জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরীতে পাচারের সময় হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্দকৃত ন্যায্য মূল্যের আট টন (১৩৪ বস্তা) চালসহ ৩ জনকে আটক করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। গোপন সংবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২৭ সেপ্টম্বর) ভোররাতে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খানের নির্দেশে এসআই আসাদুল সংগীয় পুলিশ ফোর্স পৌরসদরের থানারঘাট করতোয়া সেতু এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চালসহ সৌরভ এন্ট্রারপ্রাইজ নামক ট্রাক আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, উল্লাপাড়া উপজেলার পার সোনতলা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ট্রাক চালক রুবেল (৩০), একই গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে হেলপার আলম (৩৬) এবং উপজেলার নাগ রৌহা গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪৫)। ট্রাক ভর্তি চালসহ তাদেরকে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। উদ্ধারকৃত চালগুলো কৈজুরীর ডিলার পেশকার আলী, আব্দুল হাই প্রামানিক, আজম আলী ও আব্দুর রশিদের বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন : শাহজাদপুরে ভুয়া এনজিও কর্মী নাইম আটক
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ জানায়, রোববার ভোররাতে কৈজুরী বাজার থেকে ১০ টাকা কেজি দরের ১৩৪ বস্তাভর্তি ৮ মেট্রিক টন চাল পাচারের জন্য পশ্চিম পাশের বাঁধে ট্রাকে উঠানো হয়েছিল। এ সময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাড়ির চালক, হেলপারসহ ৩ জনকে ট্রাক ভর্তি চালসহ আটক করে। পরে তা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চাল পাচারকারীদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে আটকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, কৈজুরী বাজার থেকে ডিলারদের এই চাল ১২ হাজার টাকা ভাড়া মিটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল উল্লাপাড়া উপজেলায়। উল্লাপাড়ার চাল ব্যবসায়ী মনির এ চালগুলো ক্রয় করেছিল।
এ ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা কৈজুরী ইউনিয়নের ১০ টাকা কেজি চাউলের ডিলারদের স্টক যাচাই বাছাই করে অনিয়মের কোন সত্যতা পাননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, আটককৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে কার নিকট থেকে এ চাউল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছিলো।