাওর থেকে গরু-মহিষের খাদ্য এবং বোরো মৌসুমে উৎপাদিত ফসল সংগ্রহ ব্যহত হচ্ছে। অন্যদিকে বক্সকালভার্টির কারণে ছড়া দিয়ে উজানের পানি হাওরে প্রবাহিত হতেও বাঁধা সৃষ্টি করছে। এতে একটু বৃষ্টিপাত হলেই হাওরের উজানের আমন ধান পানিতে তলিয়ে যায়।

বক্তারা আরো বলেন, হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন সচল এবং ফসল রক্ষায় অপরিকল্পিত বক্সকালভার্টি অপসারণ করে পূর্বের সেতুর ন্যায় নতুন সেতু নির্মাণ করতে হবে। আমরা আজ মানববন্ধন করে বক্সকালভার্টি অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি মানা না হলে হাওরপাড়ের কৃষক-জেলেসহ সাধারণ মানুষকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হব।

হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি রাজনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক মাস্টার সামছুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য গউছুজ্জামানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ চৌধুরী, সদর উপজেলার সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমদ, জেলা সদস্য মুজাহিদ আহমদ, বিশ্বজিৎ নন্দী, ভুক্তভোগী কৃষক মো. খালিক, মো. মেন্দি মিয়া, মো. ইসলাম মিয়া, লুতফুর রহমান মাস্টার প্রমুখ।