বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকনের হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকী দিয়েছে যাত্রাবাড়ীর হাজী বাবুল।
২৪৯/২/১ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা সিএনজি গ্যারেজের মালিক হাজী বাবুলের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন এনামুল হক নামে এক অটোরিকশা চালক। জিডি নং ১৮৫৪, তাং ২৬/০৭/২০ ইং।
জিডিতে এনামুল হক উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘ প্রায় ৭ যাবৎ যাত্রাবাড়ীস্থ বাবুলের গ্যারেজের সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।
গত ১৯ জুলাই রাতে গ্যারেজ মালিক হাজী মো. বাবুল তার কাছে গ্যারেজ ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত ১২০ টাকা (গ্যারেজ ভাড়া ৫০ টাকা, গাড়ী মোছা ৫০ টাকা ও দাড়োয়ান-২০ টাকা) দাবি করলে দ’ুজনের মধ্যে কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে চালক এনামুল জমার অতিরিক্ত ১২০ টাকা দিতে অস্বীকার করে অটোরিকশা গ্যারেজে রেখে চলে যান। পরের দিন সকালে তিনি সিএনজি অটোরিকশা আনতে গিয়ে দেখেন সেটি অন্যজনকে দেয়া হয়েছে।
এনামুল দাবি করেন, অটোরিকশার টুলবক্সে তার তিন হাজার টাকা ও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। ২৩শে জুলাই টুলবক্সে থাকা টাকা ও কাগজপত্র ফেরত চাইতে গেলে অটোরিকশার মালিক মো. মিলনের ছোট ভাই মো. রোকন গ্যারেজ মালিক বাবুলের সামনে এনামুলকে হুমকী দেয়। তারা বলে, গাড়ি দেই নাই বলে তুই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খোকনের কাছে নালিশ করছো? তোর হাত-পা ভাঙ্গবো এবং তোর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকেরও হাত-পা ভেঙ্গে দিবো।
এছাড়া নানা অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করে এক পর্যায়ে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। আরও বলেন যে, যাত্রাবাড়ী এলাকায় কিভাবে গাড়ি চালাস সেটা দেখে নিবো।
গ্যারেজ মালিক বাবুল বলে, তোদের সংগঠনের নেতা মোহাম্মদ হানিফ খোকনকে যদি যাত্রাবাড়ী এলাকায় পাই, তাহলে তার একটা হাত ভাঙ্গা আছে, আরেকটা হাত ভেঙ্গে দিবো। আর ২০১২ সালে প্রেসক্লাবের সামনের মিটিংয়ে আমরা সিএনজি অটোরিকশার মালিকরা ওর হাত ভেঙ্গে দিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, জিডির তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, শুধু বাবুল নয়, ঢাকা নগরীর সব অটোরিকশা মালিকই এভাবে চালকদের জিম্মি করে হুমকী ধমকী দিয়ে টাকা আদায় করছে।
তিনি বলেন, এর আগেও একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাবুলকে নোটিশ করে অবৈধ উপায়ে হাতিয়ে নেয়া শ্রমিকের টাকা ফেরত দিতে বলেছিলাম। কিন্তু সে ফেরত দেয়নি। হানিফ খোকন বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমি দাবি করবো প্রশাসন যেন এসব চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জিরো টলারেন্স দেখায়।