বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি নবনির্মিত কার্যকরী সভাপতি এম এ বাতেন বলেছেন, পরিবহন ব্যবসা হলো একটা সেবামূলক ব্যবসা। অথচ এই ব্যবসা করতে গিয়ে মালিকরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে বিআরটিএ গাড়ির ফিটনেস দিতে গিয়ে নানান অজুহাতে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে ফিটনেস দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে অনেকের বক্তব্য শুনেছি। আমি প্রধান অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুধু বলতে চাই আগামীকাল সোমবার যোগাযোগ উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ আমাদের একটি বৈঠক আছে। ওই বৈঠকে আজকে সভার প্রধান অতিথি উপস্থিত থাকবেন।
মালিকদের যে সমস্যাগুলি সেটা নিয়ে উনাকে আমরা পরবর্তীতে দরকার হলে লিখিতভাবে দিব এবং মৌখিকভাবেও বলবো। আগামীকাল আমরা উনাকে অনুরোধ করব বিআরটিএ কর্তৃক মালিকরা যেভাবে হয়রানি হচ্ছে, প্রতিদিন একটা গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করতে গেলে যে গাড়িটা রেজিস্টেশন করতে গেলে দশ বছর পাঁচ বছর আগে আপনারা সকলেই জানেন এগুলি দেশে সায়ন মিটার ছিল ওই সময় ডায়া টাইপের পূরণ করে ২-৩ ফিট জোড়া দিয়ে তৈরি করা হতো। আজকের এই ৩০ বছর কিছু করে নাই। এখন ফিটনেস পরীক্ষা করতে গেলে বিআরটিএ এই গাড়িগুলি আটকায়।এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ফিটনেস দেয়। মালিকাদের হয়রানি করে। আবারো টাকার বিনিময়ে মালিকানা পূর্ণ নিবন্ধন করে দেয়। আমি এই বিষয়টি প্রধান অতিথি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি উনি কালকের সভায় এ বিষয়টা তুলে ধরবেন।
কারণ বিআরটিএ আমাদের সহযোগিতা করছে না। যে সমস্ত জেলায় এডি ( সহকারী পরিচালক) আছে তারা সহযোগিতা করছে না। এবং এ গাড়িগুলে নিয়ে মালিকরা অনেক বিড়ম্বনায় পড়ছে। আরেকটি বিষয়ে আমি আপনারা বিভিন্ন সময় অবগত করেছেন, বিশেষ করে টেকনাফ, কক্সবাজার, খুলনা,বরিশাল অঞ্চলের যে সমস্ত গাড়ির ১২ বছর বয়স হয়েছে নবায়নের জন্য অনেক সময় টেস্ট করতে যায়, তখন দুই একটি নাম্বার মুছে যায় লবণাক্ততার কারণে। এই গাড়িগুলি যখন ফিটনেস করতে যায় তারা তখন মোটা অংকের টাকার বিনিময় ছাড়া ফিটনেস দেয় না। টাকা না দিলে তারা ফিটনেস একেবারেই দেয় না। এ বিষয়গুলি আমরা প্রধান অতিথি মহোদয়কে বলবো আপনি চাইলে এর সমাধান করে দিতে পারেন। এটা আপনি বললে সমাধান করে দিতে পারে।