নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :
নীলফামারীতে শীতের আগমনি বার্তা জানান দিতে শুরু করছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হঠাৎ কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। এতে বেসরকারি বিমান সংস্থার দুই ফ্লাইটের ঢাকাগামী শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ফ্লাইট বাতিলের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কোনো বিমান অবতরণ করেনি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক এ কে এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকালের ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি। তবে শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। সকাল ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ও এয়ার অ্যাস্টার একটি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও সেগুলো নামতে পারেনি। বেলা ১১টার পর আকাশ পরিষ্কার হলে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, আজ ভোর থেকে এই এলাকা কুয়াশায় ঢেকে গেছে। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিমান চলাচলের জন্য কমপক্ষে দুই হাজার মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) থাকার কথা থাকলেও সেখানে মাত্র ৫০ মিটার ভিজিবিলিটি আছে। ফলে বিমান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে, সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানিয়েছেন, ভোর থেকে এই এলাকা কুয়াশায় ঢেকে গেছে। সকালের তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) ছিল মাত্র ৫০ মিটার, যা বিমান চলাচলের জন্য উপযুক্ত নয়। সাধারণত বিমান চলাচলের জন্য কমপক্ষে ২ হাজার মিটার ভিজিবিলিটি প্রয়োজন।
প্রতিদিন সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে গড়ে ১৫ থেকে ১৬টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়। এর মধ্যে দুপুর ১২টার আগে ৩টি ফ্লাইট চলাচল করে। গত ১৩ অক্টোবরও কুয়াশার কারণে দুটি ফ্লাইটে অবতরণে দেরি হয়েছিল।