Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সহিংসতার খুব বেশি অভিযোগ পাইনি: সিইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সারা দেশ ঘুরেছি আমরা প্রার্থী বা প্রশাসনের কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ পাইনি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের সাথে জাতীয় মানবাধিকার চেয়ারম্যানের বৈঠক শেষে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সারা দেশ ঘুরেছি আমরা প্রার্থী বা প্রশাসনের কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ পাইনি। অন্যদিকে মোটাদাগে সহিংসতা হয়নি। একদমই হয়নি তাও না। এ বিষয়ে আমরা প্রসাশনের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে সহিংসতা না হয়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুব বেশি সহিংসতা হয়নি বলে মন্তব্য কওে তিনি বলেন, একদমই যে সহিংসতা হয়নি তা না। মোটাদাগে খুব বেশি সহিংসতা হয়নি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সবাই যে আচরণবিধি ভঙ্গ করছে ব্যাপারটা তা নয়। তবে রাজনৈতিক সহিংসতা হচ্ছে।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সবার সহযোগিতা চেয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, কেন্দ্রে যাতে কোনো বাইরের লোক প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য গণমাধ্যমসহ সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে নির্বাচন একটি দৃশ্যমান গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, শাসক দলের সবাই আচরণবিধি ভঙ্গ করছে, এটা আমি স্বীকার করি না। নির্বাচনের মাঠে আমরা ঘুরেছি, প্রার্থী-প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। খুব বেশি অভিযোগ আমরা পাইনি। প্রশাসনের ওপর প্রার্থীদের আস্থা আছে বলে আমরা জেনেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। সহিংসতা একেবারেই হয়নি, সেটি বলছি না। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি… তারা যেন এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ভোটের দিন যেন একটি সহজ-স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকে।

তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশনের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তাদের চাওয়া হচ্ছে একটা ফেয়ার ইলেকশন। সহিংসতা বাদ দিয়ে অহিংস্রভাবেও যে নির্বাচন করা সম্ভব, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা নির্বাচন করবেন, তারা যেন সহিংসতার পথ বাদ দিয়ে অসহিংসতার পথ বেছে নিয়ে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রদানে উৎসাহিত করেন।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা কম বলে বৈঠকে উল্লেখ করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা থাকা দরকার, যেন সার্বিকভাবে একটা পারস্পরিক আস্থার রাজনীতি তৈরি হয়।

সিইসি বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অনেক গনমাধ্যম যেটুকু তার প্রয়োজন, তার আগে-পরে বাদ দিয়ে সেটি প্রচার করে, যা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে। নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা আরও বস্তুনিষ্ঠ হওয়া উচিত বলে বৈঠকে জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সহিংসতার খুব বেশি অভিযোগ পাইনি: সিইসি

প্রকাশের সময় : ০২:১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সারা দেশ ঘুরেছি আমরা প্রার্থী বা প্রশাসনের কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ পাইনি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের সাথে জাতীয় মানবাধিকার চেয়ারম্যানের বৈঠক শেষে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সারা দেশ ঘুরেছি আমরা প্রার্থী বা প্রশাসনের কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ পাইনি। অন্যদিকে মোটাদাগে সহিংসতা হয়নি। একদমই হয়নি তাও না। এ বিষয়ে আমরা প্রসাশনের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে সহিংসতা না হয়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুব বেশি সহিংসতা হয়নি বলে মন্তব্য কওে তিনি বলেন, একদমই যে সহিংসতা হয়নি তা না। মোটাদাগে খুব বেশি সহিংসতা হয়নি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সবাই যে আচরণবিধি ভঙ্গ করছে ব্যাপারটা তা নয়। তবে রাজনৈতিক সহিংসতা হচ্ছে।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সবার সহযোগিতা চেয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, কেন্দ্রে যাতে কোনো বাইরের লোক প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য গণমাধ্যমসহ সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে নির্বাচন একটি দৃশ্যমান গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, শাসক দলের সবাই আচরণবিধি ভঙ্গ করছে, এটা আমি স্বীকার করি না। নির্বাচনের মাঠে আমরা ঘুরেছি, প্রার্থী-প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। খুব বেশি অভিযোগ আমরা পাইনি। প্রশাসনের ওপর প্রার্থীদের আস্থা আছে বলে আমরা জেনেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। সহিংসতা একেবারেই হয়নি, সেটি বলছি না। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি… তারা যেন এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ভোটের দিন যেন একটি সহজ-স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকে।

তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশনের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তাদের চাওয়া হচ্ছে একটা ফেয়ার ইলেকশন। সহিংসতা বাদ দিয়ে অহিংস্রভাবেও যে নির্বাচন করা সম্ভব, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা নির্বাচন করবেন, তারা যেন সহিংসতার পথ বাদ দিয়ে অসহিংসতার পথ বেছে নিয়ে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রদানে উৎসাহিত করেন।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা কম বলে বৈঠকে উল্লেখ করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা থাকা দরকার, যেন সার্বিকভাবে একটা পারস্পরিক আস্থার রাজনীতি তৈরি হয়।

সিইসি বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অনেক গনমাধ্যম যেটুকু তার প্রয়োজন, তার আগে-পরে বাদ দিয়ে সেটি প্রচার করে, যা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে। নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা আরও বস্তুনিষ্ঠ হওয়া উচিত বলে বৈঠকে জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।