Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়া বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

বুধবার (৯ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার গাড়ি পৌঁছালে আগে থেকে সেখানে অবস্থান করা নেতাকর্মীরাও স্লোগান দিতে থাকেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে বুধবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।

এর আগে তিনি বিকেল ৬টা ২৫ মিনিটে গুলশানের বাস ভবন থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। এ সময় দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাসহ অংসখ্য নেতাকর্মী গুলশানে জড়ো হন। নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য তারা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই অপেক্ষা করেন। খালেদা জিয়ার সুস্থতাও কামনা করেন তারা।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি সিনিয়র নেতারা ও সহযোগী সংগঠন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১২ জুন মধ্যরাতে অসুস্থ বোধ করায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৭ জুন সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে নিজ বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন খালেদা জিয়া।

৭৮ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছর এভারকেয়ারে ভর্তির পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।

খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে আছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে তিনি গুলশানের বাসাতেই থাকছেন।

সবশেষ গত ২৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মহিপুরে পাঁচ কিমি কাঁচা সড়কে হাঁটুজল, দুর্ভোগে পথচারী

হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়া বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

বুধবার (৯ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার গাড়ি পৌঁছালে আগে থেকে সেখানে অবস্থান করা নেতাকর্মীরাও স্লোগান দিতে থাকেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে বুধবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।

এর আগে তিনি বিকেল ৬টা ২৫ মিনিটে গুলশানের বাস ভবন থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। এ সময় দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাসহ অংসখ্য নেতাকর্মী গুলশানে জড়ো হন। নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য তারা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই অপেক্ষা করেন। খালেদা জিয়ার সুস্থতাও কামনা করেন তারা।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি সিনিয়র নেতারা ও সহযোগী সংগঠন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১২ জুন মধ্যরাতে অসুস্থ বোধ করায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৭ জুন সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে নিজ বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন খালেদা জিয়া।

৭৮ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছর এভারকেয়ারে ভর্তির পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।

খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে আছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে তিনি গুলশানের বাসাতেই থাকছেন।

সবশেষ গত ২৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।