মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

সিনহার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না হাঁটু গেড়েই বসেছিলেন: র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০
সিনহা হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না হাঁটু গেড়েই বসেছিলেন: র‌্যাব
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন র‌্যাব মহাপরিচালক

সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহাকে যখন গুলি করা হয় তখন তার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। তিনি পুলিশের সামনে হাঁটু গেড়েই বসেছিলেন।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার গাড়ি যখন শামলাপুর চেকপোস্টে থামানো হয়, তখন গাড়ি থেকে নেমে হাত তুলে, হাঁটু গেড়ে বসেন তিনি। হাতে ছিল না কোনো অস্ত্র। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী র‌্যাব মহাপরিচালককে এমন তথ্যই জানিয়েছেন নতুন তদন্ত কর্মকর্তা।

শিগগিরই তদন্ত শেষ হবে জানিয়ে র‌্যাব ডিজি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তে বিব্রত নন তারা।

এসআই লিয়াকত গুলি করার সময় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার হাতের অবস্থান র‌্যাব মহাপরিচালককে দেখান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন : সিনহা হত্যা তদন্তে গণশানানিতে সাক্ষ্য দিলেন ৯ প্রত্যক্ষদর্শী

এছাড়া টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে যে ড্রাম ব্যবহার করে গাড়ির গতিরোধ করা হয় এবং গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিনহার দেহ কোথায় পড়েছিল তাও দেখানো হয়।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন্স, ডিজিকে জানান শামলাপুর চেকপোস্টে আসার আগে সিনহার গাড়ি বিজিবির চেকপোস্টে থেমেছিল। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ পরিচালনা করে তাদের মনে হয়নি যে গাড়িটি কেউ তাড়া করছে।

পরিদর্শন শেষে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, তদন্ত ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হত্যা মামলা তদন্ত করতে তারা বিব্রত নন।




 

র‌্যাব মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এটা আমরা খুঁটিয়ে দেখছি। যে সকল তথ্য পাচ্ছি প্রতিটি তথ্য নিয়ে তদন্ত করছি। সব কিছুই জানতে পারবেন।
মামলার তদন্ত তদারকিতে সকালে কক্সবাজারে হেলিকপ্টারে করে যান র‌্যাব প্রধান।

এদিকে, নানা নাটকীয়তার পর অবশষে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকত ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে রিমান্ডে নেবে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

সোমবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় কক্সবাজারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ।

গত ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমারসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে মামলার এজাহার দাখিল করেন মেজর সিনহার বোন। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপসহ সাত আসামি।

ওইদন দু’দফা শুনানি শেষে তিন কর্মকর্তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর কয়েকদিন পর বাকি চার পুলিশ সদস্যকে রিমান্ডে দেন আদালত।

আদালতের নির্দেশের পর ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকত ও নন্দ দুলালকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে বারবারই পিছিয়েছে রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া।
অবশেষে আদেশের ১২ দিনের মাথায়, মঙ্গলবার তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হবে বলে জানায় র‌্যাব।

সিনহা হত্যাকাণ্ডে ল্যাপটপ, হার্ডডিস্কসহ ২৯টি ডিভাইস র‌্যাব নিজ হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে বাহিনীটির গণমাধ্যম শাখা।

এদিকে, কারাগারে থাকা বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও সাবেক এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে দীর্ঘ সাড়ে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া