Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুপার এইটে উইন্ডিজ, বিদায়ের পথে কিউইরা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:০১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। মিচেল সান্তনার তিনটি ছক্কার মার মারলেন। সর্বমোট ১৯ রান নিলেন। কিন্তু পরজয় ঠেকানোর জন্য কোনোভাবেই সেটা যথেষ্ট হলো না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৩ রানে হেরে যেতে হলো নিউজিল্যান্ডকে।

কিউইদের হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলো নিউজিল্যান্ডের। উগান্ডা এবং পাপুয়া নিউগিনিকে যদি হারায়ও কিউইরা, তাতে কোনো লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কারণ, আফগানিস্তান এরই মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছে। বাকি দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলেই কেন উইলিয়ামসনদের বিদায় পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যাবে।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে করেছিলো ১৪৯ রান। জবাবে ৯ উইকেটে নিউজিল্যান্ড থেমে যায় ১৩৬ রানে।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ডেভন কনওয়েকে (৫) রানে হারা নিউজিল্যান্ড। আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৩ বলে ২৬ রান করে তিনি জোসেপের বল তুলে দেন রাসেলের হাতে। ব্যর্থ ছিলেন কেইন উইলিয়ামসনও। স্রেফ ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। রাচিন রবীন্দ্র ১০ ও ড্যারিয়েল মিচেল ১২ রানে বিদায়ের পর হাল ধরেন গ্লেন ফিলিপস।

তবে সেই লড়াই স্থায়ী হলো না শেষ পর্যন্ত। ৩৩ বলে ৪০ রান করে জোসেপের বল তিনি উড়িয়ে মারেন। লং অনে থাকা পাওয়েল সহজেই সেটি তালুবন্দি করেন। পরের বলেই সাউদিকে ফেরান জোসেপ। শেষদিকে মিচেল স্যান্টনার ১২ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও হারতে হয় কিউইদের। এ নিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারল তারা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন জোসেপ। ৩টি শিকার ধরেন গুদাকেশ মোটি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয় বিবর্ণ। নিজেদের মাঠেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। স্রেফ ৩০ রানে তাদের ৫ উইকেট নিয়ে নেন কিউই বোলাররা। শুরুটা হয় জনসন চার্লসকে দিয়ে। প্রথম ওভারের শেষ বলে বোল্টের বলে বোল্ড হন তিনি। তিনে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিলেও ১৭ বলে উইকেট হারান নিকোলাস পুরান। এরপর একে একে বিদায় নেন রসটন চেজ, রভম্যান পাওয়েল ও ব্র্যান্ডন কিং।

ষষ্ঠ উইকেটে জুটি গড়ে কিছুক্ষণ প্রতিরোধ গড়েন শেরফানে রাদারফোর্ড ও আকিল হোসাইন। তবে ১৫ রানে আকিল বিদায় নিলে ভাঙে ২৮ রানের জুটিটি। আটে নেমে আন্দ্রে রাসেল ১৪ রান করে বিদায় নেন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রোমারিও শেফার্ডও। ১৩ রান করে তিনি ফার্গুসনের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন।

ব্যাট হাতে বাকিদের ব্যর্থতার দিনে শেষ পর্যন্ত একাই লড়ে যান রাদারফোর্ড। ৩৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে তিন চার-ছক্কার বৃষ্টি ঝরাতে থাকেন। ১১২ রানে ৯ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়দের সংগ্রহ দেড়শর কাছে নিয়ে যান তিনি। ৩৯ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজান ২ চার ও ৬ ছক্কায়।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভারে স্রেফ ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বোল্ট। ২১ রান খরচায় দুটি উইকেট পান টিম সাউথি। সমান উইকেট নেন ফার্গুসনও। একটি করে উইকেট পান জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনার।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

সুপার এইটে উইন্ডিজ, বিদায়ের পথে কিউইরা

প্রকাশের সময় : ১২:০১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। মিচেল সান্তনার তিনটি ছক্কার মার মারলেন। সর্বমোট ১৯ রান নিলেন। কিন্তু পরজয় ঠেকানোর জন্য কোনোভাবেই সেটা যথেষ্ট হলো না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৩ রানে হেরে যেতে হলো নিউজিল্যান্ডকে।

কিউইদের হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলো নিউজিল্যান্ডের। উগান্ডা এবং পাপুয়া নিউগিনিকে যদি হারায়ও কিউইরা, তাতে কোনো লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কারণ, আফগানিস্তান এরই মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছে। বাকি দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলেই কেন উইলিয়ামসনদের বিদায় পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যাবে।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে করেছিলো ১৪৯ রান। জবাবে ৯ উইকেটে নিউজিল্যান্ড থেমে যায় ১৩৬ রানে।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ডেভন কনওয়েকে (৫) রানে হারা নিউজিল্যান্ড। আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৩ বলে ২৬ রান করে তিনি জোসেপের বল তুলে দেন রাসেলের হাতে। ব্যর্থ ছিলেন কেইন উইলিয়ামসনও। স্রেফ ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। রাচিন রবীন্দ্র ১০ ও ড্যারিয়েল মিচেল ১২ রানে বিদায়ের পর হাল ধরেন গ্লেন ফিলিপস।

তবে সেই লড়াই স্থায়ী হলো না শেষ পর্যন্ত। ৩৩ বলে ৪০ রান করে জোসেপের বল তিনি উড়িয়ে মারেন। লং অনে থাকা পাওয়েল সহজেই সেটি তালুবন্দি করেন। পরের বলেই সাউদিকে ফেরান জোসেপ। শেষদিকে মিচেল স্যান্টনার ১২ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও হারতে হয় কিউইদের। এ নিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারল তারা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন জোসেপ। ৩টি শিকার ধরেন গুদাকেশ মোটি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয় বিবর্ণ। নিজেদের মাঠেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। স্রেফ ৩০ রানে তাদের ৫ উইকেট নিয়ে নেন কিউই বোলাররা। শুরুটা হয় জনসন চার্লসকে দিয়ে। প্রথম ওভারের শেষ বলে বোল্টের বলে বোল্ড হন তিনি। তিনে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিলেও ১৭ বলে উইকেট হারান নিকোলাস পুরান। এরপর একে একে বিদায় নেন রসটন চেজ, রভম্যান পাওয়েল ও ব্র্যান্ডন কিং।

ষষ্ঠ উইকেটে জুটি গড়ে কিছুক্ষণ প্রতিরোধ গড়েন শেরফানে রাদারফোর্ড ও আকিল হোসাইন। তবে ১৫ রানে আকিল বিদায় নিলে ভাঙে ২৮ রানের জুটিটি। আটে নেমে আন্দ্রে রাসেল ১৪ রান করে বিদায় নেন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রোমারিও শেফার্ডও। ১৩ রান করে তিনি ফার্গুসনের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন।

ব্যাট হাতে বাকিদের ব্যর্থতার দিনে শেষ পর্যন্ত একাই লড়ে যান রাদারফোর্ড। ৩৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে তিন চার-ছক্কার বৃষ্টি ঝরাতে থাকেন। ১১২ রানে ৯ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়দের সংগ্রহ দেড়শর কাছে নিয়ে যান তিনি। ৩৯ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজান ২ চার ও ৬ ছক্কায়।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভারে স্রেফ ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বোল্ট। ২১ রান খরচায় দুটি উইকেট পান টিম সাউথি। সমান উইকেট নেন ফার্গুসনও। একটি করে উইকেট পান জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনার।