বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

সিনহা হত্যা ও বিচার নিয়ে সেনাপ্রধান যা বললেন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সিনহা হত্যা ও বিচার নিয়ে সেনাপ্রধান যা বললেন
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। তিনি বলেন, তবে দেশের যে কোনো অস্থিতিশীল মুর্হূতে একটি পক্ষ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় তেমনটি চেষ্টা হয়েছে।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে রেজিমেন্টাল কালার প্যারেড শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।

সকালে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ৬টি ইউনিটকে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পতাকা তুলে দেন সেনাপ্রধান। এ সময় তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের পাশাপাশি সালাম গ্রহণ করেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহাকে নিয়ে নানা বিষয় কথা বলেন।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর দু’টি বাহিনীকে মুখোমুখি করার যে চক্রান্ত হয়েছে তা নিয়েও কথা সেনা প্রধান।
এসময় উত্তেজনা কমাতে পুলিশ প্রধানসহ কক্সবাজার যাওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) এ হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে তৃতীয়বারের মতো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আরও পড়ুন : কোন দেশের সম্পর্কের সঙ্গে ভারতের তুলনা হয় না : তথ্যমন্ত্রী

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস।
শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, একদিনের রিমান্ড শেষে ওসি প্রদীপ কুমার দাশকেও আদালত হাজির করা হবে।

গত ২০ আগস্ট প্রথম দফায় ৭ দিন ও ২৫ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সিনহা হত্যা ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে র‌্যাবের একটি দল টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে গত ৯ আগস্ট পুলিশের দায়ের করা মামলার এ সাক্ষীদের গ্রেফতার করে।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে ‘গাড়ি তল্লাশিকে’ কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

এদিকে গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া