আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন খালি ও স্বাস্থ্যবিধি না থাকলে যাত্রীসাধারণ অতিরিক্ত ভাড়া দেবে কেন? এ প্রেক্ষাপটে বিআরটিএ মালিক-শ্রমিক ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কিছু সুপারিশ তৈরি করেছে।
এসব সুপারিশ মন্ত্রণালয় হয়ে কেবিনেট ডিভিশনে প্রেরণ করা হবে। কিভাবে এবং কোন শর্তে আগের ভাড়ায় ফিরে যেতে হবে বা ফিরে যেতে হবে কিনা- এসব বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে আমরা তা অবহিত করব।
শনিবার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যমে রাজশাহী জোনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রয়েছে। বাড়ছেও না, কমছেও না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলক ভালো হলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। নিউজিল্যান্ড, স্পেনসহ ইউরোপের অনেক দেশে দ্বিতীয় ওয়েব শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশেও যে কোনো সময় পরিস্থিতির অবনতি কিংবা দ্বিতীয় ওয়েব শুরু হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
আরও পড়ুন : তারেক রহমানসহ খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে : ওবায়দুল কাদের
করোনা শিগগিরই চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন ভেবে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা প্রদর্শন বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন করে স্বাস্থ্যবান্ধব হতে হবে।
সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধ ব্যবস্থার দিকে অধিক মনোযোগ দেয়াই হচ্ছে করোনা প্রতিরোধের সর্বোত্তম কৌশল।
মন্ত্রী বলেন, সরকার করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়। গাড়ির আসন সংখ্যা অর্ধেক খালি রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে ভাড়া সমন্বয় করে এ সময়ের জন্য। শুরুতে কিছু পরিবহন প্রতিশ্রুতি মেনে চললেও এখন অনেকেই তা মানছেন না। ঈদের প্রাক্কালে স্পষ্টভাবেই নানা অভিযোগ এসেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিল। এটা দিবালোকের মতোই পরিষ্কার। যা ছিল ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডেরই ধারাবাহিকতা। ২১ আগস্টে মূল লক্ষ্য ছিল দেশরত্ন শেখ হাসিনা, মুফতি হান্নান তার স্বীকারোক্তিতে এটা স্বীকার করেছে।
মুফতি হান্নানসহ অন্যদের বক্তব্যে এবং দালিলিক প্রমাণে বেরিয়ে এসেছে, কারা এর পেছনে মদদ দিয়েছে। কারা বৈঠক করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে। এই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবন, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব- এটা সবাই জানতো বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। মুছে দিতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে। সেদিন আল্লাহর অশেষ রহমতে শেখ হাসিনা বেঁচে যান। হতে পারে, হাওয়া ভবনের ছক অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারেনি বলেই তারা এ হামলাকে এখন ‘দুর্ঘটনা’ বলছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খুনিদের নিখুঁত পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় তারা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে হামলাকে ‘দুর্ঘটনা’ মনে করতে পারে।