মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

৪ কোটি ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি হলো ভেড়ার শাবক

যোগাযোগ ডেস্ক
আপডেট : শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০
৪ কোটি ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি হলো ভেড়ার শাবক
গার্ডিয়ানের ছবি

শুনলে কেউ কি বিশ্বাস করবে যে একটা ভেড়ার শাবকের দাম ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ডাবল ডায়মন্ড নামের ভেড়ার শাবকটি সত্যি সত্যি বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ পাউন্ডে। পেটানো শরীর, নিখুঁত মাথা ও মসৃণ সোনারঙের দেহে ভেড়ার শাবকটি সুন্দরই বটে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ছয় মাস বয়সী শাবকটির দাম এর আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।

ভেড়া শাবকটির সর্বোচ্চ দামের নিলামে যোগ দেয়া তিনজনের একজন জেফ আইকেন। গত বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের ল্যানার্কে বিক্রির আগে তিনি বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ডাবল ডায়মন্ডের দিকে নজর রাখছিলেন। ভারী পেশীবহুল ভেড়াটি জিনগতভাবে নিখুঁত।

আইকেন বলেন, এটা ঘোড়দৌড় বা গবাদিপশুর অন্যান্য ব্যবসার মতোই। প্রতিবারই এখানে বিশেষ কিছু আসে এবং বৃহস্পতিবার একটা অতিরিক্ত বিশেষ টেক্সেল পাওয়া গিয়েছিল। প্রত্যেকেই ডাবল ডায়মন্ডকে নিজের করে নিতে চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : করোনায় বিশালাকার মাছের দেখা মিলল স্বচ্ছ পানিতে

টেক্সেল হলো উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন একটি ভোড়ার প্রজাতি, যা নেদারল্যান্ডের উপকূলে অবস্থিত ছোট্ট দ্বীপ টেক্সেল থেকে আসে। এগুলো নিয়মিত পাঁচ অংকে বিক্রি হয়, তবে বিশেষ করে এবারের প্রতিযোগিতাটি তীব্র হয়ে উঠেছিল।

আইকেন বলেন, এটা উত্তেজনার চেয়ে স্নায়ুপীড়াদায়ক ছিল বেশি। আমরা জানতাম এটা সত্যিই বিশেষ কিছু হতে চলেছে। ডাবল ডায়মন্ড সেরা জেনেটিক্সের অসামান্য এক প্রাণী। প্রায় ৭-৮ জন লোক ছিলেন, যারা সত্য সত্যই চেয়েছিলেন এবং এটিই দাম বৃদ্ধির মূল কারণ।

রেকর্ড ভাঙা এই ভেড়ার শাবকটি ছিল ইংল্যান্ডের চেশায়ারের চার্লি বোডেন পরিবারের। ডাবল ডায়মন্ড বিক্রির আগে নিলামে বিক্রি হওয়া ভেড়ার দামের আগের রেকর্ডটি ছিল ২০০৯ সালে, ২ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

আইকেন এবং তার দুই অংশীদার মিলে আয়ারশিয়ার ও নথামবারল্যান্ডে একটি খামার পরিচালনা করেন। তারা মিলেই ডাবল ডায়মন্ডের মালিকানা ভাগাভাগি করে নেবেন। আইকেন বলেন, তাকে আর সবার থেকে আলাদা করে বিশেষভাবে বড় করে তোলা হবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার শুক্রাণু কৃত্রিম প্রজননের জন্য ব্যবহার করা হবে।

আইকেন আর তার স্ত্রী ল্যাঙ্কাশায়ারের ফার্মে টেক্সেল প্রজনন করেন। ডাবল ডায়মন্ডের এই নজিরবিহীন দামের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাকে ভুল বুঝবেন না, একটি ভেড়ার পেছনে এ অর্থ খরচ করা আসলেই অসঙ্গত। এই উচ্চদরের বেচাকেনা কিন্তু কৃষক সম্প্রদায়ের প্রতিচ্ছবি হওয়া উচিত নয়।

গার্ডিয়ান অবলম্বনে

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া