বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। পরবর্তী ১০০ জন শনাক্ত হয় ৬ এপ্রিল, ১ হাজার ১৪ এপ্রিল, ১০ হাজার ৩ মে, ২৫ হাজার ১৮ মে, ৫০ হাজার ১ জুন, ৭৫ হাজার রোগী শনাক্ত হয় ১১ জুন। করোনা শনাক্তের পর ১০৩ দিনে গত ১৮ জুন ১ লাখ ছাড়ায় শনাক্তের সংখ্যা। ওইদিন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ছিল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন। শনিবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানানো হয় এখন পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৬৬ জন। অর্থাৎ গত ৩১ দিনে শনাক্ত হয়েছে ৯৯ হাজার ৭৭৪ জন।
করোনায় প্রতি ১০ লাখে মৃত্যুহার ১৫.৮৩ শতাংশ
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, বিশ্ব ব্যাংকের ২০১৯ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৩০ লাখ ৪৬ হাজার। এই জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখের মধ্যে করোনায় মৃত্যুহার ১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ । প্রতি ১০ লাখে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২১৯ দশমিক ৩২ এবং প্রতি ১০ লাখে সুস্থতার হার ৬৭৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
মৃতদের ৭৯ শতাংশ পুরুষ
দেশে করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৪০ জন এবং নারী ৫৪১ জন। শতকরা হিসাবে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭৯ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং নারী ২০ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১১৩৮ জন
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১ হাজার ১৩৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭৭২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৬৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১৮০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৭৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২৯ জন এবং ১০ বছরের নিচে ১৭ জন।
প্রায় অর্ধেক মৃত্যু ঢাকা বিভাগে
করোনায় এখন পর্যন্ত শুধু ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১ হাজার ২৬৯ জন, যা মোট হিসাবের ৪৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, খুলনায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, সিলেটে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, রংপুরে ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ২ দশমিক ২১ শতাংশ।
সংখ্যার দিক থেকে করোনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ২৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩৬ জন, খুলনায় ১৫৬ জন, বরিশালে ৯৮ জন, সিলেট ১২০ জন, রংপুরে ৮৭ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৭ জন মারা গেছেন।