ঢাকা-যশোর মহাসড়কের সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ বেহাল অবস্থায়। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। পরিবহন বা ট্রাক তো দূরের কথা, ইজিবাইক চলাচল করতে পারছে না সড়কটির বেহাল অংশ দিয়ে। গর্তের মধ্যে পড়ে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। তার পরও সড়কটি দিয়ে চলছে সব ধরনের গাড়ি।
গাড়ি চলাচলে কাদাপানিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন আশপাশের ব্যবসায়ীরা।
যশোরের শহর বাইপাসের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা রোডের সাড়ে চার কিলোমিটার সড়ক ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। ছয় মাসের মাথায় সড়কটি ফের আগের অবস্থায় ফিরে যায়। এরপর আবারো জোড়াতালি দিয়ে সড়কটি কোনো রকম চলাচলের উপযোগী করা হলেও বর্ষা শুরুর পর থেকে একই অবস্থা ধারণ করেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, এরই মধ্যে পালবাড়ি থেকে খাজুরা স্ট্যান্ড-মণিহার হয়ে মুড়লি পর্যন্ত ঢাকা রোড হিসেবে পরিচিত এ মহাসড়কের সাড়ে চার কিলোমিটার কাজের ফাইল আটকে আছে মন্ত্রণালয়ে। অনুমতি পেলে আবার সংস্থার করা হবে সড়কটি।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোর শহর বাইপাসের মহাসড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পালবাড়ি থেকে খাজুরা স্ট্যান্ড-মণিহার হয়ে মুড়লি পর্যন্ত। ঢাকা রোড হিসেবে পরিচিত এ মহাসড়কের সাড়ে চার কিলোমিটার অংশ এখন খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। খুলনা-যশোর হয়ে ঢাকায় যেতে পরিবহনগুলো সড়কটি ব্যবহার করে থাকে।
সওজ সূত্র আরো জানায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মহাসড়কের এ অংশ সংস্কার করার জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এ সংস্কারকাজ শেষ করা হয়। কিন্তু ছয় মাস যেতে না যেতেই সড়কটি সেই আগের অবস্থায় ফিরে যায়। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও গর্তের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। ক্ষতির শিকার হচ্ছে বড় বড় যানবাহন। তিন বছর ধরে এ অবস্থা বিরাজ করছে।
যশোর টায়ার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি কাওছার আহমদ জানান, আমাদের আন্দোলনের কারণে গত বছর কোনো রকমভাবে সংস্কার করা হয়। কিন্তু যেনতেনভাবে সংস্কারকাজ শেষ করায় সড়কটি পূর্বের জায়গায় ফিরে গেছে। বড় ধরনের গর্ত তৈরি হওয়ায় প্রায় ছোট যানবাহনগুলো রাস্তায় উল্টে যাচ্ছে। আবারও সড়ক সংস্কারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম মিন্টু জানান, ঢাকা রোডের পাশে এখন দোকানদারি করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড ধুলার কারণে দোকানে বসা যাচ্ছে না। পানি ছিটিয়েও ধুলা ঠেকানো যাচ্ছে না। আর বৃষ্টি হলে গাড়ির পানি ছিটকে দোকানে চলে আসে।
সোহাগ পরিবহনের চালক জাকির হোসেন জানান, ঢাকা রোড থেকে খাজুরা পর্যন্ত গাড়ি চালাতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠি। গর্তের মধ্যে চাকা পড়লে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ রাখা খুব মুশকিল হয়ে যায়। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে গাড়ির টায়ারসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ঢাকার রোড থেকে মুড়লির রাস্তার কাজ মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। কার্যাদেশ না আসায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে বিভাগীয় সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে।