Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ‘পুলিশ অধস্থন কর্মচারী সংগঠনের’

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে ‘পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন।’

মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় পুলিশ সদস্যরা নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের মূল দাবি, রাজনৈতিকভাবে তাদের যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে এবং সিনিয়র কর্মকর্তারা যেন তাবেদারি না করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে সারাদেশে পুলিশ সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা, পুলিশ সদস্য খুনসহ স্থাপনা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দেশে প্রায় ৪৫০টি থানা আক্রমণ করে অগণিত পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, যা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের শামিল। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মচারী সংগঠন ৬ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ পুলিশ সরকারের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। সরকার যা করতে বলবে, পুলিশ তাই করতে বাধ্য। এখানে পুলিশ সদস্যদের নিজস্ব ভূমিকা রাখার সুযোগ কম। ফলে পুলিশ সদস্যরা সরকারের আদেশে অনেক অনৈতিক কাজ করেছে। জনসাধারণের সঙ্গে পুলিশ অন্যায় করেছে, এটা ঠিক। তবে সেটা নির্দিষ্ট কিছু পুলিশ সদস্য, সবাই না।

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যে সরকার আসবে, পুলিশ সে সরকারের আদেশ মতোই কাজ করবে। এটাই পুলিশ নীতিমালা। বিগত সময়ে পুলিশ যা করেছে, তা পুলিশের নিজস্ব কাজ নয়। এটা সরকার করতে বাধ্য করেছে। আগামী যে সরকার আসবে, পুলিশ জনসাধারণের জানমাল রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের আদেশ মোতাবেক কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, আমাদের ভুল বুঝবেন না। পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশ জনগণের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে চায়।

সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে সারাদেশে পুলিশ সদস্যদের ওপর এবং পুলিশের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। এতে অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন এবং ৪৫০টি থানা এবং ৭০টি পুলিশ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মচারী সংগঠন মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ‘পুলিশ অধস্থন কর্মচারী সংগঠনের’

প্রকাশের সময় : ০৬:৩১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে ‘পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন।’

মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় পুলিশ সদস্যরা নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের মূল দাবি, রাজনৈতিকভাবে তাদের যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে এবং সিনিয়র কর্মকর্তারা যেন তাবেদারি না করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে সারাদেশে পুলিশ সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা, পুলিশ সদস্য খুনসহ স্থাপনা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দেশে প্রায় ৪৫০টি থানা আক্রমণ করে অগণিত পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, যা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের শামিল। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মচারী সংগঠন ৬ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ পুলিশ সরকারের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। সরকার যা করতে বলবে, পুলিশ তাই করতে বাধ্য। এখানে পুলিশ সদস্যদের নিজস্ব ভূমিকা রাখার সুযোগ কম। ফলে পুলিশ সদস্যরা সরকারের আদেশে অনেক অনৈতিক কাজ করেছে। জনসাধারণের সঙ্গে পুলিশ অন্যায় করেছে, এটা ঠিক। তবে সেটা নির্দিষ্ট কিছু পুলিশ সদস্য, সবাই না।

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যে সরকার আসবে, পুলিশ সে সরকারের আদেশ মতোই কাজ করবে। এটাই পুলিশ নীতিমালা। বিগত সময়ে পুলিশ যা করেছে, তা পুলিশের নিজস্ব কাজ নয়। এটা সরকার করতে বাধ্য করেছে। আগামী যে সরকার আসবে, পুলিশ জনসাধারণের জানমাল রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের আদেশ মোতাবেক কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, আমাদের ভুল বুঝবেন না। পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশ জনগণের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে চায়।

সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে সারাদেশে পুলিশ সদস্যদের ওপর এবং পুলিশের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। এতে অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন এবং ৪৫০টি থানা এবং ৭০টি পুলিশ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মচারী সংগঠন মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে।