শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১০ অপরাহ্ন

হাসপাতাল ছাড়লেন সাইফ আলী খান

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫
হাসপাতাল ছাড়লেন সাইফ আলী খান

বিনোদন ডেস্ক : 

ছয় দিন হাসপাতালে থাকার পর বাড়িতে ফিরেছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় তাকে। অভিনেতাকে আপাতত বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে।

গেল বুধবার মধ্যরাতে নিজ বাড়িতে এক দুর্বিত্তের হাতে ছুরিকাঘাতের শিকার হন সাইফ। এর পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার দুটি অস্ত্রোপচারের পর তাকে হাসপাতালেই রাখা হয়। তবে তার ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে নয়। সেখান থেকে কিছুটা দূরে অন্য এক বাড়িতে উঠেছেন এ অভিনেতা।

এনডিটিভি প্রতিবেদনে লিখেছে, লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাইফ এখন ভালো আছেন, তবে কিছুদিন তাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। পাশাপাশি অস্ত্রোপচার হওয়ায় সংক্রমণ এড়াতে দর্শনার্থী এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

পরনে সাদা শার্ট, জিন্স। বাঁ হাতের কব্জিতে বাধা ব্যান্ডেজ। ছোট করে ছাটা চুল, পরিষ্কার কামানো দাড়ি- এমন লুকেই বাড়িতে গেলেন অভিনেতা। হাসপাতাল ছেড়ে কাছেই বান্দ্রার বাড়িতে যাওয়ার সময় সাইফের সঙ্গে ছিলেন তার মা বর্ষীয়ান অভিনেতা শর্মিলা ঠাকুর।

অভিনেতা যখন হাসপাতাল ছাড়ছিলেন, তখন তাকে এক ঝলক দেখতে লীলাবতী ঘিরে জড়ো হন বহু মানুষ। এ সময় হাসি মুখে হাত সবার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন বলিউড নবাব। সাইফের হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে এবং বান্দ্রার বহুতল ভবনটি ঘিরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

৫৪ বছরের সাইফ আলী খান এখনো হাসপাতাল থেকে বের হননি। কারণ তার মা-প্রবীণ অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে তাকে সাহায্য করছেন। সাইফ আলী খানের স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান হাসপাতালে ছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে তিনি বাড়ি চলে গেছেন।

আগামী সাতদিন সাইফ আলী খানকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে কোনো ভিজিটর অনুমতি না দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সাইফ আলী খানকে।

গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।

একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয় সাইফকে।

এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার অভিযোগে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদ ওরফে বিজয় দাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। গত ১৯ জানুয়ারি ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আদালত তাকে পাঁচদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন শেহজাদ।

গ্রেপ্তারের পরই মুম্বাই পুলিশ দাবি করে, “শেহজাদ বাংলাদেশের নাগরিক।” কিন্তু শেহজাদের আইনজীবীর দাবি, “এ তথ্য সত্য নয়, মামলাটিকে পরিবর্তন করে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে পুলিশ।” তবে পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া