মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

১২ বছর একাই জন্মদিনের কেক কেটেছেন গোবিন্দের স্ত্রী

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
১২ বছর একাই জন্মদিনের কেক কেটেছেন গোবিন্দের স্ত্রী

বিনোদন ডেস্ক : 

বলিউডের কমেডি হিরো গোবিন্দের সঙ্গে দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে দাম্পত্য সুনিতা আহুজার। কিন্তু তাদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা জল্পনা। সম্প্রতি তারকা স্ত্রী সুনিতার মন্তব্য এমনই ইঙ্গিত দেয়- আগের মতো সেই সুসম্পর্ক নেই তাদের!

স্বামীর কথা হোক বা সন্তানদের কথা, প্রায় সবসময়ই স্পষ্টভাষী সুনিতা আহুজা। এসব নিয়ে রাখঢাকও নেই তার। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনিতা জানিয়েছিলেন, তিনি ও গোবিন্দ নাকি আলাদা থাকেন। নতুন এক সাক্ষাৎকারেও জানালেন একই রকমের কথা।

কয়েক মাস আগে গোবিন্দর স্ত্রী সুনীতা এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ও গোবিন্দ আলাদা বাড়িতে থাকেন। তবে এবার সুনীতা জানিয়েছেন, বিগত ১২ বছর ধরে জন্মদিন একাই পালন করছেন। একাই কেক কাটেন, ঘড়ির কাঁটায় ৮টা বাজলেই মদের বোতল খুলে বসেন তিনি! অবশ্য এমনটা কেন করেন, সেটিও জানিয়েছেন গোবিন্দের স্ত্রী।

মদের প্রতি সুনিতার ভালবাসা রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট ধরনের মদ খেতেই পছন্দ করেন এই তারকা পত্নী। তবে প্রতিদিনই যে মদপান করেন, এমনও না। কোনো খুশির দিনে কিংবা ছুটির দিনে মদ খেতে বসেন সুনিতা। তবে জন্মদিনে একাই থাকেন। কারণ সুনীতা মনে করেন, জীবনে তিনি একাই এসেছেন, একাই চলে যেতে হবে।

সুনিতার কথায়, ‘আমি আমার ছেলে-মেয়েদের জন্মদিন উদযাপন করি। আর নিজের জন্মদিনে সকালে পূজার্চনা করি। মন্দিরে যাই, কখনও গুরুদ্বারে যাই। একা একা কেক কাটি, তারপর রাত ৮টা বাজলে মদের বোতল খুলে বসি। কারণ জন্ম ও মৃত্যু সবটাই তো একা একা হয়।’

গোবিন্দর স্ত্রীর সুনীতা আরও বলেন, ‘আমি আমার ছেলে-মেয়েদের জন্মদিন উদযাপন করতে বেশ আনন্দ পাই। আর নিজের জন্মদিনে সকালে পূজা করি। মন্দিরে যাই, কখনো গুরুদ্বারে যাই। একা একা কেক কাটি। এরপর সন্ধ্যা ৮টা বাজলে মদের বোতল খুলে বসি। কারণ জন্ম ও মৃত্যু সবকিছুই তো একা একা হয়। কাউকে কাছে পাওয়া যায় না।’

জীবনবোধ খানিকটা ব্যাখ্যা করে সুনীতা আহুজা বলেন, দুটোরই ভারসাম্য বজায় থাকে। মানে পূজাও হয় এবং পার্টিও হয়। আপনি পৃথিবীতে একা এসেছেন, যাবেনও একা। নিজের জন্য কীভাবে বাঁচতে হয় তা শিখতে হবে।

নারীদের পরামর্শ দিয়ে সুনীতা আহুজা বলেন, আমি প্রতিটি নারীকে বলতে চাই, তোমাদের নিজের জন্য সময় বের করা উচিত। জীবন তো কেবলই স্বামী-সন্তান নিয়েই কেটে যাচ্ছে। কখন নিজের জন্য বাঁচবেন? এ কারণে আমি একা সময় কাটাতে পছন্দ করি। আমি আমার স্বামী-বাচ্চাদের যত্ন নিয়েছি। এখন আমাদেরও নিজেদের জন্য বাঁচতে হবে। প্রতিটি নারীর নিজের কথা ভাবা উচিত।

জন্মদিন পালনের এ তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। গোবিন্দ অনুরাগীরা প্রত্যাশা করছেন সব মান-অভিমান ভুলে গিয়ে তারা আবারও এক ছাদের নিচে বসবাস করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া