Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজুল আলম খানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিরাজুল আলম খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ জুন) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে তার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়।

তার মরদেহ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে পৈত্রিক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তার মায়ের কবরেই তাকে সমাহিত করা হবে।

সিরাজুল আলম খানের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।

এ সময় সিরাজুল আলম খানকে ‘স্বাধীনতার প্রাণ পুরুষ, নেপথ্যের নায়ক ও সফল স্বপ্নদ্রষ্টা’ হিসেবে তুলে ধরেন আ স ম আবদুর রব।

তিনি বলেন, বাঙালির জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে, যুব ছাত্রদের মনে স্বাধীনতার অগ্নিশিখা ছড়িয়ে দেওয়ার মন্ত্র এবং সব সংগ্রাম আন্দোলনকে গণআন্দোলনে রূপান্তর করে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনার অন্যতম কৌশল প্রণয়নকারী ছিলেন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬২ সালেই স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে নিউক্লিয়াস গঠন করেন। এই নিউক্লিয়াসই ছাত্র জনতার আন্দোলন, ৬ দফা, ১১ দফাসহ প্রতিটি আন্দোলনকে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সৃষ্টির কাজে রূপ দিতে গুরুদায়িত্ব পালন করে।

মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সিরাজুল আলম খানের অবদান অনস্বীকার্য, কিন্তু রাষ্ট্র তাকে সেভাবে স্বীকৃতি দিতে পারেনি। হাতে গোনা ব্যাক্তিদের তুমুলভাবে তুলে ধরতে গিয়ে অন্যদের সঠিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সিরাজুল আলম খান যে আইডিয়া নিয়ে রাজনীতি করেছেন, সেটা জনকল্যাণের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নে। হয়তো এই ভিন্নমতের কারণেই তিনি বৈষ্যমের শিকার হয়েছেন।

জানাজা শেষে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং দলের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালির উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৯ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফসাপোর্টে থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

জানাজা শেষে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং দলের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পর মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদাভাই’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয় তার উদ্যোগেই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

সিরাজুল আলম খানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

প্রকাশের সময় : ১২:১৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিরাজুল আলম খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ জুন) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে তার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়।

তার মরদেহ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে পৈত্রিক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তার মায়ের কবরেই তাকে সমাহিত করা হবে।

সিরাজুল আলম খানের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।

এ সময় সিরাজুল আলম খানকে ‘স্বাধীনতার প্রাণ পুরুষ, নেপথ্যের নায়ক ও সফল স্বপ্নদ্রষ্টা’ হিসেবে তুলে ধরেন আ স ম আবদুর রব।

তিনি বলেন, বাঙালির জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে, যুব ছাত্রদের মনে স্বাধীনতার অগ্নিশিখা ছড়িয়ে দেওয়ার মন্ত্র এবং সব সংগ্রাম আন্দোলনকে গণআন্দোলনে রূপান্তর করে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনার অন্যতম কৌশল প্রণয়নকারী ছিলেন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬২ সালেই স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে নিউক্লিয়াস গঠন করেন। এই নিউক্লিয়াসই ছাত্র জনতার আন্দোলন, ৬ দফা, ১১ দফাসহ প্রতিটি আন্দোলনকে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সৃষ্টির কাজে রূপ দিতে গুরুদায়িত্ব পালন করে।

মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সিরাজুল আলম খানের অবদান অনস্বীকার্য, কিন্তু রাষ্ট্র তাকে সেভাবে স্বীকৃতি দিতে পারেনি। হাতে গোনা ব্যাক্তিদের তুমুলভাবে তুলে ধরতে গিয়ে অন্যদের সঠিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সিরাজুল আলম খান যে আইডিয়া নিয়ে রাজনীতি করেছেন, সেটা জনকল্যাণের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নে। হয়তো এই ভিন্নমতের কারণেই তিনি বৈষ্যমের শিকার হয়েছেন।

জানাজা শেষে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং দলের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালির উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৯ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফসাপোর্টে থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

জানাজা শেষে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং দলের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পর মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদাভাই’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয় তার উদ্যোগেই।