Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না : তারেক রহমান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, মনে রাখতে হবে এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। তবে নিজেরা যাতে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হন সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে গণঅভ্যুত্থানে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। এই সরকারের প্রতি সব সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিতা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। তবে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া সংস্কার টেকসই হয় না।

তারেক রহমান আরও বলেন, এবারের গণঅভ্যুত্থানের চিত্র অতীতের যেকোনো গণঅভ্যুত্থানের চেয়ে ব্যতিক্রম। তিনি বলেন, সংস্কারের পথ ধরেই নির্বাচনের রোডম্যাপে উঠবে দেশ।

বিএনপির এ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে যাত্রার জন্য আরও কিছু সময় পাড়ি দিতে হবে। এজন্য সন্ত্রাস নয় বরং ধৈর্য ধরতে হবে। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে, রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। জনগণের সরকার না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণের নির্বাচনে সংসদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ। সংসদীয় সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার স্থায়ী হয় না। ভোটারদের নির্বাচনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

তারেক রহমান বলেন, মাফিয়া সরকার শুধু দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে নাই। দেশের সাংবিধানিক এবং স্বায়ত্তশাসিত সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। মাফিয়া চক্র দলীয় স্বার্থ ব্যবহার করতে যেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও ধ্বংস করেছে। ধ্বংস করেছে বিচার বিভাগকেও।

মাফিয়া চক্রের প্রধান দেশ থেকে পালায়নের মধ্য দিয়ে সেই শাসন-শোষণের অবসান ঘটেছে। প্রধান বাধা হয়তোবা দূর হয়েছে, তবুও গত ১৫ বছরের জঞ্জাল এখনো দূর হয় নাই, বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, জঞ্জাল দূর করে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় কাজ চালাচ্ছে অন্তবর্তী সরকার। বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার লক্ষ কোটি ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ের ফসল। এ সরকারের কোনো কোনো কাজ হয়তোবা সকলের পক্ষে নাও হতে পারে। মনে রাখতে হবে, এই সরকার ব্যর্থ হলেই দেশের জনগণ ব্যর্থ হবে। বহির্বিশ্বের নানা উস্কানিতেও অন্তর্র্বতী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এ জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণকে অন্তবর্তী সরকারের পাশে দাঁড়াতে হবে। তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই এই সরকারের জরুরি কার্যক্রম হওয়া উচিত।

তাই জনগণের নির্বাচনে সংসদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ। সংসদীয় সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার স্থায়ী হয় না। ভোটারদের নির্বাচনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য, বলেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সংস্কার করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে সংস্কার কাজ এগিয়ে না নিলে অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য একটি পক্ষ উঠে পড়ে লাগবে। ২০০৯ সালের পর আড়াই কোটি নতুন ভোটার হয়েছে, কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ভোট দিতে পারে নাই। তাড়া প্রত্যক্ষ ভোটে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায় নাই। তাই দেশের অর্ধেক জনশক্তি নারী ও এই তরুণ প্রজন্মকে বাদ দিয়ে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন সম্ভব নয়।

তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ২০২২ ও ২০২৩ সালে বিএনপির রাষ্ট্র ও দেশ গঠনে ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল। সেই প্রয়োজনে এই দফাকে আরও সংযোজন প্রয়োজন মনে করে বিএনপি।

রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না : তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, মনে রাখতে হবে এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। তবে নিজেরা যাতে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হন সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে গণঅভ্যুত্থানে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। এই সরকারের প্রতি সব সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিতা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। তবে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া সংস্কার টেকসই হয় না।

তারেক রহমান আরও বলেন, এবারের গণঅভ্যুত্থানের চিত্র অতীতের যেকোনো গণঅভ্যুত্থানের চেয়ে ব্যতিক্রম। তিনি বলেন, সংস্কারের পথ ধরেই নির্বাচনের রোডম্যাপে উঠবে দেশ।

বিএনপির এ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে যাত্রার জন্য আরও কিছু সময় পাড়ি দিতে হবে। এজন্য সন্ত্রাস নয় বরং ধৈর্য ধরতে হবে। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে, রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। জনগণের সরকার না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণের নির্বাচনে সংসদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ। সংসদীয় সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার স্থায়ী হয় না। ভোটারদের নির্বাচনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

তারেক রহমান বলেন, মাফিয়া সরকার শুধু দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে নাই। দেশের সাংবিধানিক এবং স্বায়ত্তশাসিত সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। মাফিয়া চক্র দলীয় স্বার্থ ব্যবহার করতে যেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও ধ্বংস করেছে। ধ্বংস করেছে বিচার বিভাগকেও।

মাফিয়া চক্রের প্রধান দেশ থেকে পালায়নের মধ্য দিয়ে সেই শাসন-শোষণের অবসান ঘটেছে। প্রধান বাধা হয়তোবা দূর হয়েছে, তবুও গত ১৫ বছরের জঞ্জাল এখনো দূর হয় নাই, বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, জঞ্জাল দূর করে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় কাজ চালাচ্ছে অন্তবর্তী সরকার। বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার লক্ষ কোটি ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ের ফসল। এ সরকারের কোনো কোনো কাজ হয়তোবা সকলের পক্ষে নাও হতে পারে। মনে রাখতে হবে, এই সরকার ব্যর্থ হলেই দেশের জনগণ ব্যর্থ হবে। বহির্বিশ্বের নানা উস্কানিতেও অন্তর্র্বতী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এ জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণকে অন্তবর্তী সরকারের পাশে দাঁড়াতে হবে। তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই এই সরকারের জরুরি কার্যক্রম হওয়া উচিত।

তাই জনগণের নির্বাচনে সংসদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ। সংসদীয় সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার স্থায়ী হয় না। ভোটারদের নির্বাচনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য, বলেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সংস্কার করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে সংস্কার কাজ এগিয়ে না নিলে অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য একটি পক্ষ উঠে পড়ে লাগবে। ২০০৯ সালের পর আড়াই কোটি নতুন ভোটার হয়েছে, কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ভোট দিতে পারে নাই। তাড়া প্রত্যক্ষ ভোটে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায় নাই। তাই দেশের অর্ধেক জনশক্তি নারী ও এই তরুণ প্রজন্মকে বাদ দিয়ে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন সম্ভব নয়।

তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ২০২২ ও ২০২৩ সালে বিএনপির রাষ্ট্র ও দেশ গঠনে ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল। সেই প্রয়োজনে এই দফাকে আরও সংযোজন প্রয়োজন মনে করে বিএনপি।

রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।