Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনুমতি ছাড়া সফরের জন্য ক্ষমা চাইলেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শান্ত, ভদ্র খেলোয়াড় হিসেবে লিওনেল মেসির সুখ্যাতি আছে। এত বছরের ক্যারিয়ারে এমন শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা খুব বিরল। যেমনটা ঘটলো এবার। ক্লাব পিএসজির অনুমতি না নিয়েই সৌদি আরবে ছুটি কাটাতে চলে যাওয়ায় দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। প্যারিসের ক্লাবটির সমর্থকেরা বিক্ষোভও করেছেন তার বিরুদ্ধে। কেউ কেউ তার এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। ফলে প্যারিসের জায়ান্ট ক্লাবটির সঙ্গে মেসির সম্পর্কটা এখন শীতল।

মেসির মাপের একজন ফুটবলারকে এমন নিষেধাজ্ঞা, তার আত্মসম্মানে লাগারই কথা। পিএসজির সঙ্গে সম্পর্ক না রাখলে কী হবে? কত ক্লাব তাকে লুফে নিতে চাইছে! মেসি এমনটা ভাবতেই পারেন। কিন্তু না। আরও একবার মেসি দেখিয়ে দিলেন, শুধু ফুটবলার হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেও তিনি আর দশজনের থেকে আলাদা।

কোনো রাখঢাক না রেখে নিজের ভুল স্বীকার করে নিলেন মেসি। ক্লাব পিএসজি এবং সতীর্থদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা।

পিএসজি কর্তৃপক্ষ ও সতীর্থদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন মেসি। সেখানে মেসি প্রতিটি ম্যাচের পর ছুটি থাকার কথা উল্লেখ করে সৌদির নির্ধারিত সফরে রওনা হওয়ার কথা বলেন। নির্ধারিত সফরের কারণে তিনি দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি এবং এ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আসায় অনুতপ্ত বলে জানান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু সাম্প্রতিক পরাজয় বিবেচনায় ছুটি বাতিল করে বাধ্যতামূলতক অনুশীলন ডাকে পিএসজি।

অনুতপ্ত মেসি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, প্রথমত আমি আমার ক্লাব ও সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি সত্যিই ভেবেছিলাম, ম্যাচ শেষে আমরা এক দিন ছুটি পাব; যেমনটা সবসময়ই হয়ে থাকে। আমার সৌদি আরব সফর আগেই ঠিক করাছিল। সফর বাতিল করার কোনো উপায় ছিল না। এর আগে অবশ্য একবার বাতিল করতে হয়েছিল। আমি যা করেছি তার জন্য আরও একবার ক্ষমা চাই। ক্লাব কী করতে চায় সেই অপেক্ষায় আছি। ক্লাব আমাকে যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমি মেনে নিব।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে লিও, মুখ খোলেননি পিএসজির সঙ্গে জুনে শেষ হওয়া চুক্তি নবায়নের বিষয়ে।
মেসির নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন, পিএসজি কোচ ক্রিস্তোফার গালতিয়ের। তবে উগ্র সমর্থকদের কর্মকান্ডে সতর্ক করেছেন সবাইকে।

পিএসজি কোচ বলেন, মেসির নিষেধাজ্ঞা আমি দেয়নি। এটা আমার করার কথাও না। আমি শুধু ক্লাবের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি এবং এই ব্যপারে আমার কিছু বলার নেই। তবে অন্যের ব্যক্তিগত জীবন গোপন থাকায়ই উচিত। সমর্থকদের রাগের কারণ আমি বুঝি। কিন্তু সমাজ যেভাবে উম্মাদ, নিয়ন্ত্রণহীন ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে সে ব্যপারে আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।

মুখ খুলতে নারাজ মেসির দলবদল ইস্যুতে আলোচনায় থাকা আল হিলাল। দলটির কোচ র‌্যামন দিয়াজের দাবি, আপাতত মনযোগের পুরোটাই এখন এএফসি চ্যাম্পিয়ন লিগকে ঘিরে।

সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির সৌদি সফরের মূল কারণ তিনি দেশটির পর্যটনবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত। মূলত প্রচারণার মাধ্যমে আরব দেশটির পর্যটনশিল্পের প্রসারে ভূমিকা রাখতেই উড়াল দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ বাজে পরিস্থিতি ও মাঠের পারফরম্যান্স ক্লাবকে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য করেছে!

পিএসজির সঙ্গে আগামী মাসেই দুই বছরের চুক্তি শেষ হয়ে যাবে মেসির। ফ্রান্সের গণমাধ্যমের খবর, লিগ ওয়ানের ক্লাবটিতে আর থাকার ইচ্ছা নেই ৩৫ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। পিএসজির সঙ্গে ঝামেলার খবর শুনে এরই মধ্যে মেসিকে বিশাল অংকের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে সৌদির ক্লাব আল হিলাল। এছাড়া মেসির বার্সায় ফেরা নিয়ে গুঞ্জন আছে। শোনা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের লিগ ইন্টার মিয়ামির নামও।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

অনুমতি ছাড়া সফরের জন্য ক্ষমা চাইলেন মেসি

প্রকাশের সময় : ০১:৩০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শান্ত, ভদ্র খেলোয়াড় হিসেবে লিওনেল মেসির সুখ্যাতি আছে। এত বছরের ক্যারিয়ারে এমন শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা খুব বিরল। যেমনটা ঘটলো এবার। ক্লাব পিএসজির অনুমতি না নিয়েই সৌদি আরবে ছুটি কাটাতে চলে যাওয়ায় দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। প্যারিসের ক্লাবটির সমর্থকেরা বিক্ষোভও করেছেন তার বিরুদ্ধে। কেউ কেউ তার এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। ফলে প্যারিসের জায়ান্ট ক্লাবটির সঙ্গে মেসির সম্পর্কটা এখন শীতল।

মেসির মাপের একজন ফুটবলারকে এমন নিষেধাজ্ঞা, তার আত্মসম্মানে লাগারই কথা। পিএসজির সঙ্গে সম্পর্ক না রাখলে কী হবে? কত ক্লাব তাকে লুফে নিতে চাইছে! মেসি এমনটা ভাবতেই পারেন। কিন্তু না। আরও একবার মেসি দেখিয়ে দিলেন, শুধু ফুটবলার হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেও তিনি আর দশজনের থেকে আলাদা।

কোনো রাখঢাক না রেখে নিজের ভুল স্বীকার করে নিলেন মেসি। ক্লাব পিএসজি এবং সতীর্থদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা।

পিএসজি কর্তৃপক্ষ ও সতীর্থদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন মেসি। সেখানে মেসি প্রতিটি ম্যাচের পর ছুটি থাকার কথা উল্লেখ করে সৌদির নির্ধারিত সফরে রওনা হওয়ার কথা বলেন। নির্ধারিত সফরের কারণে তিনি দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি এবং এ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আসায় অনুতপ্ত বলে জানান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু সাম্প্রতিক পরাজয় বিবেচনায় ছুটি বাতিল করে বাধ্যতামূলতক অনুশীলন ডাকে পিএসজি।

অনুতপ্ত মেসি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, প্রথমত আমি আমার ক্লাব ও সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি সত্যিই ভেবেছিলাম, ম্যাচ শেষে আমরা এক দিন ছুটি পাব; যেমনটা সবসময়ই হয়ে থাকে। আমার সৌদি আরব সফর আগেই ঠিক করাছিল। সফর বাতিল করার কোনো উপায় ছিল না। এর আগে অবশ্য একবার বাতিল করতে হয়েছিল। আমি যা করেছি তার জন্য আরও একবার ক্ষমা চাই। ক্লাব কী করতে চায় সেই অপেক্ষায় আছি। ক্লাব আমাকে যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমি মেনে নিব।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে লিও, মুখ খোলেননি পিএসজির সঙ্গে জুনে শেষ হওয়া চুক্তি নবায়নের বিষয়ে।
মেসির নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন, পিএসজি কোচ ক্রিস্তোফার গালতিয়ের। তবে উগ্র সমর্থকদের কর্মকান্ডে সতর্ক করেছেন সবাইকে।

পিএসজি কোচ বলেন, মেসির নিষেধাজ্ঞা আমি দেয়নি। এটা আমার করার কথাও না। আমি শুধু ক্লাবের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি এবং এই ব্যপারে আমার কিছু বলার নেই। তবে অন্যের ব্যক্তিগত জীবন গোপন থাকায়ই উচিত। সমর্থকদের রাগের কারণ আমি বুঝি। কিন্তু সমাজ যেভাবে উম্মাদ, নিয়ন্ত্রণহীন ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে সে ব্যপারে আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।

মুখ খুলতে নারাজ মেসির দলবদল ইস্যুতে আলোচনায় থাকা আল হিলাল। দলটির কোচ র‌্যামন দিয়াজের দাবি, আপাতত মনযোগের পুরোটাই এখন এএফসি চ্যাম্পিয়ন লিগকে ঘিরে।

সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির সৌদি সফরের মূল কারণ তিনি দেশটির পর্যটনবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত। মূলত প্রচারণার মাধ্যমে আরব দেশটির পর্যটনশিল্পের প্রসারে ভূমিকা রাখতেই উড়াল দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ বাজে পরিস্থিতি ও মাঠের পারফরম্যান্স ক্লাবকে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য করেছে!

পিএসজির সঙ্গে আগামী মাসেই দুই বছরের চুক্তি শেষ হয়ে যাবে মেসির। ফ্রান্সের গণমাধ্যমের খবর, লিগ ওয়ানের ক্লাবটিতে আর থাকার ইচ্ছা নেই ৩৫ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। পিএসজির সঙ্গে ঝামেলার খবর শুনে এরই মধ্যে মেসিকে বিশাল অংকের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে সৌদির ক্লাব আল হিলাল। এছাড়া মেসির বার্সায় ফেরা নিয়ে গুঞ্জন আছে। শোনা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের লিগ ইন্টার মিয়ামির নামও।