মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন

সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুতে উঠতে হয় বাঁশ ও কাঠের সিঁড়ি বেয়ে

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি
আপডেট : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুতে উঠতে হয় বাঁশ ও কাঠের সিঁড়ি বেয়ে

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি সেতু। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুতে উঠতে হয় বাঁশ ও কাঠের সিঁড়ি বেয়ে। অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করায় সেতু দুটি তেমন কাজে আসছে না। ফলে, ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

কালকিনি এবং ডাসার উপজেলায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে কয়েকটি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করলেও সেগুলো তেমন কাজে আসছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে দ্রুত অপসারণ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

কালকিনি উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজার সংলগ্ন আড়িয়াল খাঁ নদের একটি শাখা নদের উপরে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩শ’ ৭৬ টাকা ব্যয়ে ও উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের সূর্য্যমনি বাজরের পাসে আড়িয়াল খাঁ শাখা নদের উপরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে আলাদা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানর মাধ্যমে কয়েক বছর পূর্বে ওই দুইটি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেন উপজেলা এলজিইডি। ওই সেতু দুইটির নির্মাণকাজ কয়েক বছর পার হলেও একটি সেতুর দুই পাসে নামে মাত্র (সামান্য কিছু) বালু দিলেও অন্য একটি সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই ফেলে রাখা হয়। এতে দুই পাড়ের চারটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এখন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এদিকে সংযোগ সড়ক না থাকায় বাঁশের সিঁড়ি বেয়ে একটি সেতু পার হচ্ছেন স্থানীয়রা।

আলাদা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কয়েক বছর আগে ওই দুটি সেতু নির্মাণ করে এলজিইডি। তবে, সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই ফেলে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর। এতে চারটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাসিন্দা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সংযোগ সড়ক না থাকায় বাঁশ ও কাঠের সিঁড়ি বেয়ে সেতু পার হচ্ছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, কৃষক জলিল ও জব্বার, ব্যবসায়ী সাদিক ও নাজমুল, শিক্ষার্থী মাসফিক ও তাওসিফ, ইউপি সদস্য সমিরসহ কয়েকজনের কথা বলেন এই প্রতিবেদক। তারা বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা সেতুতে বাঁশের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হচ্ছে। এই ব্যর্থতা এলজিইডির প্রকৌশলীর। তাই, আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে তার দ্রুত অপসারণ দাবি করছি। দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা উচিত।

এলজিইডির কালকিনি উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেছেন, ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ শেষ হয়নি। শিগগিরই তা করা হবে।

কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, ওই সেতু দুইটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার বিষয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। আশাকরি দ্রুত এর সমাধান হবে।

এ ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কৃত্তনীয়া বলেন, এখন থকে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজসহ সকল ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত গতিতে হবে। তবে আশাকরি ফেব্রুয়ারি মাসের ভিতরে কালকিনি উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিম এ উপজেলা থেকে চলে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া