আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে এক হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ইতালির উপকূলে নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে দেশটির কোস্টগার্ড তিনটি নৌকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। কারণ ওই নৌকাগুলো উত্তল সমুদ্রে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল।
সাগর ভেসে থাকা অভিবাসীদের উদ্ধারে শনিবার (১১ মার্চ) অভিযান চালায় ইতালির কোস্টগার্ড। এ অভিযানে ১ হাজারেরও বেশি অভিবাসী প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোস্টগার্ডের একটি জাহাজে ক্যালাবিরিয়ার রিজিও শহরে ৫৮৪ জনকে ও অন্য একটি মাছ ধরার নৌকায় ৪৮৭ জনকে করোটন বন্দরে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে সিসিলি উপকূল থেকে ২০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধারের কথা জানায় স্থানীয় কর্মকর্তরা। তাদের ক্যাটানিয়ায় পাঠানোর কথাও জানানো হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, গত বুধবার থেকে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতালিতে প্রবেশ করেছেন। যেখানে গত বছরের পুরো মার্চে মাত্র ১ হাজার ৩০০ জন দেশটিতে প্রবেশ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। ইতালির বর্তমান সরকার অভিবাসীদের ঢল ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছিল তারা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্র যাত্রা থামাতে পারছে না তারা।
শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে ৮টি উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠায় ইতালির কোস্টগার্ড। গত ২৬ ফেব্রুয়ারির মতো ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য নৌ বাহিনীর একটি টহল জাহাজও মোতায়েন করা হয়।
এদিকে ফেব্রুয়ারির ওই জাহাজডুবিতে মানুষের মৃত্যু হওয়ার ব্যাপারে ইতালির সরকারের কোনো খামখেয়ালি ছিল কিনা সে বিষয়টি এখন তদন্ত করছেন দেশটির কৌঁসুলিরা। তবে খামখেয়ালির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তিনি এ ঘটনার জন্য মানব পাচারকারীদের অভিযুক্ত করেছেন।
মেলোনির মন্ত্রীসভা বৃহস্পতিবার মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর জেলের বিধান রেখে একটি আইন উত্থাপন করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মেলোনি কথা দিয়েছেন, বৈধভাবে যেন অভিবাসীরা আসতে পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নেবেন তিনি। সূত্র: রয়টার্স।