নিজস্ব প্রতিবেদক :
চলতি অক্টোবর মাসে আরো ৫ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রোববার (১ অক্টোবর) বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরের সব সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৩ অক্টোবর সাভারের আমিন বাজারে মহাসমাবেশ। এছাড়া ৭ অক্টোবর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন, ১০ অক্টোবর পদ্মাসেতুর রেলসেতুর উদ্বোধন, ২৩ অক্টোবর মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশ উদ্বোধন এবং ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সুধী সমাবেশ করবে।
আদালতের অনুমতি ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চায়। কিন্তু সংবিধানে প্রচলিত আইন সরকার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের বা নির্বাহী বিভাগের হাতে এমন কোনো ক্ষমতা দেয়নি। এ বিষয়ে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার বিষয়ে সংবেদনশীল। তিনি (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন। তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
ভয়েস অব আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সাক্ষাৎকারে খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।
বিএনপি প্রধানের চিকিৎসার বিষয়ে প্রচলিত আইনে সরকারের কিছু করার নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন অনুযায়ী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নির্দেশে মেনে তাকে চিকিৎসা করাতে হবে। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে তা মানবিকতার দৃষ্টান্তে পৃথিবীতে বিরল। খালেদা জিয়ার বিষয়ে সকল সিদ্ধান্ত আইন সম্মতভাবেই হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার হত্যার পরিকল্পনাকারী তাদের প্রতি আওয়ামী লীগের উচিত ছিল তেমন ব্যবহার করা।
খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে আ স ম আব্দুর রব উদাহরণ হতে পারে না উল্লেখ আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, হাজী সেলিমও কিন্তু আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাননি।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ দল হলে তাহলে কেন খালেদা জিয়ার মুক্তির কিংবা বিদেশে পাঠানোর জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে কথা সীমারেখা মানা উচিত।
আল্টিমেটামেও বিএনপি ব্যর্থ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১৫ বছরে অনেকবার বিএনপির হাঁকডাক শোনা হয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন সময় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন নিয়ে তিরস্কার করে সমালোচনা করেছিল, যা ছিল বিএনপির অহংকার, দম্ভ। যারা আওয়ামী লীগের পতন দেখছে তাদের নিজেদের পতন হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।
রাজনীতিবিদদের বেফাঁস কথা বলা থেকে দূরে থাকা উচিত, বক্তৃতা বিবৃতিতে বেফাঁস কথা না বলার পরামর্শও দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিলবোর্ড কিংবা পোস্টার ফেস্টুন করে প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
দলের আহ্বানে যেকোনো নেতাকর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে বিএনপি, তাদের সহিংসতারা বিরুদ্ধে আমাদের নেতাকর্মীদের রুখে দাঁড়াতে হবে।