নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসন্ন নতুন বছরের জানুয়ারি প্রথম দিন থেকে স্মার্ট কার্ডে পণ্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন টিসিবি মুখমাত্র হুমায়ুন কবির। একই সঙ্গে আসন্ন রমজানে টিসিবি পণ্যের মধ্যে প্রতি বছরের ন্যায় খেজুর ও ছোলা দেওয়া হবে। জানুয়ারির মধ্যে এসব পণ্য গুদামে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে তেজগাঁও সাতরাস্তায় ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ ( টিসিবি) এর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব কথা জানান তিনি।
টিসিবির এ মুখপাত্র বলেন, বিগত সরকারের আমলে ফ্যামিলি কার্ডে যে ঝামেলা ছিল তার সমাধানে জেলা প্রশাসককে চিঠি লেখা হয়েছে। বর্তমানে ১ কোটি পরিবারকে দেওয়ার পরও সরকারের নির্দেশে ঢাকায় ৫০টি স্পটে আর চট্টগ্রামে ২০টি ট্রাকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। দরকার হলে এর পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, টিসিবি বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের জন্য প্রতি মাসে ২০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল, ২ কোটি লিটার ভোজ্য তেল, ১০,০০০ মেট্রিক টন চিনি এবং পবিত্র রমজানের সময় ১০,০০০ মেট্রিক টন ছোলা, প্রায় ১,৫০০ মেট্রিক টন খেজুর, এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আমদানির মাধ্যমে সারাদেশে পেঁয়াজ ও আলু বিক্রয় করে থাকে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পালনের জন্য টিসিবির গুদামগুলোতে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোসহ প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ১ কোটি কার্ডধারীদের পণ্য প্রদানের পাশাপাশি বর্তমানে টিসিবি গার্মেন্টস শ্রমিকদের পণ্য প্রদানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় ও বিজিএমই এর সাথে কাজ করছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে টিসিবি বৈদেশিক আমদানি ও স্থানীয় ক্রয়ের মাধ্যমে পণ্য সংগ্রহের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, সেসবেরও প্রস্তুতি নেয়া শেষ। রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না। তেল, ডাল, চিনির পাশাপাশি খেজুর ও ছোলা ঢাকা ও অন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় দেয়া হবে। ছোলা ও খেজুরের জন্য এরইমধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। জানুয়ারির ভেতর পণ্য টিসিবির গুদামে চলে আসবে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, একটি পরিবার থেকে যেন এক ব্যক্তির বেশি না পায়। এজন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করা হচ্ছে। ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এখন ডিলার নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ভবিষ্যতে ডিলারের প্রয়োজন হলে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পণ্য স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে বিঘ্ন হচ্ছে না। তবে মনিটরিংটা ঠিকমতো হচ্ছে না। ভোক্তার কাছে সঠিকভাবে যেতে যে সহযোগিতা দরকার, সেটাতে কমতি রয়েছে।
বর্তমানে স্থানীয় প্রতিনিধিরা নিজ নজ এলাকায় না থাকায় পণ্য সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে ডিসি অফিস ও সিটি করপোরেশনে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান টিসিবির মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘বণ্টন ও মনিটরিংয়ের জন্য স্থানীয় প্রশাসন দায়বদ্ধ থাকে। তাদের উদ্বুদ্ধ করতে সভার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।