ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের পানি নিষ্কাশনে সঠিক ব্যবস্থাপনা রাখা হয়নি। এজন্য জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণ বনশ্রীর বনবিথী সড়ক, দক্ষিণ মুগদাপাড়ায় মান্ডা খাল, মোস্তফা মাঝি মোড় এলাকায় অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্ভাব্য স্থান, যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের পাকা মার্কেট, শনির আখড়ায় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এবং সর্বশেষ জয় কালী মন্দির ও কাপ্তানবাজার সড়কের তিন রাস্তা মোড় পরিদর্শন করেন মেয়র তাপস।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার ও আশপাশের এলাকা আজ সরেজমিনে পরিদর্শন করলাম। কিছু দিন আগেও গণমাধ্যমে আপনারাই প্রতিবেদন করেছেন যে, ধলপুর ও এর আশপাশের এলাকায় ফ্লাইওভার থেকে নেমে আসা পানির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি এবং এজন্য তিতে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এর মূল কারণ আজ আমরা সরেজমিন পরিদর্শনে এসে দেখলাম, ফ্লাইওভার থেকে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা করা হয়নি। যার ফলে রাস্তার ওপর সরাসরি ফ্লাইওভারের পানি আসে।
আরও পড়ুন : ঘুম থেকে উঠেই জায়নামাজ খুঁজি : শেখ হাসিনা
এতে রাস্তার ক্ষতি হয় এবং আশেপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু ফ্লাইওভার যখন নির্মাণ করা হয়েছিল, তখন ফ্লাইওভার থেকে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। যদিও সেটা করা হয়নি। এ ধরনের অনেক অনিয়মের কারণ খুঁজে বের করতেই আমার এ সরেজমিন পরিদর্শন।
বিষয়টি সুরাহা করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেব, সেতু বিভাগকে চিঠি দেব। যাতে করে অচিরেই ফ্লাইওভার থেকে নেমে আসা পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়।
আজকের পরিদর্শনের আরো কিছু উদ্দেশ্য ছিল জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, ‘দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় আমাদের চলমান অনেকগুলো কার্যক্রম রয়েছে। সে কার্যক্রমগুলো তদারকির পাশাপাশি উন্নয়ন কাজগুলো যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়, সেটার তাগিদ দেয়াও আজকের পরিদর্শনের অন্যতম আরেকটি কারণ।
পরিদর্শনকালে তিনি দক্ষিণ মুগদাপাড়া ও যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার এলাকায় বৃক্ষরোপণ করেন।
ডিএসসিসি মেয়র এ সময় প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনকে দক্ষিণ মুগদাপাড়ায় অবৈধ স্থাপনাগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, সচিব আকরামুজ্জামানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ সময় মেয়রের সাথে উপস্থিত ছিলেন।