আগামী ১ অক্টোবর থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা ওমানে ফিরতে পারবেন। ওমান সরকার বৃহস্পতিবার বাংলাদেশকে একথা জানিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবাসীদের ওমানের বৈধ ইকামা পরিচয়পত্র, বৈধ পাসপোর্ট, কভিড-১৯ পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট থাকতে হবে। এ ছাড়া ওমানে যাওয়ার পর তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
সৌদি আরবের সমস্যা কেটে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকেও আমরা একটা ভালো খবর পেয়েছি। অনেক প্রবাসী আটকে আছেন। কেউ মালয়েশিয়া, কেউ ওমানে আবার কেউ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার অপেক্ষায়। আমরা এ জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আজকে আরেকটা সুখবর পেলাম। ওমানের যাঁরা এখানে আটকে আছেন, তাঁরা নিশ্চিন্তে যেতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, ওমান সরকার আমাদের নোট ভারবাল দিয়ে জানিয়েছে, যত বাংলাদেশি এখানে আটকে আছেন, তারা যদি ওমানে যেতে চান, তাহলে তারা দূতাবাসের অনাপত্তি সনদ ছাড়াই যেতে পারবেন। শুধু থাকতে হবে ওমানের বৈধ ইকামা পরিচয়পত্র, বৈধ পাসপোর্ট, কভিড-১৯ পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট। এ ছাড়া ওমানে যাওয়ার পর তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ওমানগামী যেকোনো এয়ারলাইনসে করে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা ওমানে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন : সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাবিতে কারওয়ান বাজারে বিক্ষোভ
বাংলাদেশে আটকে পড়া সৌদিপ্রবাসীদের ইকামা ও ভিসা সমস্যা দূর হওয়ার কথাও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেকের হয়তো ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সৌদি সরকার বলেছে, কোনো সমস্যা নেই। তারা রবিবারে তাদের অফিস খুলবে। তখন তারা ভিসা নবায়ন করতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘বিমানের বাতিল করা ফ্লাইটগুলো ১ অক্টোবর থেকে চালু হবে। সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটগুলো আসবে। সুতরাং প্রবাসী যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁরা যেতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, ১০০ জনের মধ্যে হয়তো পাঁচ বা সাতজনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাঁরা এ বিষয়টি দেখবে। ইকামা (ওয়ার্ক পারমিট) নিয়োগকারীর সুপারিশের ভিত্তিতে দেয়। বিভিন্নজনের বিভিন্ন মেয়াদের ওয়ার্ক পারমিট। আর অনেকে তো নিজের দোকানেই কাজ করেন। তিনি জানান, ওয়ার্ক পারমিট চলতি সফর মাস পর্যন্ত বৈধ হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
নতুন করে সৌদি ভিসা ইস্যু কবে থেকে শুরু হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখন আগেরগুলো নিয়ে চিন্তিত। নিশ্চয়ই তারা ভিসা অফিস খুলবে এবং তখন থেকে প্রক্রিয়া শুরু হবে। বাংলাদেশে কভিডকে আপনারা পাত্তাই দেন না। কিন্তু অন্যান্য দেশে কভিড নিয়ে খুব কড়াকড়ি।
অনেকগুলো দেশ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এমনকি ইংল্যান্ডে এখন রাত ১০টার পর কারফিউ থাকে। বাংলাদেশে তো আপনারা সারা রাত ঘোরাঘুরি করতে পারেন। আমাদের দেশের মানুষ কভিডকে খুব সহজভাবে নিয়েছে। কারণ মৃত্যুসংখ্যা এত কম।