নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্তর্বর্তী সরকারকে মেপে চলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, কোনো ভুল হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শহিদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে কখনও পিছপা হয়নি বিএনপি। অনেকে অনেক কিছু করেছে কিন্তু বিএনপি কখনও দলীয় স্বার্থ হাসিল করেনি। জাতির প্রত্যেকটি অর্জনে গর্ব করার দল হচ্ছে বিএনপি। ১৯৭১, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর, ১৯৯০ এবং ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির ছিল গৌরবোজ্জ্বল অবদান।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের কৃতকর্মের প্রতিবাদ ছিল সাত নভেম্বর। এরশাদকে জাতীয় বেইমান বলে ২৪ ঘণ্টারর মধ্যে এরশাদের দলে ভিড়েছেন শেখ হাসিনা। ৯০ নিয়েও গর্ব করতে পারে না আওয়ামী লীগ। ৫ আগস্টের আন্দোলন শেখ হাসিনার গর্ব করার নয়; পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস।
বিএনপির সঙ্গে ছলচাতুরি করে কোনো লাভ হবে না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে রোডম্যাপ দিয়েছে তা প্রলম্বিত রোডম্যাপ জনগণ তা প্রত্যাশা করেনি।
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, রাজনৈতিক দল করার অধিকার সবার আছে। তবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় দল হলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশীজনদের গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা করতে হবে। স্বৈরাচারের প্রভাবে নির্বাচিত স্থানীয় প্রতিনিধি ও সব ক্রিমিনাল একত্রিত হয়ে কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে, কোন দলকে সংগঠিত করলে তা অপরাধীদের দল হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যথেষ্ট সচেতন। তারা কিন্তু উট পাখির ন্যায় বালির নিচে মাথা গুঁজে নেই।
পতিত শেখ হাসিনা যে দেশে আশ্রয় নিয়েছেন সেদেশের সরকার মিডিয়াকে প্রভাব বিস্তার করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহবায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম রনি, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য নাজমুল হাসান, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন— মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি’র আহবায়ক শুকুর মাহমুদ, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদল সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদ আওয়াল, হাবিবুল বাশার, যুগ্ম-সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজিব, আদাবর থানা যুবদল নেতা রাফি উদ্দিন ফয়সাল, সাকিবুল হোসেন, মাহফুজ, জিয়া সাইবার ফোর্সের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক রাজিবুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নুর হোসেন, শারিফুল, মোহান, মিসবাহ, রুবেল, মাসুসসহ মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।