Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অঙ্কন-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে মোহামেডানের দাপুটে জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৮৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের দুই সেঞ্চুরির জবাবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসে জয় পেয়েছে মোহামেডান।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ২৫৯ রান জমা করে শেখ জামাল। জবাবে ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় মোহামেডান।

টস জিতে মোহামেডানের অধিনায়ক ইমরুল শেখ জামালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। সৈকত আলী ১ ও ফজলে মাহমুদ ১৭ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে সাইফ ও তাইবুর দলের হাল ধরেন। ২১৮ রানের জুটি গড়েন তারা। এ সময়ে সাইফ হাসান তুলে নেন সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কের পথেই থাকেন তাইবুর। ১৪৬ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় সাইফ ইনিংসটি সাজান। এরপর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ থেকে উঠে যান। অপরপ্রান্তে থাকা তাইবুর সেঞ্চুরির পর অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। ১১৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তার ইনিংসটি সাজান। তার সঙ্গে ৪ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন জিয়াউর রহমান।

মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে স্পিনার নাসুম আহমেদ ২৮ রানে ১ উইকেট নেন। এছাড়া বাকিরা কেউ উইকেট পাননি। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে ৪ মেডেনে মাত্র ১২ রান দেন।

লক্ষ্য তাড়ায় মোহামেডান শুরুতে ইমরুলকে হারায় ১৫ রানে। রুবেল মিয়া ৮ রান করে আউট হন। অপরপ্রান্তে থাকা রনি তালুকদার ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রান করে জবাব দিলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। জিয়াউরের বলে আউট হন। ৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানো মোহাডোন চতুর্থ উইকেটে জয়ের ভিত পায়। ১৭৯ রানের জুটি গড়েন অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ। শেখ জামালের বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে তারা এগিয়ে যান জয়ের পথে।

মাহিদুল শেষ কয়েক ম্যাচে রান পাননি। সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডেই ডানহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১২২ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ ৮৮ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ দিকে মোহামেডান মাহিদুল ও মিরাজের উইকেট হারালেও আরিফুল নেমে বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মাহিদুলের হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

অঙ্কন-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে মোহামেডানের দাপুটে জয়

প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের দুই সেঞ্চুরির জবাবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসে জয় পেয়েছে মোহামেডান।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ২৫৯ রান জমা করে শেখ জামাল। জবাবে ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় মোহামেডান।

টস জিতে মোহামেডানের অধিনায়ক ইমরুল শেখ জামালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। সৈকত আলী ১ ও ফজলে মাহমুদ ১৭ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে সাইফ ও তাইবুর দলের হাল ধরেন। ২১৮ রানের জুটি গড়েন তারা। এ সময়ে সাইফ হাসান তুলে নেন সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কের পথেই থাকেন তাইবুর। ১৪৬ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় সাইফ ইনিংসটি সাজান। এরপর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ থেকে উঠে যান। অপরপ্রান্তে থাকা তাইবুর সেঞ্চুরির পর অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। ১১৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তার ইনিংসটি সাজান। তার সঙ্গে ৪ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন জিয়াউর রহমান।

মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে স্পিনার নাসুম আহমেদ ২৮ রানে ১ উইকেট নেন। এছাড়া বাকিরা কেউ উইকেট পাননি। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে ৪ মেডেনে মাত্র ১২ রান দেন।

লক্ষ্য তাড়ায় মোহামেডান শুরুতে ইমরুলকে হারায় ১৫ রানে। রুবেল মিয়া ৮ রান করে আউট হন। অপরপ্রান্তে থাকা রনি তালুকদার ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রান করে জবাব দিলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। জিয়াউরের বলে আউট হন। ৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানো মোহাডোন চতুর্থ উইকেটে জয়ের ভিত পায়। ১৭৯ রানের জুটি গড়েন অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ। শেখ জামালের বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে তারা এগিয়ে যান জয়ের পথে।

মাহিদুল শেষ কয়েক ম্যাচে রান পাননি। সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডেই ডানহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১২২ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ ৮৮ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ দিকে মোহামেডান মাহিদুল ও মিরাজের উইকেট হারালেও আরিফুল নেমে বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মাহিদুলের হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।