স্পোর্টস ডেস্ক :
সময়টা ভালো যাচ্ছে না নাজমুল হোসেন শান্তর। ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতার ছাপ রাখতে ব্যর্থ টাইগার এই অধিনায়ক। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেই সঙ্গে দলও হেরেছে বড় ব্যবধানে। এরই মধ্যে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন টাইগার এই ব্যাটার।
যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু জানাননি শান্ত। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ টেস্টের আগে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে আসেন তাইজুল ইসলাম।
সেখানে টাইগার এই স্পিনারের কাছে জানতে চাওয়া হয় টেস্ট ক্রিকেটে যদি অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় তাহলে কতটা প্রস্তুত আপনি। জবাবে এই স্পিনার বলেন, যেহেতু ১০ বছর ক্রিকেট খেলছি তো পুরোটাই তৈরী!
শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি এখনও শুনিনি, এটা আমার পার্টও না। এ বিষয়ে আমি সঠিক জানি না।’ ‘ক্যাপ্টেন কে হবে এরকম টিম মিটিং কখনই হয়নি। আমি জানিই না ভাই এ বিষয়ে।
এর আগে দলের সিনিয়র হিসেবে অবদান রাখা নিয়ে তাইজুল বলেন, ‘যদি ব্যক্তিগতভাবে বলেন, ইম্প্লিমেন্ট করতে পারি। কিন্তু আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আপনি কতটুকু নিচ্ছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা সতীর্থ হিসেবে হোক আর সেটা আমার দেশের জনগণ হোক।
আরও যোগ করেন, ‘আমার কাছে মনে হয় অনেক ক্ষেত্রে মাঠে যখন বিভিন্ন পরিস্থিতি আসে, আমি যখন বল করি বা একটা স্পিনার যখন বল করে অনেক সময় ফিল্ড পজিশন বলেন বা একটা ব্যাটারকে কীভাবে সেট আপ করবো এই হেল্পগুলো আমি কখন কখনও করে থাকি। অধিনায়ক আমাকে জিজ্ঞেস করে। এই সুযোগগুলো আসে, আমি চেষ্টা করি।’
সিরিজের মাঝে অধিনায়ক ছাড়ার ইস্যু খেলার মধ্যে প্রভাব ফেলে নাকি। গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নে ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘এটা টিম গেম। টিম কী করে ভালো থাকবে এটাই ইম্পরট্যান্ট। প্রভাব হয়ত কেউ কেউ নিতে পারে, কেউ কেউ নির্ভার থেকে নিজের কাজ করে যেতে পারে। আমি সবসময় নির্ভার থেকে নিজের কাজ করার চেষ্টা করি।’
‘দলে এসব যখন ঘটে জানি না কে কীভাবে নেয়, সবার মানসিকতা একরকম না। প্রশ্নটা গভীর, এটার উত্তর আসলে আমার কাছে নেই, এটাই সত্যি। ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ডের মিটিংয়ে আমি বা খেলোয়াড়রা থাকে না। কোচ ক্যাপ্টেন কে হচ্ছে এটা আসলে আমাদের পার্ট না।’
সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে ১০ বছরের ক্রিকেটের জীবনের অভিজ্ঞতা দলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমার কাছ থেকে আপনি কতটা নিচ্ছেন এটা গুরুত্বপূর্ণ। হোক টিমমেট বা দেশের জনগণ। মাঠে যখন বিভিন্ন পরিস্থিতি আসে, ফিল্ড পজিশন বা ব্যাটারকে সেটআপ এগুলো মাঝে মাঝে আমি বলে থাকি। ক্যাপ্টেনও জিজ্ঞেস করে। আমি চেষ্টা করি ভূমিকা রাখার।’
২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে যাত্রা শুরু হয়েছিল তাইজুলের। এখন পর্যন্ত ১০ বছরে খেলেছেন ৪৮টি টেস্ট। সাকিবের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে তিনি ২০০ উইকেটের মাইলফলক অর্জন করেন।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৭ উইকেটে হেরে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে আগামীকাল থেকে।