Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে পুরো আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে : মান্না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চাপিয়ে দিয়ে নয়, সংস্কার হতে হবে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে। এমন মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে পুরো আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের নাগরিক ঐক্যতে যোগদান উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তবে সরকার সংস্কার প্রশ্নে যৌক্তিক সময় দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বলছি, যে সময়টা লাগবে—তা দিতে হবে। আমরা কি জানতাম এত বড় একটা অভ্যুত্থান হবে? আমরা জানতাম, দেড় মাস পুলিশ থাকবে না? পুলিশ সংস্কার ছাড়া কীভাবে নির্বাচন করবেন? নির্বাচন কমিশন সংস্কার মানে কী, পুরো নির্বাচনব্যবস্থারই সংস্কার! তাই এই সরকারকে সময় দিতে হবে। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশ ব্যর্থ হবে।

মান্না বলেন, শুধু সরকার বদল নয় বরং মানুষের ভাগ্য বদলে কাজ করতে চায় নাগরিক ঐক্য। নতুন করে এই দেশ বিনির্মাণে যত ত্যাগ স্বীকার করতে হোক না কেন, তার জন্য তিনি ও তার দল প্রস্তুত বলেও জানান মান্না। এসময় নিজেদের সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে দেশের রাজনীতি সমৃদ্ধ করতে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।

গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণ পরিবর্তন আশা করলেও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, গায়ের জোরে গুন্ডামি করে রাজনীতি হয় না, এটাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শিক্ষা।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জনগণের রায়ের সঙ্গে যদি না যান, তাহলে কোনো আপস না। চাঁদাবাজি, দখলবাজি যারা শুরু করছে, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেই হবে। বানানো মামলা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। গায়ের জোরে গুন্ডামি করে রাজনীতি হয় না, এটাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শিক্ষা।

সংস্কার প্রস্তাবনা ও কমিশনের কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বলেছি, সবার সঙ্গে কথা বলেই সংস্কার প্রস্তাবগুলো করতে হবে। আপনারা প্রস্তাব দেবেন, সবার আলোচনা, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব হবে। আপনি কমিশনের প্রধান নিজের মতো নিজে প্রস্তাব দেবেন, তা হবে না। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, তা নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে দেওয়া হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূস নির্বাচন আয়োজন ও সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময়ের বেশি নেবেন না জানিয়ে মান্না বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, উনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে চলে যাবেন। অন্যদের মতো ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখবেন না।

এ সময় তিনি দ্রব্যমূল্য কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জিনিসের দাম কমেনি। এখন কি সিন্ডিকেট আছে? সমন্বয়কেরাও এখন সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রশ্ন করছে। এখনো কেন কমছে না?’

রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে মান্না বলেন, প্রেসিডেন্ট আছে, তাঁর কাজ কী? প্রেসিডেন্ট এখন না থাকলে কী হয়? প্রধানমন্ত্রী যা বলবে তাই করবে? তাঁকে কিছু ক্ষমতা দেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে বরিশাল, যশোর ও পটুয়াখালীর বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং কামরাঙ্গীরচরসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠক দলটিতে যোগ দিয়েছেন। যোগদান করা নতুন নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে দলে স্বাগত জানান দলের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

যোগদান অনুষ্ঠানে ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে পুরো আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে : মান্না

প্রকাশের সময় : ০৪:২৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চাপিয়ে দিয়ে নয়, সংস্কার হতে হবে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে। এমন মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে পুরো আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের নাগরিক ঐক্যতে যোগদান উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তবে সরকার সংস্কার প্রশ্নে যৌক্তিক সময় দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বলছি, যে সময়টা লাগবে—তা দিতে হবে। আমরা কি জানতাম এত বড় একটা অভ্যুত্থান হবে? আমরা জানতাম, দেড় মাস পুলিশ থাকবে না? পুলিশ সংস্কার ছাড়া কীভাবে নির্বাচন করবেন? নির্বাচন কমিশন সংস্কার মানে কী, পুরো নির্বাচনব্যবস্থারই সংস্কার! তাই এই সরকারকে সময় দিতে হবে। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশ ব্যর্থ হবে।

মান্না বলেন, শুধু সরকার বদল নয় বরং মানুষের ভাগ্য বদলে কাজ করতে চায় নাগরিক ঐক্য। নতুন করে এই দেশ বিনির্মাণে যত ত্যাগ স্বীকার করতে হোক না কেন, তার জন্য তিনি ও তার দল প্রস্তুত বলেও জানান মান্না। এসময় নিজেদের সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে দেশের রাজনীতি সমৃদ্ধ করতে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।

গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণ পরিবর্তন আশা করলেও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, গায়ের জোরে গুন্ডামি করে রাজনীতি হয় না, এটাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শিক্ষা।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জনগণের রায়ের সঙ্গে যদি না যান, তাহলে কোনো আপস না। চাঁদাবাজি, দখলবাজি যারা শুরু করছে, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেই হবে। বানানো মামলা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। গায়ের জোরে গুন্ডামি করে রাজনীতি হয় না, এটাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শিক্ষা।

সংস্কার প্রস্তাবনা ও কমিশনের কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বলেছি, সবার সঙ্গে কথা বলেই সংস্কার প্রস্তাবগুলো করতে হবে। আপনারা প্রস্তাব দেবেন, সবার আলোচনা, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব হবে। আপনি কমিশনের প্রধান নিজের মতো নিজে প্রস্তাব দেবেন, তা হবে না। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, তা নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে দেওয়া হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূস নির্বাচন আয়োজন ও সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময়ের বেশি নেবেন না জানিয়ে মান্না বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, উনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে চলে যাবেন। অন্যদের মতো ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখবেন না।

এ সময় তিনি দ্রব্যমূল্য কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জিনিসের দাম কমেনি। এখন কি সিন্ডিকেট আছে? সমন্বয়কেরাও এখন সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রশ্ন করছে। এখনো কেন কমছে না?’

রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে মান্না বলেন, প্রেসিডেন্ট আছে, তাঁর কাজ কী? প্রেসিডেন্ট এখন না থাকলে কী হয়? প্রধানমন্ত্রী যা বলবে তাই করবে? তাঁকে কিছু ক্ষমতা দেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে বরিশাল, যশোর ও পটুয়াখালীর বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং কামরাঙ্গীরচরসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠক দলটিতে যোগ দিয়েছেন। যোগদান করা নতুন নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে দলে স্বাগত জানান দলের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

যোগদান অনুষ্ঠানে ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।